মুরারই, 9 এপ্রিল: "সবকা সাথ, সব কা বিকাশ, সব কা বিশ্বাস" ৷ এই নীতিকে সামনে রেখে ফের একবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হলেন রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ রবিবার বীরভূমের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা মুরারইয়ের জনসভা থেকে এনআরসি প্রসঙ্গ তুলে সংখ্য়ালঘু সম্প্রদায়ের মন জয় করারও চেষ্টা চালালেন শুভেন্দু ৷ পাশাপাশি কেষ্ট গড়ে দাঁড়িয়ে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকেও তীব্র কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু ৷
এদিন মুরারইয়ের কেস্তারা মাঠে সৌজন্য ও সম্প্রীতির সমাবেশ করেন রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী । সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহা-সহ জেলা নেতৃত্ব । এছাড়াও এদিন শুভেন্দুর মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বগটুইকাণ্ডে স্বজনহারা মিহিলাল শেখ । এদিন সেই সভা থেকেই অনুব্রত মণ্ডলকে তীব্র আক্রমণ করেন শুভেন্দু ৷ তিনি বলেন, "চড়াম চড়াম ঢাক বাজাব, নকুলদানা খাওয়াব, বিরোধীদের নমিনেশন তুলতে দেব না ৷ অনেক তো বড় বড় কথা বলত, কোথায় এখন কেষ্ট মণ্ডল ?" অনুব্রতর পাশাপাশি এদিন আরও একবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে আক্রমণ শানান তিনি ৷
রামনবমীর শোভাযাত্রায় রাজ্য়ের কিছু এলাকায় যে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল, তা নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কটাক্ষের সুরে শুভেন্দু বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই রামনবমীর অশান্তির জন্য় দায়ী । সংখ্যালঘুদের ভোট সরে যাচ্ছে বলেই এই ঝামেলা করিয়েছে তৃণমূল ।"
আরও পড়ুন: ডিএ আন্দোলনকারীদের দিল্লি যাত্রাকে স্পনসরশিপ রাজনীতি বলে কটাক্ষ কুণালের
তবে মুরারই এলাকায় সংখ্যালঘু ভোটে থাবা বসাতে বিজেপির এই জনসভা বলে মনে করেছে অনেকেই । 2019 সালে মুরারই এলাকায় প্রায় 74 হাজার ভোটে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের শতাব্দী রায় ৷ প্রায় শতকরা 60 ভাগ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মানুষের বাস এই এলাকায় । রাজনৈতিক মহলের দাবি, সাগরদিঘি বিধানসভার মতই তৃণমূলের থেকে সংখ্যালঘু ভোট ছিনিয়ে নিয়ে আসাই এখন বিজেপির লক্ষ্য ।