বোলপুর, 7 মে: অমর্ত্য সেনকে 'উচ্ছেদের হুঁশিয়ারির' প্রতিবাদে আন্দোলন রবিবার দ্বিতীয় দিনে পড়ল ৷ এদিন সকাল থেকেই বাউল গানের মধ্যে দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীরা ৷ মঞ্চে এসে প্রতিবাদে সরব হন ঠাকুর পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুরও । নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে উচ্ছেদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তাঁর 'প্রতীচী' বাড়িতে নোটিশ লাগিয়ে দিয়েছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । যা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বস্তরে । বিশ্বভারতীর উচ্ছেদের হুঁশিয়ারির বিরুদ্ধে সিউড়ি জেলা আদালত ও কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অমর্ত্য সেন স্বয়ং ৷ ইতিমধ্যে, হাইকোর্ট বিশ্বভারতীর নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে ।
তবে 'ভারতরত্ন' অমর্ত্য সেনকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বেনজির আক্রমণের প্রতিবাদে প্রথম থেকেই সরব হতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে । তাঁর অনুরোধেই 6 মে থেকে শান্তিনিকেতনের 'প্রতীচী' বাড়ির সামনে ধরনা অবস্থান মঞ্চ তৈরি করে শুরু হয় আন্দোলন ৷ প্রথম দিনে বিদ্বজ্জনেরা এই মঞ্চ থেকে গান, ছবি এঁকে ও বক্তৃতায় প্রতিবাদ করেন ৷
এদিন, সকাল থেকে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের নেতৃত্বে বাউল গানের মধ্যে দিয়ে চলতে থাকে প্রতিবাদ ৷ মন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন তৃণমূলের নেতা, কাউন্সিলররা । এই মঞ্চে এসে অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়ান ঠাকুর পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর । বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, "অমর্ত্যদাকে খুব কাছের থেকে দেখেছি ৷ পরে উনি বিশ্ববরেণ্য হলেন ৷ ওনার মত মানুষকে এভাবে অ-শ্রদ্ধা করা হচ্ছে, তা মানা যায় না । আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি বিশ্বভারতী এত গুণী মানুষকে হেনস্থা করছে ৷ এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে তাঁকে বিরক্ত করা ছাড়া আর কোনও উদ্দেশ্য আমি খুঁজে পাই না ৷ যার জন্য সকলেই প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন ৷ এবার হয় তো বিশ্বভারতীর চেতনা হবে । সচেতন হবে ৷"
আরও পড়ুন : প্রতীচীর সামনে দুই নোবেলজয়ীর ছবি এঁকে প্রতিবাদ শিল্পী যোগেন-শুভাপ্রসন্নের