তারাপীঠ, 24 ফেব্রুয়ারি: বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে সরব হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর কলকাতার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় । তাঁর কথায়,"বর্তমানে যিনি বিশ্বভারতীর উপাচার্য পদে আছেন উনি ওই পদের জন্য অনুপযুক্ত ।" শুক্রবার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় তারাপীঠে পুজো দেন ।
পুজো দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন,"বিশ্বভারতীর উপাচার্য পদে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী অনুপযুক্ত । তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সঙ্গে কী ধরনের ব্যবহার করতে হয় জানেন না ।" সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, উপাচার্যের এই ব্যবহারের জন্য তিনি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে উপাচার্যের বিরুদ্ধে নালিশ জানাবেন (Sudip Bandyopadhyay attacks Visva Bharati VC) ৷
উল্লেখ্য, গত 16 জানুয়ারি শান্তিনিকেতনের 'প্রতীচী' বাড়িতে আসেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন । বৃহস্পতিবার তিনি বিদেশে চলে যান । প্রায় এক মাস বোলপুরের বাড়িতে ছিলেন ওই নোবেলজয়ী । এই সময়কালে নয়া মাত্রা পায় তাঁর সঙ্গে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি বিতর্ক ৷ তিনি বিশ্বভারতীর জমি দখল করে রেখেছেন বলে অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিশ্বভারতীয় ৷ এই নিয়ে নোবেলজয়ীকে 3টি চিঠিও পাঠিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ (Visva Bharati VC Bidyut Chakraborty) ৷
তবে ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়েছেন ৷ সম্প্রতি বোলপুর সফরে এসেছিলেন মমতা ৷ সেই সময় তিনি অমর্ত্য সেনের বাড়িতে যান ৷ সেখানে নোবেলজয়ীর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন ৷ অমর্ত্য সেনের হাতে তাঁর জমির নথি তুলে দেন ৷ এই ইস্যুতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
আরও পড়ুন: পাঁচ বছরে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে ভারত, বিশ্বভারতীতে দাবি রাজনাথের
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং । কিন্তু তিনি বিশ্বভারতীর সদস্য হয়েও কেন যাননি, এই প্রসঙ্গে সুদীপ বলেন,"আমি গত তিন বছর ধরে বিশ্বভারতীর সদস্য আছি । কিন্তু এই উপাচার্য একবারও আমাকে আমন্ত্রণ জানাননি । আজকের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের 72 ঘণ্টা আগে একটি ই-মেল করে আমাকে জানানো হয়েছে । আমার থাকার কী ব্যবস্থা আছে সেটাও উল্লেখ নেই সেই মেল-এ । আমি এই উপাচার্যকে ছাড়ব না । আমি লোকসভার স্পিকারকে অভিযোগ করব । কারণ আমি স্পিকার দ্বারা মনোনীত সদস্য । স্পিকারকে তিনি পরোক্ষভাবে চ্যালেঞ্জ করছেন ।"