ETV Bharat / state

প্রাচীর তোলার বিরোধী, কিন্তু বিশ্বভারতীতে তাণ্ডবের নিন্দা পড়ুয়া-আশ্রমিকদের

author img

By

Published : Aug 18, 2020, 7:02 PM IST

Updated : Aug 18, 2020, 7:59 PM IST

শান্তিনিকেতনে তাণ্ডবের ঘটনাকে সমর্থন করছেন না আশ্রমিক থেকে শুরু করে পড়ুয়া কেউই । তাঁরা জানাচ্ছেন, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এহেন পরিস্থিতি কাম্য নয় ।

ন

শান্তিনিকেতন, 18 অগাস্ট : বিশ্বভারতীর ঘটনা নিন্দনীয়। বলছেন পড়ুয়া থেকে আশ্রমিক সকলেই । গতকাল প্রায় আড়াই ঘণ্টা রীতিমতো তাণ্ডব চলে শান্তিনিকেতনজুড়ে। ভেঙে দেওয়া হয় বিশ্বভারতীর প্রাচীর, ক্যাম্প অফিস, গেট । এই ঘটনা সমর্থন করছেন না আশ্রমিক থেকে শুরু করে পড়ুয়ারা । অধিকাংশই জানান, তাঁরা প্রাচীর তোলার বিরোধী । কিন্তু যেভাবে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাণ্ডব চালানো হয়েছে তা নিন্দাজনক।


ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলার মাঠ প্রাচীর দিয়ে ঘেরাকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরেই উত্তাল বিশ্বভারতী চত্বর । প্রাচীর দেওয়ার বিরোধিতা করে আগেই পথে নেমেছে বিশ্বভারতীর পড়ুয়া, আশ্রমিক, রবীন্দ্র-অনুরাগীদের একাংশ । তার পরেও নির্মাণকাজ চলতে থাকায় বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি এসে কাজে বাধা দেয় । বিশ্বভারতীর ঠিকাদারের সঙ্গে শুরু হয় বচসা । বচসার পর ঠিকাদারকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে । বন্ধ হয়ে যায় নির্মাণকাজ । এই ঘটনার পর রবিবার বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে কর্মী, অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা একটি মিছিল করে শান্তিনিকেতন থানার সামনে জড়ো হন । মিছিলে নিয়ম বহির্ভূতভাবে সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে আসার অভিযোগ ওঠে উপাচার্যের বিরুদ্ধে । উপাচার্যর নির্দেশে ফের শুরু হয় প্রাচীর নির্মাণের কাজ । পৌষমেলার মাঠে অস্থায়ী ক্যাম্প অফিস তৈরি করে রাতারাতি চলছিল নির্মাণকাজ ।

শান্তিনিকেতনের ঘটনাকে নিন্দাজনক আখ্যা পড়ুয়াদের

গতকাল সকালে বোলপুর-শান্তিনিকেতন এলাকার কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়ে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয় । ভাঙচুর চালানো হয় বিশ্বভারতীর ক্যাম্প অফিস সহ পৌষমেলার গেটে। অভিযোগ, লুটপাট করা হয় নির্মাণ সামগ্রী । JCB মেশিন দিয়ে ভাঙচুর চালানো হয় । পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় । এই মর্মে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেন বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার।

যদিও পুলিশ সুপার শ্যাম সিং জানান, ঘটনার প্রেক্ষিতে আট জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । তবে এই ঘটনা নিয়ে নিন্দার ঝড় চতুর্দিকে। বিশ্বভারতীর ছাত্র-ছাত্রী, আশ্রমিকরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তাঁরা জানান, প্রত্যেকেই বিশ্বভারতীতে প্রাচীর দেওয়ার বিরোধী । তবে বিরোধিতার নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাণ্ডব, ভাঙচুরের ঘটনা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না । বিষয়টি একেবারেই কাম্য নয় । তবে অনেকেই বলছেন, উপাচার্যের একক সিদ্ধান্তের জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে ।

শান্তিনিকেতন, 18 অগাস্ট : বিশ্বভারতীর ঘটনা নিন্দনীয়। বলছেন পড়ুয়া থেকে আশ্রমিক সকলেই । গতকাল প্রায় আড়াই ঘণ্টা রীতিমতো তাণ্ডব চলে শান্তিনিকেতনজুড়ে। ভেঙে দেওয়া হয় বিশ্বভারতীর প্রাচীর, ক্যাম্প অফিস, গেট । এই ঘটনা সমর্থন করছেন না আশ্রমিক থেকে শুরু করে পড়ুয়ারা । অধিকাংশই জানান, তাঁরা প্রাচীর তোলার বিরোধী । কিন্তু যেভাবে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাণ্ডব চালানো হয়েছে তা নিন্দাজনক।


ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলার মাঠ প্রাচীর দিয়ে ঘেরাকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরেই উত্তাল বিশ্বভারতী চত্বর । প্রাচীর দেওয়ার বিরোধিতা করে আগেই পথে নেমেছে বিশ্বভারতীর পড়ুয়া, আশ্রমিক, রবীন্দ্র-অনুরাগীদের একাংশ । তার পরেও নির্মাণকাজ চলতে থাকায় বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি এসে কাজে বাধা দেয় । বিশ্বভারতীর ঠিকাদারের সঙ্গে শুরু হয় বচসা । বচসার পর ঠিকাদারকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে । বন্ধ হয়ে যায় নির্মাণকাজ । এই ঘটনার পর রবিবার বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে কর্মী, অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা একটি মিছিল করে শান্তিনিকেতন থানার সামনে জড়ো হন । মিছিলে নিয়ম বহির্ভূতভাবে সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে আসার অভিযোগ ওঠে উপাচার্যের বিরুদ্ধে । উপাচার্যর নির্দেশে ফের শুরু হয় প্রাচীর নির্মাণের কাজ । পৌষমেলার মাঠে অস্থায়ী ক্যাম্প অফিস তৈরি করে রাতারাতি চলছিল নির্মাণকাজ ।

শান্তিনিকেতনের ঘটনাকে নিন্দাজনক আখ্যা পড়ুয়াদের

গতকাল সকালে বোলপুর-শান্তিনিকেতন এলাকার কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়ে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয় । ভাঙচুর চালানো হয় বিশ্বভারতীর ক্যাম্প অফিস সহ পৌষমেলার গেটে। অভিযোগ, লুটপাট করা হয় নির্মাণ সামগ্রী । JCB মেশিন দিয়ে ভাঙচুর চালানো হয় । পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় । এই মর্মে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেন বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার।

যদিও পুলিশ সুপার শ্যাম সিং জানান, ঘটনার প্রেক্ষিতে আট জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । তবে এই ঘটনা নিয়ে নিন্দার ঝড় চতুর্দিকে। বিশ্বভারতীর ছাত্র-ছাত্রী, আশ্রমিকরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তাঁরা জানান, প্রত্যেকেই বিশ্বভারতীতে প্রাচীর দেওয়ার বিরোধী । তবে বিরোধিতার নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাণ্ডব, ভাঙচুরের ঘটনা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না । বিষয়টি একেবারেই কাম্য নয় । তবে অনেকেই বলছেন, উপাচার্যের একক সিদ্ধান্তের জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে ।

Last Updated : Aug 18, 2020, 7:59 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.