বোলপুর, 1 মার্চ : ছাত্রাবাস খোলার দাবিতে রাতভর ঘেরাও বিশ্বভারতীর কর্মসচিব ও ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক সহ তিন জনকে ৷ 28 ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে ছাত্রাবাস ও ক্যান্টিন খোলার দাবিতে বিশ্বভারতীতে শুরু হয় বিক্ষোভ ৷ কর্তৃপক্ষ দাবি না মানায় রাতভর চলে ঘেরাও (Student Agitation at Visva Bharati demanding hostel reopening) ৷ এনিয়ে আশিস আগরওয়াল অভিযোগ করেছেন, তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না ৷
করোনা পরিস্থিতির পর বিশ্বভারতী খুললেও ছাত্রাবাসগুলি খোলেনি ৷ বিশ্বভারতীতে প্রায় একশো শতাংশ পড়ুয়া বিভিন্ন জেলা, ভিনরাজ্য এবং বিদেশ থেকেও উচ্চশিক্ষার জন্য যান ৷ তাঁরা বিশ্বভারতীর ছাত্রাবাসগুলিতে থাকে ৷ তাই ছাত্রাবাস খোলার দাবিতে কয়েক দিন ধরেই দফায় দফায় স্মারকলিপি জমা দিচ্ছিলেন পড়ুয়ারা ৷ এমনকি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনও চলছিল ৷ তবে, 28 ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে আন্দোলন বড় আকার নেয় ৷ আন্দোলনের জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্বভারতী ক্যাম্পাস (Student Agitation at Visva Bharati) ৷
আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা বিশ্বভারতীর সঙ্গীতভবন, কলাভবন, পাঠভবন, শিক্ষাভবন-সহ একাধিক বিভাগের পঠন-পাঠন বন্ধ করে দেন ৷ সবক’টি বিভাগের প্রবেশদ্বারে তালা গিয়ে চলে বিক্ষোভ ৷ পরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কর্মসচিবের দফতরে বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা ৷ সেই সময় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় পড়ুয়াদের ৷ অভিযোগ সেই ধস্তাধস্তিতে পড়ুয়াদের জামাকাপড় ছিঁড়ে যায় ৷
আরও পড়ুন : Student Agitation at Visva Bharati : ছাত্রাবাস খোলার দাবিতে কর্মসচিবকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ, উত্তাল বিশ্বভারতী
পরে বিশ্বভারতীর কর্মসচিব আশিস আগরওয়াল, ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক, সম্পত্তি আধিকারিক ঘেরাও করেন আন্দোলকারী পড়ুয়ারা ৷ দাবি না মানায় রাতভর ঘেরাও করে রাখা হয় তিন আধিকারিক ৷ পড়ুয়াদের দাবি, অবিলম্বে ছাত্রাবাস ও ক্যান্টিন খুলতে হবে ৷ তা না হলে এই আন্দোলন চলবে ৷ বিশ্বভারতীর কর্মসচিব আশিষ আগরওয়ালের পাল্টা অভিযোগ, তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ তিনি একা কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী নন ৷ তিনি কর্তৃপক্ষের একটা অংশমাত্র ৷ তাই তাঁকে ঘেরাও করে আন্দোলনে কোনও ফল হবে না বলে জানিয়েছেন আশিস আগরওয়াল ৷