শান্তিনিকেতন, 26 এপ্রিল : প্রবল গরমে হাসফাঁস অবস্থা । দক্ষিণবঙ্গে চলছে প্রবল দাবদাহ । এই দগ্ধ গরমে শুধু মানুষ নয় কষ্ট অবলা প্রাণিদেরও । শান্তিনিকেতনের বল্লভপুর হরিণ উদ্যানে (Ballavpur Deer Park) বর্তমানে রয়েছে 266টি হরিণ । তীব্র দাবদাহ থেকে তাদের রক্ষা করতে বিশেষ ব্যবস্থা করেছে বন দফতর । পশু চিকিৎসকদের পরামর্শ মত হরিণদের খাওয়ানো হচ্ছে বিশেষ ধরনের ওআরএস, গ্লুকোজ জল ৷ এছাড়া, শরীর ঠাণ্ডা রাখতে দেওয়া হচ্ছে ভুট্টার পাতা ৷
দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় তাপপ্রবাহের দাপটে জনজীবনে কার্যত ত্রাহিত্রাহি রব উঠেছে । বীরভূম জেলার তাপমাত্রা গত কয়েক দিন ধরে 40 থেকে 42 ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে রয়েছে । বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বইছে লু । আগামী কয়েকদিন এই জেলায় বৃষ্টির যে কোনও সম্ভাবনা নেই, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে শ্রীনিকেতন আবহাওয়া দফতর ৷ এই দাবদাহে মানুষজনের পাশাপাশি নাজেহাল পশুপাখিরাও ৷ বল্লভপুর অভয়ারণ্যে 266টি হরিণের মধ্যে রয়েছে 51টি শাবক ও 66টি স্ত্রী হরিণ । মে থেকে অগস্ট মাসে হরিণদের প্রজননের সময় ৷ তার আগে তীব্র গরম থেকে হরিণদের রক্ষা করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বন দফতর (special arrangements for deer in Birbhum Ballavpur Deer Park due to heat summer condition) ৷ চিকিৎসকদের পরামর্শে সকালে এখানকার হরিণদের ছোলা, ভুট্টা গুঁড়ো, জলের মাধ্যমে ওআরএস খাওয়ানো হচ্ছে । এছাড়াও প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী খাবারে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে ওষুধ ৷
আরও পড়ুন : দুর্গাপুর পুড়ছে প্রবল তাপে, অলিখিত কার্ফু শহরজুড়ে
এছাড়াও হরিণদের শরীর ঠাণ্ডা রাখতে দিনে বেশ কয়েকবার জল পরিবর্তন করা হচ্ছে ৷ সেই জলে বিশেষ ধরনের গ্লুকোজ মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে ৷ শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য দেওয়া হচ্ছে ভুট্টা গাছের পাতা । এরজন্য এই অভয়ারণ্যেই চাষ করা হচ্ছে ভুট্টা ৷ বন দফতরের বোলপুরের বিট অফিসার প্রভাস হালদার এই প্রসঙ্গে বলেন, "গরম থেকে হরিণদের বাঁচাতে সমস্ত রকম ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি । পশু চিকিৎসকদের পরামর্শ মতোই ওষুধ, ওআরএস, গ্লুকোজ জল দেওয়া হচ্ছে ৷ আশা করি, আগাম ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গরমে হরিণদের কোনও সমস্যা হবে না ।"