রামপুরহাট, 6 মে : লকডাউন ঘোষণার পর বন্ধ ছিল এই হাট। কিন্তু ইতিমধ্যে তৃতীয় দফার লকডাউনে সরকারের তরফে বিশেষ কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে । তারপরই বীরভূমের রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের নারায়ণপুর গ্রামের এই হাট খুলে গিয়েছে । কিন্তু হাটের বর্তমান চিত্রটা দেখলে চমকে যেতে হয় । এখানে আর পাঁচটা দিনের মতোই স্টেশনারি দোকান, সেলুন, শাকসবজি ও ফলের দোকান সবকিছু খোলা। কোথাও সামাজিক দূরত্বের চিহ্ন নেই । কোনও দূরত্ব না মেনেই জিনিসপত্র কেনাবেচা চলছে এখানে ।
বুধবার ও রবিবার । নারায়ণপুর গ্রামে সপ্তাহে এই দু'দিন হাট বসে । লকডাউনের প্রথম দিকে লোকজন নিয়ম মেনেই বাড়িতে ছিল । হাটে কোনওরকম ভিড়ও দেখা যায়নি । কিন্তু তৃতীয় দফায় এসে আজকের চিত্রটা অন্যরকম । আজ বাজার পুরোপুরি খুলে দেওয়া হয়েছে । স্টেশনারি দোকান, সেলুন, শাকসবজি, ফলের দোকান সবই খোলা । তবে বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে কোনওরকম সামাজিক দূরত্ব বজায় নেই । স্বাভাবিক দিনের মতোই সবাই ভিড় করে, কোনওরকম দূরত্ব না মেনে একে অন্যের পাশে দাঁড়িয়ে জিনিসপত্র কিনছেন । এবিষয়ে নারায়ণপুরের বাসিন্দা পিন্টু সালুই বলেন, "আমরা এখনও লকডাউন মেনে চলছি । কিন্তু গ্রামের কিছু মানুষ কোনওরকম নিয়ম মানতে চাইছে না । কিছু বুঝতে চাইছে না। বিষয়টি নিয়ে চিন্তায় আছি ।"
ইতিমধ্যেই স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে । এবিষয়ে নারায়ণপুর পঞ্চায়েতের প্রধান সুখেন্দু পাল বলেন, "পঞ্চায়েতের তরফে আমরা হাটে আসা প্রতিটি মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাজার করতে অনুরোধ করেছি। অনেক মানুষ শুনছেন, আবার অনেকে এই নিয়ম পালন করছেন না। তাই এখনও সমস্যা রয়েছে । আমি গ্রামের প্ৰতিটি মানুষের কাছে অনুরোধ করব, গ্রামের স্বার্থে অবশ্যই এই নিয়ম পালন করে চলুন।"
কয়েকদিন আগে বীরভূম গ্রিন জ়োনে ছিল । কিন্তু মল্লারপুরের তিনজন কোরোনা সংক্রমিত হওয়ার পরই কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন তালিকায় বীরভূমকে অরেঞ্জ জ়োনে রাখা হয়েছে । কিছু দোকানপাট খোলার ছাড়পত্র মিললেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে জানানো হয়েছিল সরকারের তরফে। বেশ কিছু গাইডলাইনও জারি করা হয়েছে । কিন্তু বীরভূম জেলার গ্রামাঞ্চলগুলিতে এই নিষেধাজ্ঞা মানা হচ্ছে না। শিকেয় উঠেছে লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার নিয়ম।