হাঁসন (বীরভূম), 13 জানুয়ারি: 'দিদির সুরক্ষা কবচ' (Didir Suraksha Kavach) কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় ৷ শুক্রবার 'দিদির দূত' হিসেবে হাঁসন বিধানসভার বিষ্ণুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তেঁতুলিয়া গ্রামে যান তিনি । সঙ্গে ছিলেন হাঁসন বিধানসভার বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা৷ এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে দলায় এক কর্মীর বাড়ি মধাহ্নভোজ করার কথা ছিল শতাব্দীর ৷ কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, সেখানে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে খেতে বসে ভাত পর্যন্ত ছুঁয়ে দেখেননি এই তৃণমূল সাংসদ ৷
এদিন শতাব্দী রায়ের জন্য তেঁতুলিয়া গ্রামের তৃণমূল কর্মী সুজিত সরকারের বাড়িতে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল । পদ হিসেবে ছিল ভাত, বেগুন ভাজা, মুগের ডাল, খাসির মাংস, পাঁচমেশালি তরকারি, মিষ্টি ও চাটনি ৷ কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, বীরভূমের 3 বারের সাংসদ অভিনেত্রী শতাব্দী এদিন দলীয় কর্মী-বিধায়কদের সঙ্গে খেতে বসেন, কিন্তু ছবি তোলা হয়ে যাওয়ার পর তিনি না-খেয়েই উঠে পড়েন ৷ বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই কটাক্ষ ধেয়ে এসেছে সাংসদের দিকে (Satabdi Roy in controversy) ৷
তবে এদিন এই বিষয়টিকে মানতে চাননি শতাব্দী রায় ৷ বরং তাঁর দাবি সংবাদমাধ্যম ভুল ব্যাখ্যা করছে ঘটনার ৷ তিনি বলেন, "আমি বাড়ির ভিতর খেয়েছি । উপোস করিনি । ভাত, ডাল, পাঁচতরকারি, বেগুন ভাজা, মাছ ভাজা, মাংস দিয়ে ভাত খেয়েছি ৷ পরে ছবি তুলতে অনুরোধ করা হয় বলে সেখানে গিয়ে বসি ৷ কিন্তু পরপর 2 বার আর খাইনি ৷"
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার, আয়কর তল্লাশি প্রসঙ্গে দাবি জাকির হোসেনের
তবে এদিন দিদির দূত হয়ে জনসংযোগে গিয়ে কোথায় বেশকিছু অভিযোগ শুনতে হয় শতাব্দী রায়কে (Satabdi Roy in Didir Suraksha Kawach programme) ৷ হাঁসন বিধানসভার বিষ্ণুপুর অঞ্চলের মেলেডাঙা গ্রামে তাঁর কাছে রাস্তার সমস্যা নিয়ে ক্ষোভ জানান গ্রামবাসীরা ৷ একসময় মেজাজ হারাতেও দেখা যায় তাঁকে ৷ যদিও এই অভিযোগও মানতে চাননি তিনি ৷ বীরভূমের সাংসদের কথায়, "আপনারা ভুল ব্যাখ্যা করেছেন । আমি কাউকে ধমক দিইনি । বলেছি, আপনার বলা হয়ে থাকলে এবার অন্য জনকে বলতে দিন ৷"