বোলপুর, 27 মে : বাবার সারাদিন হাড়ভাঙা খাটুনি । এই প্রচণ্ড দাবদাহে রোজগারের টানে তাঁকে টোটো নিয়ে গ্রামে গঞ্জে যেতে হয় । মা হাসপাতালের সাফাই কর্মী । পরিবারে চরম অভাব । কিন্তু, তবুও জেদ আর অধ্যাবসায়ে আজ তাঁদের সন্তান রাজীব হাজরা উচ্চমাধ্যমিকে সপ্তম । তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৯। সে বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ।
মাধ্যমিকে আশানুরূপ ফল হয়নি রাজীবের । তারপরই জেদ চেপেছিল রাজীবের । মনে মনে সে ঠিক করেই নিয়েছিল, শত অভাব-অনটন থাকলেও সফল হবেই । রাজীবের কথায়, "জেঠু (সুভাষ হাজরা) পাশে না থাকলে হয়তো মিলত না এমন সাফল্য ।" সুভাষবাবুর মুরগীর মাংসের দোকান । সামান্য রোজগারের মধ্যেই তিনি রাজীবের গৃহশিক্ষকদের পারিশ্রমিকের খরচ জুগিয়েছেন । বোলপুরে নিচু বাঁধগোড়ায় মা,বাবা, বোনের সঙ্গে থাকে রাজীব ।
রসায়ন প্রিয় বিষয় রাজীবের । বড় হয়ে বিশ্বভারতী থেকে রসায়ন নিয়ে গবেষণা করতে চায় সে । রাজীবের এই সাফল্যে খুশির জোয়ার হাজরা পরিবারে । রাজীব বলে, "আমার এই ফলে বাবা, মা, জেঠু, স্কুলের শিক্ষক, গৃহ শিক্ষক সকলের অবদান আছে । আমি আমার বাবা-মায়ের পাশে দাঁড়াতে চাই । বাবা মায়ের কষ্ট দেখে আমার খারাপ লাগে। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আমার মতো দুঃস্থ ছেলে মেয়েদের পাশে দাঁড়াতে চাই ।"