বোলপুর, 20 অক্টোবর: শান্তিনিকেতনে 'ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট' ফলক থেকে ব্রাত্য স্বয়ং গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । সেই ফলকে শুধু নাম রয়েছে প্রধানমন্ত্রী তথা আচার্য নরেন্দ্র মোদি ও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর । এর ফলে এই নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বত্র । উল্লেখ্য, গত 17 সেপ্টেম্বর ইউনেসকো শান্তিনিকেতনকে বিশ্ব ঐতিহ্যের (ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট) তকমা দিয়েছে ৷ তার জন্যই নির্মিত হয়েছে এই ফলক ৷
গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্মভূমি এই শান্তিনিকেতন । তাঁর প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতীর চতুর্দিকে রয়েছে একাধিক ঐতিহ্যবাহী ভবন, ভাস্কর্য ও স্থাপত্য। গত 17 সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের ইউনেসকোর সমাবেশ থেকে গুরুদেবের শান্তিনিকেতনকে 'ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ' বা 'বিশ্ব ঐতিহ্যের' তকমা দেওয়া হয়েছে । যা নিয়ে উচ্ছ্বাসিত সকলেই ।
কিন্তু দেখা গেল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে উপাসনা গৃহ, রবীন্দ্রভবন, কলাভবন, সঙ্গীতভবন, ছাতিমতলা প্রভৃতি জায়গায় শ্বেত পাথরের ফলক বসানো হয়েছে । সেখানে খোদাই করা ইউনেসকো 'বিশ্ব ঐতিহ্যে সাইট' । আর নিচে লেখা রয়েছে আচার্য নরেন্দ্র মোদি ও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম ৷ অর্থাৎ, ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তকমা ফলক থেকেই ব্রাত্য স্বয়ং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম ৷ যা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বত্র ।
উল্লেখ্য, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও উদ্বোধনী ফলক বা কোনও স্বীকৃতি ফলক বসানো হয় না । সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে নামের বিজ্ঞাপনের জন্যই এই ফলক বসিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ, এমনই অভিযোগ করেছেন আশ্রমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও ছাত্রী এবং শান্তিনিকেতনের বাসিন্দারা ।
এই নিয়ে ঠাকুর পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর বলেন, "এটা নতুন কথা কি ! রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন আদর্শটাকে মানা হয় এখন বিশ্বভারতীতে ৷ এই নিয়ে নিন্দার ভাষা নেই ।"
আরও পড়ুন: 'ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ' শান্তিনিকেতনে টোটো নিয়ন্ত্রণে পথে নামলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য