শান্তিনিকেতন, 12 জুন : যত দিন যাচ্ছে পড়াশোনার মান কমছে বিশ্বভারতীর। 2016 সাল থেকে চার গুণ পঠন-পাঠনের মান কমেছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। সদ্য প্রকাশিত কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, 2020 সালে 37 থেকে 50 নম্বরে নেমে এসেছে বিশ্বভারতী। এনিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ আশ্রমিকরা। মান কমায় কর্তৃপক্ষকে দায়ি করছে ছাত্রছাত্রীদের একাংশও। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশ্বভারতীর মান এভাবে কমতে থাকায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে শিক্ষামহলে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলির র্যাঙ্কিংয়ের একটি তালিকা সদ্য প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক । দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির তালিকায় এবছর 50 নম্বর র্যাঙ্কে রয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, 2016 সালে দেশের মধ্যে 11 নম্বর স্থানে ছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। 2017 সালে 19 নম্বর স্থানে, 2018 সালে 31 নম্বর স্থানে, 2019 সালে 37 নম্বর স্থানে। এবার এই মান আরও কমে গিয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের । 2020 সালে দেশের মধ্যে 50 নম্বর স্থানে নেমে এসেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন-পাঠনের মান দিন দিন এভাবে কমতে থাকায় ক্ষুব্ধ শিক্ষিতমহল। 2016 সাল থেকে এইভাবে ধাপে ধাপে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন-পাঠনের মান কমতে থাকায় নিন্দার ঝড় উঠেছে সোশাল মিডিয়াতেও। যদিও 2018 সাল থেকে বিশ্বভারতীতে স্থায়ী উপাচার্য হিসেবে রয়েছেন অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ।
বিশ্বভারতীর কর্মীমণ্ডলের যুগ্ম সম্পাদক তথা অধ্যাপক কিশোর ভট্টাচার্য বলেন, "রিপোর্ট দেখে খারাপ লাগছে। খুবই দুঃখজনক। তবে দীর্ঘদিন বিশ্বভারতীতে স্থায়ী উপাচার্য ছিল না, এবার স্থায়ী উপাচার্য এসেছে। আমরা আশা রাখি, নতুন উপাচার্যের হাত ধরে বিশ্বভারতীর মান বাড়বে।" ছাত্রদের মধ্যে সোমনাথ সৌ বলেন, "শিক্ষা সংক্রান্ত কোনও বৈঠক হলে ছাত্রছাত্রীদের মতামত নেওয়া হয় না। আমাদের অনেক সমস্যা আছে। আমরা সেগুলি বলতে গেলে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ শোনেন না। এই সকল কারণেই আজ বিশ্বভারতীর মান তলানিতে ঠেকেছে।"