শান্তিনিকেতন, ১১ নভেম্বর : আজ শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর বার্ষিক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ৷ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য গতকালই তিনি শান্তিনিকেতনে এসে পৌঁছান ৷ আজ সমাবর্তন অনুষ্ঠানের ভাষণে রাষ্ট্রপতি বিশ্বভারতী নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তা ও আদর্শের কথা তুলে ধরেন ৷ পাশাপাশি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী ইন্দিরা গান্ধি, সত্যজিৎ রায় ও অমর্ত্য সেনের কথাও ভাষণে উল্লেখ করেন তিনি । সমাবর্তন শেষে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে বিশ্বভারতীর পাঠভবন, রবীন্দ্রভবন ও কলাভবন ঘুরে দেখেন রাষ্ট্রপতি ।
সকাল সাড়ে 10 টা নাগাদ বিশ্বভারতীর আম্রকুঞ্জের জহরবেদীতে শুরু হয় সমাবর্তন অনুষ্ঠান । বিশ্বভারতীর পরিদর্শক তথা রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, রেক্টর তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ছাড়াও আজ অনুষ্ঠানে ছিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ও অন্যান্যরা । ভাষণে রাষ্ট্রপতি বলেন, "ইন্দিরা গান্ধি, সত্যজিৎ রায়, অমর্ত্য সেনের মত বিশ্বভারতীর প্রাক্তনীরা স্বাধীন ভারতকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন ।" এরপর তিনি প্রথা মেনে পড়ুয়াদের হাতে সপ্তপর্ণী (ছাতিমপাতা) তুলে দেন । তবে এবার সমাবর্তনে কাউকে 'দেশিকোত্তম', 'গগণ অবন' বা 'রথীন্দ্র পুরস্কার' দেওয়া হয়নি।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আজ রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালের হাতে বিশ্বভারতীর তরফে উপহার হিসেবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা ছবির রেপ্লিকা তুলে দেওয়া হয় । সমাবর্তন শেষে রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপাল বিশ্বভারতীর পাঠভবন, রবীন্দ্রভবন সংগ্রহশালা, কলাভবন ঘুরে দেখেন । রবীন্দ্রভবনের উদয়ন গৃহে কবির ব্যবহৃত চেয়ারে মাল্যদান করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন রাষ্ট্রপতি । শেষে রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালের কনভয় কুমিরডাঙা মাঠে হেলিপ্যাডে যায় । সেখান থেকে হেলিকপ্টারে অণ্ডাল বিমানবন্দরে রওনা দেন তাঁরা ।
এবছর 4725 জন পড়ুয়াকে সমাবর্তনে ডাকা হয়েছিল । তবে স্থানাভাবের কারণে বিশ্বভারতীর প্রতিটি বিভাগ থেকে মাত্র 4 জন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার সুযোগ পান । এনিয়ে আজ বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা ।