ETV Bharat / state

এলাকাকে প্লাস্টিক মুক্ত করতে লড়াই সিটিজ়়েন গ্রুপ ফর শান্তিনিকেতনের - plastic free santiniketan

সরকারি সাহায্য সেভাবে পাওয়া যায় না । তাই শান্তিনিকেতনকে পরিষ্কার রাখতে উদ্যোগী সিটিজ়়েন গ্রুপ ফর শান্তিনিকেতন । দীর্ঘ 10 বছর ধরে প্লাস্টিক মুক্ত শান্তিনিকেতন গড়ার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা ।

plastic free santiniketan
প্ল্যাস্টিক মুক্ত শান্তিনিকেতন
author img

By

Published : Jan 16, 2020, 9:24 AM IST

শান্তিনিকেতন, 14 জানুয়ারি : ব্যতিক্রম নয় শান্তিনিকেতনও । সেখানেও যথেচ্ছ বাড়ছে প্লাস্টিকের ব্যবহার । এই শান্তিনিকেতনকে প্লাস্টিক মুক্ত করতে গত 10 বছর ধরে লড়াই চালাচ্ছে সিটিজ়েন গ্রুপ ফর শান্তিনিকেতন ।

2009 সালে পূর্বপল্লিকে প্লাস্টিক মুক্ত করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন কেয়া সরকারসহ আরও কয়েকজন । প্রথমে ছোটো করে তাঁরা কাজ শুরু করেছিলেন । নাম দিয়েছিলেন সিটিজ়েন গ্রুপ ফর শান্তিনিকেতন । এখন এই গ্রুপের মোট সদস্য সংখ্যা 25 জন । যাঁদের অধিকাংশই মহিলা । সকলেই শান্তিনিকেতনের আশ্রমিক । ব্যক্তিগত উদ্যোগে তাঁরা একটি ছোটো ডাম্পার কিনেছেন বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্লাস্টিক সংগ্রহের জন্য ।

বর্তমানে পূর্বপল্লি ছাড়াও রতনপল্লি, এন্ড্রুজপল্লি, অবনপল্লি, ডিয়ার পার্ক এলাকাতেও তাঁরা এই পরিষেবা চালু করেছেন । পৌরসভা ও পঞ্চায়েতের পরিষেবা তেমন না মেলায় হাল ধরেছে সিটিজ়েন গ্রুপ ফর শান্তিনিকেতন । এক সপ্তাহে এই 7 টি পল্লির প্রায় 800 বাড়ি থেকে প্লাস্টিক সংগ্রহ করছে এই গ্রুপ ।

10 বছর ধরে সংগ্রাম চালাচ্ছে সিটিজ়েন গ্রুপ ফর শান্তিনিকেতন

যে কাজ স্থানীয় প্রশাসনের করার কথা সেই কাজ করছেন শান্তিনিকেতনের আশ্রমিকরা । কেয়া সরকার জানালেন, "প্রথম দিকে কাজটা করা বেশ শক্ত ছিল । বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতন করতে হয়েছিল । এখন ব্যাপারটা সহজ হয়ে এসেছে । আমরা এবার চাই শান্তিনিকেতনের বাজার এলাকা প্লাস্টিক মুক্ত করতে । তার জন্য পঞ্চায়েতের কাছে আবেদন করেছি । তাঁরা সাহায্য করলে আমরা কাজ শুরু করব ।"

আরও এক উদ্যোক্তা এন সেতু রমন বলেন, "আমাদের মৃত্যু হয়ে যাবে কিন্তু প্লাস্টিকের হবে না । পরিবেশের ক্ষতিকারক এই প্ল্যাস্টিক নিয়ে ১০ বছর ধরে সচেতন করে আসছি আমরা । আগামীদিনেও করব ।"

শান্তিনিকেতন, 14 জানুয়ারি : ব্যতিক্রম নয় শান্তিনিকেতনও । সেখানেও যথেচ্ছ বাড়ছে প্লাস্টিকের ব্যবহার । এই শান্তিনিকেতনকে প্লাস্টিক মুক্ত করতে গত 10 বছর ধরে লড়াই চালাচ্ছে সিটিজ়েন গ্রুপ ফর শান্তিনিকেতন ।

2009 সালে পূর্বপল্লিকে প্লাস্টিক মুক্ত করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন কেয়া সরকারসহ আরও কয়েকজন । প্রথমে ছোটো করে তাঁরা কাজ শুরু করেছিলেন । নাম দিয়েছিলেন সিটিজ়েন গ্রুপ ফর শান্তিনিকেতন । এখন এই গ্রুপের মোট সদস্য সংখ্যা 25 জন । যাঁদের অধিকাংশই মহিলা । সকলেই শান্তিনিকেতনের আশ্রমিক । ব্যক্তিগত উদ্যোগে তাঁরা একটি ছোটো ডাম্পার কিনেছেন বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্লাস্টিক সংগ্রহের জন্য ।

বর্তমানে পূর্বপল্লি ছাড়াও রতনপল্লি, এন্ড্রুজপল্লি, অবনপল্লি, ডিয়ার পার্ক এলাকাতেও তাঁরা এই পরিষেবা চালু করেছেন । পৌরসভা ও পঞ্চায়েতের পরিষেবা তেমন না মেলায় হাল ধরেছে সিটিজ়েন গ্রুপ ফর শান্তিনিকেতন । এক সপ্তাহে এই 7 টি পল্লির প্রায় 800 বাড়ি থেকে প্লাস্টিক সংগ্রহ করছে এই গ্রুপ ।

10 বছর ধরে সংগ্রাম চালাচ্ছে সিটিজ়েন গ্রুপ ফর শান্তিনিকেতন

যে কাজ স্থানীয় প্রশাসনের করার কথা সেই কাজ করছেন শান্তিনিকেতনের আশ্রমিকরা । কেয়া সরকার জানালেন, "প্রথম দিকে কাজটা করা বেশ শক্ত ছিল । বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতন করতে হয়েছিল । এখন ব্যাপারটা সহজ হয়ে এসেছে । আমরা এবার চাই শান্তিনিকেতনের বাজার এলাকা প্লাস্টিক মুক্ত করতে । তার জন্য পঞ্চায়েতের কাছে আবেদন করেছি । তাঁরা সাহায্য করলে আমরা কাজ শুরু করব ।"

আরও এক উদ্যোক্তা এন সেতু রমন বলেন, "আমাদের মৃত্যু হয়ে যাবে কিন্তু প্লাস্টিকের হবে না । পরিবেশের ক্ষতিকারক এই প্ল্যাস্টিক নিয়ে ১০ বছর ধরে সচেতন করে আসছি আমরা । আগামীদিনেও করব ।"

Intro:শান্তিনিকেতন, ১৩ জানুয়ারিঃ প্ল্যাস্টিক পরিবেশের ক্যান্সার। তাই প্ল্যাস্টিক মুক্ত শান্তিনিকেতন গড়তে চলছে ১০ বছরের সংগ্রাম। বিশেষ করে মহিলাদের দ্বারা তৈরি শান্তিনিকেতনের আশ্রমিকদের নিয়ে 'সিটিজেন গ্রুপ ফর শান্তিনিকেতন'। এই গ্রুপের উদ্যোগে প্রতিদিন প্রায় ৮০০ বাড়ি থেকে প্ল্যাস্টিক সংগ্রহ করা হয়। যে কাজ করার কথা সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত, পুরসভার। Body:শান্তিনিকেতন, ১৩ জানুয়ারিঃ প্ল্যাস্টিক পরিবেশের ক্যান্সার। তাই প্ল্যাস্টিক মুক্ত শান্তিনিকেতন গড়তে চলছে ১০ বছরের সংগ্রাম। বিশেষ করে মহিলাদের দ্বারা তৈরি শান্তিনিকেতনের আশ্রমিকদের নিয়ে 'সিটিজেন গ্রুপ ফর শান্তিনিকেতন'। এই গ্রুপের উদ্যোগে প্রতিদিন প্রায় ৮০০ বাড়ি থেকে প্ল্যাস্টিক সংগ্রহ করা হয়। যে কাজ করার কথা সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত, পুরসভার।

শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লী, রতনপল্লী, এণ্ড্রুজপল্লী, অবনপল্লী, ডিয়ার পার্ক প্রভৃতি এলাকায় ৮০০ বেশি বাড়ি রয়েছে। এই জায়গা গুলি কিছু অংশ সংশ্লিষ্ট রূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের। বাকী অংশ না পঞ্চায়েতের, না পুরসভার। তাই এই এলাকা গুলিতে পুরসভা বা পঞ্চায়েতের তেমন পরিষেবা মেলে না। তাই এই সমস্ত এলাকাকে প্ল্যাস্টিক মুক্ত করতে ২০০৯ সাল থেকে যাত্রা শুরু করেন আশ্রমিক কেয়া সরকার। মূলত তাঁর ও সঙ্গীদের উদ্যোগে গঠিত হয় "সিটিজেন গ্রুপ ফর শান্তিনিকেতন"। বর্তমানে ২৫ জন সদস্য রয়েছেন। যার বেশির ভাগই মহিলা। ব্যক্তিগত উদ্যোগে অর্থ সংগ্রহ করে একটি ছোট ডাম্পার কেনেন তারা। এই এলাকার বাড়ি বাড়ি থেকে প্রতিদিন সকালে মজুত প্ল্যাস্টিক সংগ্রহ করা হয়৷ সপ্তাহের ৭ দিনে শান্তিনিকেতনের ৭ টি পল্লী থেকে প্ল্যাস্টিক সংগ্রহ করা হয়। যাতে কেউ রাস্তায় যত্রতত্র প্ল্যাস্টিক না ফেলে। এই প্ল্যাস্টিক গুলির একটি অংশ পরিশোধনের জন্য দেওয়া হয়, অন্য বজ্র অংশ শহরের বাইরে আবর্জনা ফেলার জায়গায় ফেলে আসা হয়৷ এভাবেই মহিলাদের উদ্যোগে শান্তিনিকেতন এলাকা প্রায় প্ল্যাস্টিক মুক্ত।
যে কাজ স্থানীয় প্রশাসনের করার কথা সেই কাজ পরিবেশ বাঁচাতে করে থাকেন আশ্রমিকেরা।
এই কর্ম কাণ্ডের অন্যতম উদ্যোক্তা কেয়া সরকার বলেন, "প্রথম যখন শুরু করি বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলে আসতে হয়েছিল কেউ বাইরে প্ল্যাস্টিক ফেলবেন না। অনেক সময় লেগেছে সচেতন করতে। এখন সকলে নিজের দরজার সামনে প্ল্যাস্টিক জড়ো করে রাখেন গাড়ি গিয়ে তুলে আনে। আমরা চাই শান্তিনিকেতনের বাজার এলাকা গুলিকেও প্ল্যাস্টিক মুক্ত করতে। তারজন্য পঞ্চায়েতের সাহায্য চেয়ে চিঠি দিয়েছি।"
আরেক উদ্যোক্তা এন সেতু রমন বলেন, "আমাদের মৃত্যু হয়ে যাবে কিন্তু প্ল্যাস্টিকের হবে না। পরিবেশের ক্ষতিকারক এই প্ল্যাস্টিক নিয়ে ১০ বছর ধরে সচেতন করে আসছি আমরা। আগামীতেও করব।"Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.