বীরভূম, 30 জুন: দীর্ঘ দু’বছর পর অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে করোনা পরিস্থিতি ৷ এই বছর ফের তারাপীঠের ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রায় সামিল হতে পারবেন জনসাধরণ ৷ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই তারাপীঠ মন্দির কমিটি এবং তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের যৌথ উদ্যোগে পালিত করা হচ্ছে রথযাত্রা (Tarapith Rathyatra)।
রথযাত্রার দিন দূরদূরান্ত থেকে থেকে হাজার হাজার ভক্তের সমাগম ঘটে দেবী দর্শনের । বিগত দু’বছর বাদে ফের রথযাত্রা হওয়ার খবরে খুশির হাওয়া তারাপীঠে । ইতিমধ্যেই দর্শনার্থীরা মন্দিরে ভিড় জমিয়েছেন ৷ শুক্রবার রথযাত্রার দিন যাত্রা শুরুর আগে বেনারসী পরানো হবে তারা মাকে । দেবীর মধ্যাহ্নভোজনের পর প্রাচীন প্রথা মেনে বিশেষ পুজো করে দেবীকে সুসজ্জিত রথে চাপানো হবে । শুধু তাই নয়, রথের দিনে তারা মারে জিলিপির ভোগ নিবেদন করা হয় প্রথা মেনে । এই বছরও তাই হবে । অপরাজিতা, জবা, রজনীগন্ধা, করবী এই সমস্ত ফুলের বড় বড় মালা দিয়ে সাজানো হবে দেবীকে । মা তারাকে মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে বের করে মন্দিরের মূল প্রবেশদ্বারের নীচে দাঁড়িয়ে থাকা সুসজ্জিত রথে চাপানো হয় ।
আরও পড়ুন: রাজপথে ইসকনের রথের রশিতে টান দেবেন মুখ্যমন্ত্রী
তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, "রথে জগন্নাথ সুভদ্রা, বলভদ্রর পরিবর্তে মা তারা থাকেন । রথের দিন মা তারার অঙ্গে কৃষ্ণ কালী রূপ বিরাজ করে । প্রথা মেনে দেবীকে মূল প্রবেশদ্বার থেকে উত্তরমুখ করে নিয়ে যাওয়া হয় । উত্তর মুখে রথে চেপে দ্বারকা সেতু সংলগ্ন রামপুরহাট সাঁইথিয়া রাস্তা ধরে রথ তারাপীঠের তিন মাথা মোড় হয়ে মন্দিরের মূল প্রবেশদ্বারে আসে ।’’
রথের দড়ি টানার পাশাপাশি তারা মায়ের দর্শনের জন্য দর্শনার্থীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় । সেই কথা মাথায় রেখে তারাপীঠ মন্দির কমিটির তরফ থেকে নিয়োগ করা হয়েছে প্রচুর নিরাপত্তারক্ষী ৷ যাত্রা শেষে দেবীকে গর্ভগৃহে প্রবেশ করানো হবে ৷