ETV Bharat / state

লাভপুর হত্যাকাণ্ডে এবার সিউড়ি থানায় 4 ঘণ্টা জেরা মুকুলকে

author img

By

Published : Jan 24, 2020, 3:31 AM IST

BJP নেতা মুকুল রায় জানান, তাঁকে 4 ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয়েছে ৷ তিনি সব প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিয়েছেন ৷

Mukul Roy
মুকুল রায়

সিউড়ি, 24 জানুয়ারি : লাভপুরে একই পরিবারের তিন ভাইকে খুনের ঘটনায় BJP নেতা মুকুল রায়কে 4 ঘণ্টা জেরা করল সিউড়ি থানার পুলিশ । গতকাল দুপুর 3 টে নাগাদ জেরা শুরু করে পুলিশ ।

জেরা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুকুলবাবু বলেন, "কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলায় একটা রায় দিয়েছে ৷ তাতে বলেছে কোনও ইনভেস্টিগেশন হলে তাতে সহযোগিতা করতে ৷ পুলিশ অফিসারদের কিছু করার নেই ৷ কারণ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে ৷ সেই নির্দেশ মেনে আমাদের ডাকছেন ৷ আমাকে আজ 4 ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন প্রশ্ন করেছেন ৷ আমি সব প্রশ্নের যথাযথ জবাব দিয়েছি বলি মনে করি ৷ "

এর আগেও একই মামলায় দুবরাজপুর থানায় ডেকে জেরা করা হয়েছিল মুকুলকে ৷ এবার সিউড়ি থানায় জেরা করা হয় ৷

উল্লেখ্য, বালিরঘাটের দখলদারির দ্বন্দ্ব মেটাতে 2010 সালের 4 জুন লাভপুরের নবগ্রামে নিজের বাড়ির উঠানে সালিশি সভা ডেকেছিলেন মণিরুল ইসলাম । তখন তিনি ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতা ছিলেন । সেই সালিশি সভায় বচসার জেরে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল কটুন শেখ, ধানু শেখ ও তরুক শেখকে । ঘটনায় মণিরুল ইসলামসহ ৫২ জনের নামে লাভপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল । ঘটনার পর পরই তৃণমূলে যোগ দেন মণিরুল ইসলাম ৷ পরে লাভপুর বিধানসভা থেকে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হন । 2011 সালে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছিলেন, "পায়ের তল দিয়ে তিনজনকে মেরে দিয়েছি ৷ " এবং বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ৷ 2015 সালে এই মামলায় পুলিশ বোলপুর আদালতে 30 জনের নামে চার্জশিট জমা দিয়েছিল । সেই চার্জশিটে নাম ছিল না মণিরুল ইসলামের । পরে নিহতের পরিবার পুনরায় তদন্তের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ৷ গত বছর 4 সেপ্টেম্বর ঘটনার পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট ।

ইতিমধ্যে তৃণমূল ছেড়ে দিল্লিতে গিয়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়ের হাত ধরে BJP-তে যোগ দেন মণিরুল । হাইকোর্টের নির্দেশমত ফের তদন্ত শুরু করে পুলিশ । গতবছর 4 ডিসেম্বর বোলপুর আদালতে একটি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ । জানা গেছে, সেই চার্জশিটে নাম রয়েছে মণিরুল ইসলামের । এমনকী, ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে চার্জশিটে নাম রয়েছে মুকুলবাবুরও ৷ 2010 সালে ঘটনার সময় তৃণমূলের অন্যতম নেতা ছিলেন মুকুলবাবু । মণিরুল ইসলাম ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথোপকথন চলছিল । তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে মুকুল রায়ের প্ররোচনা ছিল লাভপুর হত্যাকাণ্ডে ।

সিউড়ি, 24 জানুয়ারি : লাভপুরে একই পরিবারের তিন ভাইকে খুনের ঘটনায় BJP নেতা মুকুল রায়কে 4 ঘণ্টা জেরা করল সিউড়ি থানার পুলিশ । গতকাল দুপুর 3 টে নাগাদ জেরা শুরু করে পুলিশ ।

জেরা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুকুলবাবু বলেন, "কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলায় একটা রায় দিয়েছে ৷ তাতে বলেছে কোনও ইনভেস্টিগেশন হলে তাতে সহযোগিতা করতে ৷ পুলিশ অফিসারদের কিছু করার নেই ৷ কারণ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে ৷ সেই নির্দেশ মেনে আমাদের ডাকছেন ৷ আমাকে আজ 4 ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন প্রশ্ন করেছেন ৷ আমি সব প্রশ্নের যথাযথ জবাব দিয়েছি বলি মনে করি ৷ "

এর আগেও একই মামলায় দুবরাজপুর থানায় ডেকে জেরা করা হয়েছিল মুকুলকে ৷ এবার সিউড়ি থানায় জেরা করা হয় ৷

উল্লেখ্য, বালিরঘাটের দখলদারির দ্বন্দ্ব মেটাতে 2010 সালের 4 জুন লাভপুরের নবগ্রামে নিজের বাড়ির উঠানে সালিশি সভা ডেকেছিলেন মণিরুল ইসলাম । তখন তিনি ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতা ছিলেন । সেই সালিশি সভায় বচসার জেরে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল কটুন শেখ, ধানু শেখ ও তরুক শেখকে । ঘটনায় মণিরুল ইসলামসহ ৫২ জনের নামে লাভপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল । ঘটনার পর পরই তৃণমূলে যোগ দেন মণিরুল ইসলাম ৷ পরে লাভপুর বিধানসভা থেকে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হন । 2011 সালে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছিলেন, "পায়ের তল দিয়ে তিনজনকে মেরে দিয়েছি ৷ " এবং বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ৷ 2015 সালে এই মামলায় পুলিশ বোলপুর আদালতে 30 জনের নামে চার্জশিট জমা দিয়েছিল । সেই চার্জশিটে নাম ছিল না মণিরুল ইসলামের । পরে নিহতের পরিবার পুনরায় তদন্তের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ৷ গত বছর 4 সেপ্টেম্বর ঘটনার পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট ।

ইতিমধ্যে তৃণমূল ছেড়ে দিল্লিতে গিয়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়ের হাত ধরে BJP-তে যোগ দেন মণিরুল । হাইকোর্টের নির্দেশমত ফের তদন্ত শুরু করে পুলিশ । গতবছর 4 ডিসেম্বর বোলপুর আদালতে একটি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ । জানা গেছে, সেই চার্জশিটে নাম রয়েছে মণিরুল ইসলামের । এমনকী, ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে চার্জশিটে নাম রয়েছে মুকুলবাবুরও ৷ 2010 সালে ঘটনার সময় তৃণমূলের অন্যতম নেতা ছিলেন মুকুলবাবু । মণিরুল ইসলাম ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথোপকথন চলছিল । তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে মুকুল রায়ের প্ররোচনা ছিল লাভপুর হত্যাকাণ্ডে ।

Intro:সিউড়ি, ২৩ জানুয়ারিঃ লাভপুর একই পরিবারের তিন ভাইকে খুনের ঘটনায় বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে ৪ ঘন্টা জেরা করল সিউড়ি থানার পুলিশ। এদিন দুপুর ৩ টে থেকে জেরা শুরু করে পুলিশ।Body:সিউড়ি, ২৩ জানুয়ারিঃ লাভপুর একই পরিবারের তিন ভাইকে খুনের ঘটনায় বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে ৪ ঘন্টা জেরা করল সিউড়ি থানার পুলিশ। এদিন দুপুর ৩ টে থেকে জেরা শুরু করে পুলিশ।
জেরা শেষে বিজেপি নেতা মুকুল রায় বলেন, "লাভপুরে খুনের ঘটনায় আমাকে পুলিশ ডেকেছিল আমি এসেছি। আগেও ডেকেছিল আমি এসেছিলাম। পুলিশ ভালোই ব্যবহার করেছে। যা যা জিজ্ঞাসা করেছে আমি যথাযথ উত্তর দিয়েছি।"
আর আগেও একই মামলায় দুবরাজপুর থানায় ডেকে মুকুল রায়কে জেরা করেছিল পুলিশ। এবার সিউড়ি থানায় জেরা করা হয়।

বালিরঘাটের দখলদারির দ্বন্দ্ব মেটাতে ২০১০ সালের ৪ জুন লাভপুরের নবগ্রামে নিজের বাড়ির উঠানে সালিশি সভা ডেকেছিলেন মণিরুল ইসলাম। তখন তিনি ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতা ছিলেন। সেই সালিশি সভায় বচসার জেরে পিটিয়ে মেরে দেওয়া হয় কটুন শেখ, ধানু শেখ ও তরুক শেখকে। মণিরুল ইসলাম সহ ৫২ জনের নামে লাভপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। ঘটনার পরে পরেই তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। পরে লাভপুর বিধানসভা থেকে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হন। ২০১১ সালে একটি জনসভা থেকে "পায়ের তল দিয়ে তিনজনকে মেরে দিয়েছি" বলে বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন মণিরুল। ২০১৫ সালে এই মামলায় পুলিশ বোলপুর আদালতে ৩০ জনের নামে চার্জশিট জমা দেয়। সেই চার্জশিটে নাম বাদ যায় এই মণিরুলের। পরে নিহতের পরিবার পুরঃরায় তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ঘটনার পুনঃরায় তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
ইতিমধ্যে তৃণমূল ছেড়ে দিল্লিতে গিয়ে কৈলাশ বিজয় বর্গীয় ও মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন মণিরুল।
হাইকোর্টের নির্দেশ মত ফের তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ৪ ডিসেম্বর বোলপুর আদালতে একটি সাপ্লিমেন্টারী চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। জানা গিয়েছে, সেই চার্জশিটে নাম রয়েছে মণিরুল ইসলামের। এমনকি, প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে চার্জশিটে নাম রয়েছে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের। ২০১০ সালে ঘটনার সময় তৃণমূলের অন্যতম নেতা ছিলেন মুকুল রায়। মণিরুল ইসলাম ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথোপকথন চলছিল। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে মুকুল রায়ের প্ররোচনা ছিল লাভপুর হত্যাকাণ্ডে।Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.