ETV Bharat / state

Man Gets Death Penalty: মা ও মেয়ের খুনে আসামী 'সাধু'র ফাঁসির সাজা শোনালেন বিচারক

বীরভূমের রামপুরহাটে মা ও ময়ের খুনের আসামী হরিচরণ দাসের ফাঁসির সাজা ঘোষণা রামপুরহাট মহকুমা আদালতের ৷ অপারাধীর দাবি তিনি নির্দোষ, পুলিশের চাপে দোষ স্বীকার করেছেন ৷ তবে তিনি এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত চান ৷

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 29, 2023, 9:58 PM IST

Updated : Aug 29, 2023, 10:28 PM IST

মা ও মেয়ের খুনে আসামীর ফাঁসি

রামপুরহাট, 29 অগস্ট: মা ও মেয়েকে খুন করার অপরাধে এক সাধুর ফাঁসির সাজা ঘোষণা করল আদালত। মঙ্গলবার বীরভূমের রামপুরহাট মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক গুরুদাস বিশ্বাস ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছেন । সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীর নাম হরিচরণ দাস ওরফে হরি বাবা। তিনি বীরভূমের মল্লারপুর গোপালবাবা আশ্রমের সাধু হিসেবে পরিচিত এলাকায়। সিউড়ি থানার পানিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা তিনি।

ঘটনার সূত্রপাত 2020 সালের 17 মে ৷ ঘটনাস্থল মল্লারপুরের ফতেপুর এলাকা। মল্লারপুরের বাসিন্দা মিলন মণ্ডল পেশায় গৃহশিক্ষক ও হোমিওপ্যাথি ওষুধ বিক্রেতা। স্ত্রী ডলি মণ্ডল রামপুহাটে ফুড কর্পোরেশনের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ছিলেন। এক দুর্ঘটনায় একমাত্র মেয়ে রিম্পা মণ্ডলের (17) দেহের একাংশ আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। সেই চিকিৎসার জন্য মল্লারপুরে গোপালবাবা আশ্রমের সাধু হরিচরণ দাসের শরণাপন্ন হয়েছিলেন তাঁরা ৷ তখনই চিকিৎসা করার জন্য লক্ষধিক টাকায় চুক্তি হয় । দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর কোনও সুফল পাচ্ছিলেন না তাঁরা ৷ শেষে মিলন মণ্ডলের বাড়িতে 15 জুলাই 2020-তে একটি যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছিল ৷ সেই সময় পরিবারের সকলকে কাজু বাদামের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছিল হরিচরণ দাস ৷ সেই সুযোগে ডলি মণ্ডলকে ধর্ষন করে গলা টিপে খুন করে সে।

এখানেই শেষ নয় ৷ মৃত্যু নিশ্চিত করতে বটি দিয়ে গলা কেটে দেয়। খুনের পর সাধু হরি বাবা আশ্রমে চলে যায়। একদিন পর আবারও ফিরে এসে অচৈতন অবস্থায় থাকা মেয়ে রিম্পা মণ্ডলকে খুন করে । অচৈতন্য মিলন মণ্ডলকে বাড়ি থেকে সে সিউড়িতে নিয়ে চলে যায়। 17 জুলাই স্থানীয় দুই বাসিন্দা মিলন মণ্ডলের বাড়িতে এসে মৃতদেহ গুলি দেখতে পায়। তাঁরাই মিলন মণ্ডলের আত্মীয়কে খবর দেয় ৷

পরদিন ডলি মণ্ডলের বোন রাকেশ্বরী মণ্ডল মল্লারপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । তদন্তে নেমে দু‘দিন পর পুলিশ গোপালবাবা আশ্রমের এক সন্ন্যাসিনী কাকুলি পাত্র ও মিলন মণ্ডলকে গ্রেফতার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মল্লারপুর থানার পুলিশ তারাপীঠ মহাশ্মশান থেকে 19 সেপ্টেম্বর (2020) তারিখ হরিচরণ দাসকে গ্রেফতার করে ৷ তার বিরুদ্ধে মামলা শুরু করে । পর্যাপ্ত তথ্য পুরণের অভাবে মিলন মণ্ডল জামিন পেলেও হরিচরণ দাস ও কাকুলি পাত্র জেল হেফাজতে থাকে । সোমবার কাকুলি পাত্র নির্দোষ প্রমাণিত হলেও হরিচরণ দাস ওরফে হরিবাবাকে 302 ধারা মতে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত ৷ হরিচরণ দাসকে ফাঁসির সাজা দেন রামপুরহাট মহকুমা আদালতের বিচারক । সরকারি আইনজীবী উৎপল মুখোপাধ্য়ায় বলেন, "আজ রামপুরহাট মহকুমা দায়রা আদালত মল্লারপুরে খুন হওয়া মা ডলি মণ্ডল ও মেয়েকে খুনের দায়ে হরিচরণ দাসকে ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেছেন ৷"

আরও পড়ুন: শিক্ষক-সহ চারজনকে খুন, অপরাধীকে ফাঁসির সাজা শোনাল আদালত

রামপুরহাট মহকুমা আদালত থেকে জেলে নিয়ে যাওয়ার সময়, সাংবাদিকদের কাছে নির্দোষ বলে দাবি করেন হরিচরণ দাস। তিনি বলেন, "আমি নির্দোষ, পুলিশের চাপে দোষ স্বীকার করেছিলাম। আমি এই গোটা বিষয়ে সিবিআই তদন্ত দাবি করছি।"

মা ও মেয়ের খুনে আসামীর ফাঁসি

রামপুরহাট, 29 অগস্ট: মা ও মেয়েকে খুন করার অপরাধে এক সাধুর ফাঁসির সাজা ঘোষণা করল আদালত। মঙ্গলবার বীরভূমের রামপুরহাট মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক গুরুদাস বিশ্বাস ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছেন । সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীর নাম হরিচরণ দাস ওরফে হরি বাবা। তিনি বীরভূমের মল্লারপুর গোপালবাবা আশ্রমের সাধু হিসেবে পরিচিত এলাকায়। সিউড়ি থানার পানিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা তিনি।

ঘটনার সূত্রপাত 2020 সালের 17 মে ৷ ঘটনাস্থল মল্লারপুরের ফতেপুর এলাকা। মল্লারপুরের বাসিন্দা মিলন মণ্ডল পেশায় গৃহশিক্ষক ও হোমিওপ্যাথি ওষুধ বিক্রেতা। স্ত্রী ডলি মণ্ডল রামপুহাটে ফুড কর্পোরেশনের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ছিলেন। এক দুর্ঘটনায় একমাত্র মেয়ে রিম্পা মণ্ডলের (17) দেহের একাংশ আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। সেই চিকিৎসার জন্য মল্লারপুরে গোপালবাবা আশ্রমের সাধু হরিচরণ দাসের শরণাপন্ন হয়েছিলেন তাঁরা ৷ তখনই চিকিৎসা করার জন্য লক্ষধিক টাকায় চুক্তি হয় । দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর কোনও সুফল পাচ্ছিলেন না তাঁরা ৷ শেষে মিলন মণ্ডলের বাড়িতে 15 জুলাই 2020-তে একটি যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছিল ৷ সেই সময় পরিবারের সকলকে কাজু বাদামের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছিল হরিচরণ দাস ৷ সেই সুযোগে ডলি মণ্ডলকে ধর্ষন করে গলা টিপে খুন করে সে।

এখানেই শেষ নয় ৷ মৃত্যু নিশ্চিত করতে বটি দিয়ে গলা কেটে দেয়। খুনের পর সাধু হরি বাবা আশ্রমে চলে যায়। একদিন পর আবারও ফিরে এসে অচৈতন অবস্থায় থাকা মেয়ে রিম্পা মণ্ডলকে খুন করে । অচৈতন্য মিলন মণ্ডলকে বাড়ি থেকে সে সিউড়িতে নিয়ে চলে যায়। 17 জুলাই স্থানীয় দুই বাসিন্দা মিলন মণ্ডলের বাড়িতে এসে মৃতদেহ গুলি দেখতে পায়। তাঁরাই মিলন মণ্ডলের আত্মীয়কে খবর দেয় ৷

পরদিন ডলি মণ্ডলের বোন রাকেশ্বরী মণ্ডল মল্লারপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । তদন্তে নেমে দু‘দিন পর পুলিশ গোপালবাবা আশ্রমের এক সন্ন্যাসিনী কাকুলি পাত্র ও মিলন মণ্ডলকে গ্রেফতার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মল্লারপুর থানার পুলিশ তারাপীঠ মহাশ্মশান থেকে 19 সেপ্টেম্বর (2020) তারিখ হরিচরণ দাসকে গ্রেফতার করে ৷ তার বিরুদ্ধে মামলা শুরু করে । পর্যাপ্ত তথ্য পুরণের অভাবে মিলন মণ্ডল জামিন পেলেও হরিচরণ দাস ও কাকুলি পাত্র জেল হেফাজতে থাকে । সোমবার কাকুলি পাত্র নির্দোষ প্রমাণিত হলেও হরিচরণ দাস ওরফে হরিবাবাকে 302 ধারা মতে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত ৷ হরিচরণ দাসকে ফাঁসির সাজা দেন রামপুরহাট মহকুমা আদালতের বিচারক । সরকারি আইনজীবী উৎপল মুখোপাধ্য়ায় বলেন, "আজ রামপুরহাট মহকুমা দায়রা আদালত মল্লারপুরে খুন হওয়া মা ডলি মণ্ডল ও মেয়েকে খুনের দায়ে হরিচরণ দাসকে ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেছেন ৷"

আরও পড়ুন: শিক্ষক-সহ চারজনকে খুন, অপরাধীকে ফাঁসির সাজা শোনাল আদালত

রামপুরহাট মহকুমা আদালত থেকে জেলে নিয়ে যাওয়ার সময়, সাংবাদিকদের কাছে নির্দোষ বলে দাবি করেন হরিচরণ দাস। তিনি বলেন, "আমি নির্দোষ, পুলিশের চাপে দোষ স্বীকার করেছিলাম। আমি এই গোটা বিষয়ে সিবিআই তদন্ত দাবি করছি।"

Last Updated : Aug 29, 2023, 10:28 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.