রামপুরহাট, 9 ডিসেম্বর: বিরোধী হিসেবে সংসদে নিজেকে বলিষ্ঠভাবে উপস্থাপন করতে সফল হয়েছিলেন তৃণমূলের বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্র ৷ সেই কারণেই তাঁর উপরে এই কোপ ৷ এমনটাই মনে করেন তৃণমূলের বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় ৷ আজ রামপুরহাটে তৃণমূলের একটি কর্মসূচীতে যোগ দিয়ে এমনটাই জানালেন এই তারকা সাংসদ ৷ তাঁর কথায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ ৷
মহুয়ার বহিষ্কার প্রসঙ্গে এ দিন শতাব্দী বলেন, ‘‘মহুয়া মৈত্র লোকসভায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন ৷ তিনি সাংসদ হিসেবে নিজের প্রভাব বিস্তার করেছিলেন খুব অল্প সময়ে ৷ তাই তাঁকে সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ৷’’ আর মহুয়ার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে শতাব্দীর মত, এথিক্স কমিটি কৃষ্ণনগরের সাংসদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি ৷ অভিযোগের মাত্র একমাসের মধ্যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁর সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন বীরভূমের সাংসদ ৷
এ প্রসঙ্গে শতাব্দী রায় এও বলেন, ‘‘এত তাড়াহুড়ো কীসের ? বছরের পর বছর ধরে এমন একাধিক অভিযোগ লোকসভার এথিক্স কমিটির কাছে পড়ে থাকে ৷ সেগুলি নিয়ে কখনও এত তৎপরতা দেখা যায় না ৷ আর ওর (মহুয়া) ক্ষেত্রে একমাসের মধ্যে কোনও তদন্ত না-করেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলা হল !’’ শতাব্দী দাবি তুলেছেন, মহুয়ার বিরুদ্ধে যাঁরা অভিযোগ তুলেছিলেন, তাঁদের কেন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়নি ?
উল্লেখ্য, দুবাইয়ের শিল্পপতির থেকে নগদ অর্থ ও উপহারের বিনিময়ে লোকসভায় প্রশ্ন করতেন বলে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল ৷ এমনকি শিল্পপতি দর্শন হিরানন্দানিকে সংসদের পোর্টালের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড শেয়ার করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে ৷ যা অবশ্য আগেই শিকার করে নিয়েছিলেন মহুয়া ৷ যার পরে তাঁর বিরুদ্ধে জাতীয় সুরক্ষাকে বিঘ্নিত করার অভিযোগ ওঠে ৷ যা নিয়ে ইতিমধ্যে কোনও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের সুপারিশ করেছে লোকসভার এথিক্স কমিটি ৷
আরও পড়ুন: