মল্লারপুর, 29 নভেম্বর: সাইকেলে করেই লটারি বিক্রি করতেন রামপুরহাট থানার চাকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা তাপস লেট। পরে দোকান বানান ৷ ইচ্ছে ছিল একটি মোটরবাইক কেনার। কিন্তু গরিবের সংসারে একসঙ্গে লক্ষ টাকার উপরে দাম দিয়ে মোটর বাইক কেনা সাধ্য হয়ে উঠছিল না। শেষমেশ পরিকল্পনা করে 10 টাকার কয়েন জমাতে আরম্ভ করেন তাপসবাবু। মঙ্গলবার বস্তাভরতি 10 টাকার কয়েন নিয়ে পৌঁছে যান একটি মোটরবাইক শো-রুমে। সেই কর্মকাণ্ড দেখেই কার্যত অবাক হয়ে যান শো-রুমের মালিক থেকে কর্মীরা। যদিও পরে শো-রুমের 5 জন কর্মচারী মিলে প্রায় 2 ঘণ্টা ধরে সেই টাকা গোনার পর অবশেষে তাঁর হাতে তুলে দিলেন একটি মোটরবাইক।
উল্লেখ্য, তামিলনাড়ুতে 10 টাকার কয়েন দিয়ে চারচাকা গাড়ি কিনে তাক লাগিয়েছিলেন এক যুবক। এবার বীরভূমের রামপুরহাট থানার চাকপাড়া গ্রামের এক লটারি বিক্রেতা তাপস লেট 10 টাকার কয়েন জমিয়ে লক্ষাধিক টাকার মোটরবাইক কিনে অবাক করে দিলেন সবাইকে। মঙ্গলবার বিকেলে বীরভূমের মল্লারপুরের বাহিনা মোড়ের একটি শো-রুমে সেই মতো বস্তাভরতি করে 10 টাকার কয়েন নিয়ে মোটরবাইক শো-রুমে হাজির হন তিনি ৷ সঙ্গে ছিলেন এক আত্মীয়।
লটারি বিক্রেতা তাপস লেট বলেন, "দীর্ঘদিন থেকেই ইচ্ছে ছিল একটি বাইক কিনব। কিন্তু একসঙ্গে এত টাকা পাব কোথায় ? তাই এই পন্থা নিই। কয়েক বছর ধরে 10 টাকার কয়েন জমাই । আজ স্বপ্নপূরণ হল। আমি খুবই খুশি। আবারও এভাবেই টাকা জমাব। ভবিষ্যতে বড় কিছু কেনার জন্য।"
শো-রুমের মালিক প্রদীপ্ত কুমার মণ্ডল বলেন, "যেহেতু কয়েনের সংখ্যা অগুনতি, তাই গুনতে দীর্ঘক্ষণ সময় লেগে যায়। সেই কারণেই প্রথমে তা নিতে দ্বিধা বোধ করছিল আমার শো-রুমের কর্মচারীরা। আমি খবর পেয়ে শো-রুমে আসি। যেহেতু 10 টাকার কয়েন বৈধ, তাই দু'ঘণ্টার বেশি সময় ধরে সেগুলি গুনে নিই ৷ তারপর সমস্ত প্রক্রিয়া শেষে ওই ব্যক্তির হাতে তুলে দেওয়া হয় নতুন বাইকের চাবি।"
আরও পড়ুন: