শান্তিনিকেতন, 21 সেপ্টেম্বর: শান্তিনিকেতনের নিখোঁজ নাবালকের খুনের (Santiniketan Child Murder) ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রথম শান্তিনিকেতন থানায় আসেন বিজেপির হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। পরে গ্রামেও যান তিনি। গ্রামে পুলিশের সামনেই তাঁকে ঘিরে 'গো ব্যাক' স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা ৷ ব্যাপক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। গ্রাম থেকে বেরিয়ে এসে শান্তিনিকেতন থানার সামনে ধরনায় বসেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেখানেই শাসকদল ও পুলিশকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য় করেন তিনি ৷
তিনি বলেন, "আমরা সবাই এখানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। পুলিশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এটা করেছে। পুলিশ আর তৃণমূলের গুন্ডারা এজন্য দায়ী। ওই শিশুর মা-বাবাকে 10 লক্ষ টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করেছে। যাতে ওনারা বাইরে সত্যটা না-বলতে পারেন ৷ তাই আমাদেরও গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হয়নি ৷ আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব (Locket Chatterjee on Santiniketan Child Murder)।"
আরও পড়ুন: নিঁখোজ শিশুর পচাগলা দেহ উদ্ধার, ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ প্রতিবেশীর বাড়িতে
উল্লেখ্য, 18 সেপ্টেম্বর সকাল 9.30টা থেকে শান্তিনিকেতন থানার মোলডাঙা গ্রামের টালিপাড়ার নাবালক শিবম ঠাকুর নিঁখোজ হয়ে যায় ৷ 20 সেপ্টেম্বর দুপুরে প্রতিবেশী রুবি বিবির বাড়ির অ্যাডবেস্টারের ছাদ থেকে শিবমের বস্তাবন্দি পচাগলা দেহ উদ্ধার হয় (Child Body Recovered) ৷ এরপর ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা ৷ অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করা হয় ৷ উত্তেজনা থাকায় 6টি পুলিশ পিকেট বসানো হয়৷
অন্যদিকে, ধৃত রুবি বিবিকে এদিন বোলপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয় ৷ আবেদন মতো 8 দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে। মৃত শিবম ঠাকুরের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।