নলহাটি, 16 ডিসেম্বর: বীরভূমের নলহাটিতে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করল পুলিশ ৷ ঝাড়খণ্ড সীমানা এলাকার নলহাটি থানার চন্দননগর গ্রামে একটি পরিত্যক্ত পাথর খাদানের অফিস থেকে এই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর ৷ দু’শো কার্টুন জিলেটিন স্টিক, 14 কার্টুনে আনুমানিক 1000 পিস ডিটোনেটর এবং 14 বস্তা অ্যামোনিয়াম টাইট্রেট পাওয়া গিয়েছে ৷ বিস্ফোরক উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় বম্ব স্কোয়াডকে খবর দিয়েছে নলহাটি থানার পুলিশ ৷ বম্ব স্কোয়াড ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্ফোরকগুলি উদ্ধার করলে তার সঠিক পরিমাণ জানা যাবে ৷
উল্লেখ্য, বেশ কয়েকমাস আগে বীরভূমে জিলেটিন স্টিক, ডিটোনেটর-সহ বিশাল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছিল ৷ পরবর্তী সময়ে সেই ঘটনার তদন্তে নেমে জাতীয় তদন্তাকারী সংস্থা বা এনআইএ গত 4 অগস্ট তৃণমূল নেতা ইসলাম চৌধুর-সহ আটজনকে গ্রেফতার করেছিল ৷ ধৃতদের জেরা করার সময় অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের নাম হাতে আসে এনআইএ তদন্তকারীদের ৷ বর্তমানে দু’জনেই গরুপাচার-কাণ্ডে তিহাড় জেলে বন্দি ৷ ইতিমধ্যে, সায়গল হোসেনকে তিহাড়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন এনআইএ আধিকারিকরা ৷ আর সেই তদন্ত চলাকালীন নলহাটি থানার পুলিশ আরও বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক বাজেয়াপ্ত করল ৷
উল্লেখ্য, মহম্মদবাজার থেকে সেই বিস্ফোরকের সন্ধার পাওয়া গিয়েছিল ৷ যেখানে 81 হাজার ডিটোনেটর-সহ 27 হাজার কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও বিপুল পরিমাণ জিলেটিন স্টিক উদ্ধার করেছিল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ৷ বিস্ফোরকের বড়সড় কারবার চলছে, এমন সন্দেহ থেকে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাকে মামলার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছিল ৷ আর তদন্তে নেমে 4 অগস্ট তৃণমূল কংগ্রেসের পাইকরের কুশমোড় 2 নম্বর অঞ্চল সভাপতি ইসলাম চৌধুরী এবং পঞ্চায়েত সদস্য মনোজ ঘোষ-সহ আটজনকে গ্রেফতার করেছিলেন গোয়েন্দারা ৷
তবে, শুধু গ্রেফতার করা নয় ৷ ধৃতদের বাড়ি থেকে ল্যাপটপ, ডায়েরি-সহ একাধিক নথি বাজেয়াপ্ত করেছিল এনআইএ ৷ জানা গিয়েছিল, সেগুলি থেকে একাধিক তথ্যও তদন্তকারীদের হাতে এসেছিল ৷ সেই ঘটনার পর এবার নলহাটি থেকে আবার বিস্ফোরক উদ্ধার হল আজ ৷ তবে, পাথর খাদানে ব্যবহারেরও জিলেটিন স্টিক ও ডিটোনেটর ব্যবহার হয় ৷ সেক্ষেত্রে এগুলি সেরকমই কোনও খাদানে ব্যবহারের জন্য রাখা হয়েছিল কিনা, তা নিয়ে নিশ্চিত নয় পুলিশ ৷ কিন্তু, পাথর খাদানে ব্যবহারের জন্য একসঙ্গে এত পরিমাণ জিলেটিন স্টিক ও ডিটোনেটর সাধারণত মজুত করা হয় না বলেই খবর ৷ তাও পাথর খাদানের পরিত্যক্ত অফিসে ৷
আরও পড়ুন: