রামপুরহাট (বীরভূম), 13 ডিসেম্বর: লালন শেখের (Lalan Sheikh Death) জিভ কেটে নেওয়ার অভিযোগ তুললেন তাঁর স্ত্রী রেশমা বিবি ৷ পাশাপাশি এই ঘটনায় সিআইডি (CID) তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি ৷ এমনকি, সিবিআইয়ের (CBI) তদন্তকারী আধিকারিক গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত দেহ নিতে অস্বীকার করেছেন নিহতের স্ত্রী ।
এদিকে এই ঘটনা জুড়ে বীরভূমের বগটুই জুড়ে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে । সিবিআইয়ের ক্যাম্প অফিসেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা রয়েছে ৷ সব মিলিয়ে সিবিআই হেফাজতে বগটুই হত্যাকাণ্ডের (Bogtui Massacre) মূল অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যুতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি এখনও রয়েছে ৷
সোমবার সিবিআই হেফাজতে মৃত্যু হয় বগটুই গণহত্যা-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখের ৷ গত 4 ডিসেম্বর তাঁকে ঝাড়খণ্ডের পাকুড় থেকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই । রামপুরহাটে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসে ছিলেন তিনি ৷ সেখানেই তাঁকে জেরা করছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা ৷ সিবিআইয়ের দাবি, বাথরুমে গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন লালন ৷
তবে মৃতের স্ত্রী রেশমা বিবির দাবি, সিবিআই তাঁর স্বামীকে খুন করেছে । লালনকে বারবার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল, বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল । এমনকি, জিভ কেটে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল । ঘটনায় সিআইডি তদন্তের দাবিও করেন তিনি ৷ পাশাপাশি, বগটুই কাণ্ডের তদন্তে থাকা সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিককে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত দেহ নিতেও অস্বীকার করেন রেশমা ৷
তিনি বলেন, "আবার রাস্তা অবরোধ করব৷ সিবিআই গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত দেহ নেব না । লালনকে ব্যাপক মেরেছে, জিভ কেটে নেব বলেছিল । আমি বিচার চাই ৷ সিআইডি তদন্ত চাই ।"
স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনায় ফের সরগরম রাজ্য রাজনীতি ৷ লালন শেখের মৃত্যুর খবরের জেরে যাতে নতুন করে কোনও অশান্তি না ছড়ায় তার জন্য জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠির নেতৃত্বে বগটুই গ্রাম ঘিরে ফেলেছে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: 50 লক্ষ ঘুষ না দেওয়াতেই লালনকে খুন, সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ স্ত্রীর