মুরারই, 5 সেপ্টেম্বর: 'খাব না, আর খেতেও দেব না' ৷ 2014 সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার আগে এ কথাই শোনা গিয়েছিল নরেন্দ্র মোদির গলায় ৷ দুর্নীতি মুক্ত দেশ গড়তে একাধিকবার এমনই মন্তব্য শোনা গিয়েছিল সেদিনের সেই হবু প্রধানমন্ত্রীর গলায় ৷ এবার সেই একই বাণী আওড়ালেন তৃণমূল নেতা কাজল শেখ ৷ বীরভূমে দুর্নীতি মুক্ত প্রশাসন গড়ার আশ্বাস দিতে গিয়েই মোদির কথাকে হাতিয়ার করলে দেখা গেল জেলা পরিষদের এই নতুন সভাধিপতি ৷ হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, "আমি নিজে খাব না, আর কাউকে খেতেও দেব না ৷" সোমবার সন্ধ্যায় বীরভূমের মুরারই-1 নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ের পাশে তাঁর সংবর্ধনা সভার আয়েজন করা হয়েছিল। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়েই বীরভূমের জেলা সভাধিপতিকে কড়া হুঁশিয়ারি দিতে শোনা গেল ৷
তাঁর কথায়, "আপনারা আমাকে যে পদে বসিয়েছেন তারপর আমার চাওয়া-পাওয়ার কোনও কিছু নেই । বীরভূমকে দুর্নীতি মুক্ত জেলা করাই আমার লক্ষ্য। যদি কোনও কোনও ক্ষেত্রে কেউ দুর্নীতি করেও থাকে তাহলে তাকে সঠিক রাস্তায় নিয়ে আসতে হবে। বীরভূমে দুর্নীতি মুক্ত প্রশাসন হবে । কোনও ক্ষেত্রে, কোনও জায়গায় আমি কাউকে বিপথে হাঁটতে দেব না। সকলকে সঠিক পথে হাঁটতে হবে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়কে বাড়ি বাড়ি পৌঁছ দিতে হবে। সবাই এই কথাটা মাথায় রাখবেন।"
বীরভূমে দুর্নীতি মুক্ত প্রশাসন করার ডাক দেওয়ার পরেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে ৷ প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি তিনি মনে করেন, আগের বীরভূম জেলা প্রশাসন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ? এই প্রশ্নের সরাসরি জবাব না দিয়ে কাজল শেখ কড়া বলেন, "কে কার পা টেপে আমার জানার দরকার নেই ৷ কোনও দাদ- দিদি ধরে লাভ হবে না ৷ কাজ না করলে যেখানে রিপোর্ট করার সেখানে রিপোর্ট করব। পদ কীভাবে থাকে সেটা দেখব ! "
আরও পড়ুন: বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি হচ্ছেন অনুব্রতর যুযুধান কাজল শেখ
কাজলের এই কড়া বার্তা থেকে বাদ যায়নি বিধায়করাও। তিনি জানান, ব্লক সভাপতি হোক বা বিধায়ক-নিজের ইচ্ছা মতো কাজ করা যাবে না । সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে। তাঁর বক্তব্য, "আমি আবার আসব ৷ এবার খবর দিয়ে এলাম ৷ এরপর খবর না দিয়ে আসব ৷ আমি এসে দেখব আপনারা ঠিকঠাক কাজ করছেন কি না ৷"