ETV Bharat / state

chop shilpa : দিদির অনুপ্রেরণায় তেলেভাজার দোকানের নাম 'চপ শিল্প', ভাইরাল হল ছবি

তেলেভাজার দোকানের নাম 'চপ শিল্প' ৷ বীরভূমের সিউড়ির বাসিন্দা আফতাবউদ্দিন খান তাঁর তেলেভাজার দোকানের নাম 'চপ শিল্প' রাখার পর সেই দোকানের ছবি ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে ৷ দোকানদার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণাতেই দোকানের এমন নাম ঠিক করেন তিনি ৷

বীরভূমে তেলেভাজার দোকানের নাম 'চপ শিল্প'
বীরভূমে তেলেভাজার দোকানের নাম 'চপ শিল্প'
author img

By

Published : Aug 8, 2021, 10:54 PM IST

সিউড়ি, 8 অগস্ট : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেছিলেন, "তেলেভাজার দোকান করেও জীবনে অনেক উন্নতি করা যায় । আমি চিনি, যাঁরা তেলেভাজা বিক্রি করেই চার-পাঁচ-দশতলা বাড়ি করেছেন ৷" তারপর পর থেকে রাজ্যে শিল্প নিয়ে কথা উঠলেই বিরোধীদের দিদির 'চপ শিল্প' বলে কটাক্ষ করতে শোনা যায় প্রায় । এসবের মধ্যেই বীরভূমের সিউড়ির আফতাব তাঁর তেলে ভাজার দোকানের নাম সত্যি সত্যিই 'চপ শিল্প' রাখলেন ৷

অনেকটা নামের জোরেই খদ্দেরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরেছেন বলেই ধারণা তাঁর ৷ কথাটা খুব একটা মিথ্যাও নয় ৷ সিউড়ির বাসিন্দা আফতাবউদ্দিন খানের 'চপ শিল্প'-এর ছবি এখন নেটমাধ্যমে বেশ ভাইরাল ৷ এর পিছনে কোনও বিরোধী মনোভাব ছিল না তাঁর ৷ বরং বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েই তেলেভাজার দোকানের নাম ঠিক করি চপ শিল্প।"

এমন নতুন ধরনের নামের তেলেভাজার দোকানটি পাওয়া যাবে সিউড়ির মাদ্রাসা রোডে । মালিক আফতাবউদ্দিন খান বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একদিন নবান্নে বলেছিলেন, 'আমার পাড়ায় কয়েকটি তেলেভাজার দোকান আমি চিনি, যাঁরা তেলেভাজা বিক্রি করে চার-পাঁচ-দশতলা বাড়ি করেছেন । বড় ব্যবসাও করছেন । ইচ্ছে থাকলে উপায় হয় ।' এই কথাটি আমার খুব মনে লেগেছিল । শিক্ষিত বেকার যুবক হিসাবে আমার সেই কথা মনে লাগার পরেই আমি সিদ্ধান্ত নিই একটি তেলেভাজার দোকান করার । ধীরে ধীরে সেই দোকান করেছি এবং মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণাতেই নাম রেখেছি চপ শিল্প।"

স্থানীয়রা জানান, তেলেভাজার দোকানের এই ধরনের নামে বেশ একটা অন্য রকমের ব্যাপার রয়েছে ৷ দোকানের একটি পোস্টার প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় । এখন বহু মানুষ এই নামের জন্যই দোকানে ভিড় জমান । সে প্রসঙ্গে দোকানের মালিক আফতাবউদ্দিন খান বলেন, "নাম তো বটেই ৷ তবে শুধু নামের জন্যই নয়, আমি আমার দোকানের প্রতিটি জিনিসপত্রের গুণগতমান অন্যান্য দোকানের তুলনায় অনেকটাই ভাল রাখার চেষ্টা করছি । যদিও বর্তমানে যেভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে গুণগতমান ভাল রাখার ক্ষেত্রে কঠিন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে । তাও তা করছি ৷ তার জন্যও বহু ক্রেতার আগমন ঘটছে ।"

নাম চপ শিল্প হলেও দোকানে সকাল থেকেই টিফিনের জন্য নানা ধরনের খাবার-দাবার পাওয়া যায় ৷ বেগুনি, সিঙ্গাড়া, ঘুগনি-মুড়ি, ডালপুরি, বাটার টোস্ট, চা পাওয়া যায় । এখন দেখার, চপ শিল্পের ভবিষ্যত কতটা উজ্জ্বল ।

আরও পড়ুন : বাংলাভূমে রাজত্ব সিংহলরাজ চন্দ্রবর্মার, শিলালিপিতে ধরা ইতিহাস

সিউড়ি, 8 অগস্ট : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেছিলেন, "তেলেভাজার দোকান করেও জীবনে অনেক উন্নতি করা যায় । আমি চিনি, যাঁরা তেলেভাজা বিক্রি করেই চার-পাঁচ-দশতলা বাড়ি করেছেন ৷" তারপর পর থেকে রাজ্যে শিল্প নিয়ে কথা উঠলেই বিরোধীদের দিদির 'চপ শিল্প' বলে কটাক্ষ করতে শোনা যায় প্রায় । এসবের মধ্যেই বীরভূমের সিউড়ির আফতাব তাঁর তেলে ভাজার দোকানের নাম সত্যি সত্যিই 'চপ শিল্প' রাখলেন ৷

অনেকটা নামের জোরেই খদ্দেরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরেছেন বলেই ধারণা তাঁর ৷ কথাটা খুব একটা মিথ্যাও নয় ৷ সিউড়ির বাসিন্দা আফতাবউদ্দিন খানের 'চপ শিল্প'-এর ছবি এখন নেটমাধ্যমে বেশ ভাইরাল ৷ এর পিছনে কোনও বিরোধী মনোভাব ছিল না তাঁর ৷ বরং বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েই তেলেভাজার দোকানের নাম ঠিক করি চপ শিল্প।"

এমন নতুন ধরনের নামের তেলেভাজার দোকানটি পাওয়া যাবে সিউড়ির মাদ্রাসা রোডে । মালিক আফতাবউদ্দিন খান বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একদিন নবান্নে বলেছিলেন, 'আমার পাড়ায় কয়েকটি তেলেভাজার দোকান আমি চিনি, যাঁরা তেলেভাজা বিক্রি করে চার-পাঁচ-দশতলা বাড়ি করেছেন । বড় ব্যবসাও করছেন । ইচ্ছে থাকলে উপায় হয় ।' এই কথাটি আমার খুব মনে লেগেছিল । শিক্ষিত বেকার যুবক হিসাবে আমার সেই কথা মনে লাগার পরেই আমি সিদ্ধান্ত নিই একটি তেলেভাজার দোকান করার । ধীরে ধীরে সেই দোকান করেছি এবং মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণাতেই নাম রেখেছি চপ শিল্প।"

স্থানীয়রা জানান, তেলেভাজার দোকানের এই ধরনের নামে বেশ একটা অন্য রকমের ব্যাপার রয়েছে ৷ দোকানের একটি পোস্টার প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় । এখন বহু মানুষ এই নামের জন্যই দোকানে ভিড় জমান । সে প্রসঙ্গে দোকানের মালিক আফতাবউদ্দিন খান বলেন, "নাম তো বটেই ৷ তবে শুধু নামের জন্যই নয়, আমি আমার দোকানের প্রতিটি জিনিসপত্রের গুণগতমান অন্যান্য দোকানের তুলনায় অনেকটাই ভাল রাখার চেষ্টা করছি । যদিও বর্তমানে যেভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে গুণগতমান ভাল রাখার ক্ষেত্রে কঠিন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে । তাও তা করছি ৷ তার জন্যও বহু ক্রেতার আগমন ঘটছে ।"

নাম চপ শিল্প হলেও দোকানে সকাল থেকেই টিফিনের জন্য নানা ধরনের খাবার-দাবার পাওয়া যায় ৷ বেগুনি, সিঙ্গাড়া, ঘুগনি-মুড়ি, ডালপুরি, বাটার টোস্ট, চা পাওয়া যায় । এখন দেখার, চপ শিল্পের ভবিষ্যত কতটা উজ্জ্বল ।

আরও পড়ুন : বাংলাভূমে রাজত্ব সিংহলরাজ চন্দ্রবর্মার, শিলালিপিতে ধরা ইতিহাস

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.