ETV Bharat / state

Tree Adoption : সন্তানের ন্যায় ‘গাছ দত্তক’, সবুজায়নের লক্ষ্যে অভিনব উদ্যোগ বৃক্ষ ফাউন্ডেশনের

author img

By

Published : Dec 11, 2021, 8:58 PM IST

পরিবেশে সবুজ ফেরাতে (Fight Against Global Warming) গাছ দত্তক নেওয়ার অভিনব উদ্যোগ নিল বোলপুরের বৃক্ষ ফাউন্ডেশন ৷ কেন্দ্রের অনুমোদনে এই সংস্থা সরাসরি এবং ওয়েব সাইটের মাধ্য়মে গাছের চারা দত্তক (Tree Adoption) দিচ্ছেন ৷ এমনকি দত্তক নেওয়া চারা রোপণের জন্য জমি দেওয়া এবং তার পরিচর্যা করার দায়িত্বও নিচ্ছে বৃক্ষ ফাউন্ডেশন ৷

Initiative of Tree Adoption
সন্তানের ন্যায় ‘গাছ দত্তক’

বোলপুর, 10 ডিসেম্বর : বিশ্ব-উষ্ণায়নের হাত থেকে রক্ষা পেতে একমাত্র সবুজই ভরসা (Fight Against Global Warming) ৷ তাই সবুজ রক্ষার স্বার্থে এ বার অভিনব উদ্যোগ নিলেন বোলপুরের একদল যুবক-যুবতী ৷ তৈরি করা হয়েছে ‘গাছেদের অনাথ আশ্রম’ ৷ যে অনাথ আশ্রম থেকে ‘গাছ দত্তক’ (Tree Adoption) নিতে পারবেন যে কেউ ৷ এমনকি, তাদের তৈরি ‘বৃক্ষ ফাউন্ডেশন’ নামে ওয়েবসাইট থেকে দূরদূরান্তের মানুষও গাছ দত্তক নিতে পারবেন ৷ ইতিমধ্যে, এই আশ্রমকে স্বীকৃতি দিয়েছে ভারত সরকার ৷ এখনও পর্যন্ত 16 জন সেখান থেকে গাছ দত্তক নিয়েছেন ৷

গ্রিন হাউস গ্যাসের ফলে তাপ বিকিরণ হয়ে বাড়তে থাকা বিশ্ব-উষ্ণায়ন বর্তমানে মানবজাতির সবচেয়ে বড় সমস্যা ৷ এই উষ্ণায়নের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায় বৃক্ষরোপণ ৷ অর্থাৎ, সবুজায়নই পারে প্রকৃতি ভারসাম্য রক্ষা করতে ৷ কিন্তু, গত কয়েক দশকে উন্নয়নের নামে যেভাবে গাছকাটা হচ্ছে, তা চিন্তা বাড়িয়েছে পরিবেশবিদদের ৷ আর এই অবস্থায় গাছা বাঁচানোর উদ্দেশ্যে এক অভিনব পন্থা নিলেন বোলপুরের একদল যুবক-যুবতী ৷ গাছ পরিবারের অংশ করে তুলতে, গাছ দত্তক নেওয়ার ব্যবস্থা করলেন তাঁরা (Tree Adoption in Birbhum) ৷ আর সেই উদ্দেশ্যে ‘বৃক্ষ ফাউন্ডেশন’ নামে একটি সংস্থা তৈরি করেছেন তাঁরা ৷ যাকে গাছেদের অনাথ আশ্রম পরিচয় দিয়েছেন সংস্থার সদস্যরা ৷

সন্তানের ন্যায় ‘গাছ দত্তক’, সবুজায়নের লক্ষ্যে অভিনব উদ্যোগ বৃক্ষ ফাউন্ডেশনের

বোলপুরের মকরমপুরে সংস্থার অফিস থেকে যে কেউ নিজের পছন্দ মতো গাছ দত্তক নিতে পারবেন ৷ এমনকি গাছ রোপণ করার জায়গাও দেবে এই সংস্থা ৷ তবে, সেক্ষেত্রে এককালীন খরচ করতে হবে ৷ একটি অরণ্যজাত গাছ দত্তক নিতে খরচ পড়বে এককালীন 3 হাজার টাকা ৷ দত্তক নেওয়া গাছের পরিচর্যা করবেন বৃক্ষ ফাউন্ডেশনের সদস্যরাই ৷ তাদের তৈরি ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও দূরদূরান্তের মানুষজনও গাছ দত্তক নিতে পারবেন ৷ সেই গাছ ছোট থেকে বড় হওয়ার সব তথ্য ওয়েবসাইটে আপলোড করবে সংস্থাটি ৷

আরও পড়ুন : Climate Change: রোগের নাম ‘জলবায়ু পরিবর্তন’, প্রথম আক্রান্ত সত্তরের বৃদ্ধা

সেখান থেকেই গাছের বিবরণ জানতে পারবেন দত্তক নেওয়া ব্যক্তি ৷ বোলপুরে কঙ্কালীতলা এলাকায় রয়েছে এই সংস্থার বনভূমি ৷ সেখানেই বেড়ে উঠবে লোকজনের দত্তক নেওয়া গাছ ৷ ভারত সরকারের বনবিভাগের তরফে অনুমোদনও পেয়েছে এই সংস্থা ৷ এখনও পর্যন্ত 16 জন গাছ দত্তক নিয়েছেন ৷ পুরনো বাড়ির দেওয়ালের ফাটলে আগাছার মত বট, অশ্বত্থ গাছের চারা বের হয় ৷ সেই চারাগুলি সংগ্রহ করে সংস্থার তরফে সংগ্রহ করা হয় ৷

আরও পড়ুন : বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য বাড়ছে ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা

এই সংস্থার দায়িত্বে থাকা সোমনাথ ঘোষ, তিয়াসা রায় জানান, ‘‘গাছ লাগানোর ভাবনা অনেকের থাকে ৷ কিন্তু, বাস্তবে তা অনেকেই করতে পারেন না ৷ তাই আমরা গাছ দত্তক নেওয়ার পদ্ধতি শুরু করেছি ৷ যে কেউ আমাদের কাছ থেকে গাছ দত্তক নিতে পারেন ৷ সেই গাছ পরিচর্যা করব আমরাই ৷ আর তার আপডেট ওয়েবসাইটে দিতে থাকব ৷ অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ৷’’

বৃক্ষ ফাউন্ডেশন থেকে গাছ দত্তক নিয়েছেন বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মলয় ঘোষ ৷ তিনি জানান, ‘‘খুব ভাল একটি উদ্যোগ ৷ আমি নিজেই আগ্রহী হয়ে গাছ দত্তক নিয়েছি ৷ ক্লাসে পড়ুয়াদের বলছি, তাদের অভিভাবকদের বলতে যাতে একটি গাছ দত্তক নিয়ে সবুজ পৃথিবী গড়ে তোলেন ৷’’

বোলপুর, 10 ডিসেম্বর : বিশ্ব-উষ্ণায়নের হাত থেকে রক্ষা পেতে একমাত্র সবুজই ভরসা (Fight Against Global Warming) ৷ তাই সবুজ রক্ষার স্বার্থে এ বার অভিনব উদ্যোগ নিলেন বোলপুরের একদল যুবক-যুবতী ৷ তৈরি করা হয়েছে ‘গাছেদের অনাথ আশ্রম’ ৷ যে অনাথ আশ্রম থেকে ‘গাছ দত্তক’ (Tree Adoption) নিতে পারবেন যে কেউ ৷ এমনকি, তাদের তৈরি ‘বৃক্ষ ফাউন্ডেশন’ নামে ওয়েবসাইট থেকে দূরদূরান্তের মানুষও গাছ দত্তক নিতে পারবেন ৷ ইতিমধ্যে, এই আশ্রমকে স্বীকৃতি দিয়েছে ভারত সরকার ৷ এখনও পর্যন্ত 16 জন সেখান থেকে গাছ দত্তক নিয়েছেন ৷

গ্রিন হাউস গ্যাসের ফলে তাপ বিকিরণ হয়ে বাড়তে থাকা বিশ্ব-উষ্ণায়ন বর্তমানে মানবজাতির সবচেয়ে বড় সমস্যা ৷ এই উষ্ণায়নের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায় বৃক্ষরোপণ ৷ অর্থাৎ, সবুজায়নই পারে প্রকৃতি ভারসাম্য রক্ষা করতে ৷ কিন্তু, গত কয়েক দশকে উন্নয়নের নামে যেভাবে গাছকাটা হচ্ছে, তা চিন্তা বাড়িয়েছে পরিবেশবিদদের ৷ আর এই অবস্থায় গাছা বাঁচানোর উদ্দেশ্যে এক অভিনব পন্থা নিলেন বোলপুরের একদল যুবক-যুবতী ৷ গাছ পরিবারের অংশ করে তুলতে, গাছ দত্তক নেওয়ার ব্যবস্থা করলেন তাঁরা (Tree Adoption in Birbhum) ৷ আর সেই উদ্দেশ্যে ‘বৃক্ষ ফাউন্ডেশন’ নামে একটি সংস্থা তৈরি করেছেন তাঁরা ৷ যাকে গাছেদের অনাথ আশ্রম পরিচয় দিয়েছেন সংস্থার সদস্যরা ৷

সন্তানের ন্যায় ‘গাছ দত্তক’, সবুজায়নের লক্ষ্যে অভিনব উদ্যোগ বৃক্ষ ফাউন্ডেশনের

বোলপুরের মকরমপুরে সংস্থার অফিস থেকে যে কেউ নিজের পছন্দ মতো গাছ দত্তক নিতে পারবেন ৷ এমনকি গাছ রোপণ করার জায়গাও দেবে এই সংস্থা ৷ তবে, সেক্ষেত্রে এককালীন খরচ করতে হবে ৷ একটি অরণ্যজাত গাছ দত্তক নিতে খরচ পড়বে এককালীন 3 হাজার টাকা ৷ দত্তক নেওয়া গাছের পরিচর্যা করবেন বৃক্ষ ফাউন্ডেশনের সদস্যরাই ৷ তাদের তৈরি ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও দূরদূরান্তের মানুষজনও গাছ দত্তক নিতে পারবেন ৷ সেই গাছ ছোট থেকে বড় হওয়ার সব তথ্য ওয়েবসাইটে আপলোড করবে সংস্থাটি ৷

আরও পড়ুন : Climate Change: রোগের নাম ‘জলবায়ু পরিবর্তন’, প্রথম আক্রান্ত সত্তরের বৃদ্ধা

সেখান থেকেই গাছের বিবরণ জানতে পারবেন দত্তক নেওয়া ব্যক্তি ৷ বোলপুরে কঙ্কালীতলা এলাকায় রয়েছে এই সংস্থার বনভূমি ৷ সেখানেই বেড়ে উঠবে লোকজনের দত্তক নেওয়া গাছ ৷ ভারত সরকারের বনবিভাগের তরফে অনুমোদনও পেয়েছে এই সংস্থা ৷ এখনও পর্যন্ত 16 জন গাছ দত্তক নিয়েছেন ৷ পুরনো বাড়ির দেওয়ালের ফাটলে আগাছার মত বট, অশ্বত্থ গাছের চারা বের হয় ৷ সেই চারাগুলি সংগ্রহ করে সংস্থার তরফে সংগ্রহ করা হয় ৷

আরও পড়ুন : বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য বাড়ছে ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা

এই সংস্থার দায়িত্বে থাকা সোমনাথ ঘোষ, তিয়াসা রায় জানান, ‘‘গাছ লাগানোর ভাবনা অনেকের থাকে ৷ কিন্তু, বাস্তবে তা অনেকেই করতে পারেন না ৷ তাই আমরা গাছ দত্তক নেওয়ার পদ্ধতি শুরু করেছি ৷ যে কেউ আমাদের কাছ থেকে গাছ দত্তক নিতে পারেন ৷ সেই গাছ পরিচর্যা করব আমরাই ৷ আর তার আপডেট ওয়েবসাইটে দিতে থাকব ৷ অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ৷’’

বৃক্ষ ফাউন্ডেশন থেকে গাছ দত্তক নিয়েছেন বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মলয় ঘোষ ৷ তিনি জানান, ‘‘খুব ভাল একটি উদ্যোগ ৷ আমি নিজেই আগ্রহী হয়ে গাছ দত্তক নিয়েছি ৷ ক্লাসে পড়ুয়াদের বলছি, তাদের অভিভাবকদের বলতে যাতে একটি গাছ দত্তক নিয়ে সবুজ পৃথিবী গড়ে তোলেন ৷’’

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.