বোলপুর, ৭ ডিসেম্বর : কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ফের লাভপুর হত্যা মামলার চার্জশিটে নাম এল BJP নেতা মণিরুল ইসলামের। এছাড়া, প্ররোচনার দায়ে নাম জড়াল BJP নেতা মুকুল রায়ের। 4 ডিসেম্বর বোলপুর আদালতে ২০১০ সালের ঘটনার পুনর্তদন্ত করে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। আজ সেই চার্জশিট গৃহীত হয়।
জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিং বলেন, "হাইকোর্টের নির্দেশে ফের তদন্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। সেই চার্জশিট গৃহীত হয়েছে ।" বালিরঘাটের দখলদারির দ্বন্দ্ব মেটাতে 2010 সালের 4 জুন লাভপুরের নবগ্রামে নিজের বাড়ির উঠানে সালিশি সভা ডেকেছিলেন মণিরুল ইসলাম । তখন তিনি ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতা ছিলেন । সেই সালিশি সভায় বচসার জেরে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে কটুন শেখ, ধানু শেখ ও তরুক শেখকে । মণিরুল ইসলাম সহ 52 জনের নামে লাভপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয় । ঘটনার পরে পরেই তৃণমূলে যোগ দেন তিনি । পরে লাভপুর বিধানসভা থেকে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হন ।
2011 সালে একটি জনসভা থেকে "তিনজনকে মেরে দিয়েছি" বলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন মণিরুল । 2015 সালে এই মামলায় পুলিশ বোলপুর আদালতে 30 জনের নামে চার্জশিট জমা দেয় । সেই চার্জশিটে নাম বাদ যায় এই মণিরুলের । পরে নিহতের পরিবার তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন । এই বছরের 4 সেপ্টেম্বর ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট ৷ ইতিমধ্যে তৃণমূল ছেড়ে দিল্লিতে গিয়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়ের মাধ্যমে BJP-তে যোগ দেন মণিরুল ।
হাইকোর্টের নির্দেশ মত ফের তদন্ত শুরু করে পুলিশ । 4 ডিসেম্বর বোলপুর আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ । জানা গিয়েছে, সেই চার্জশিটে নাম রয়েছে মণিরুল ইসলামের । 2010 সালে ঘটনার সময় তৃণমূলের অন্যতম নেতা ছিলেন মুকুল রায় । প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে চার্জশিটে নাম রয়েছে মুকুল রায়ের ।