রামপুরহাট, 25 মার্চ : গতকাল রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে গিয়ে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি জানান, গ্রামের লোকেরা তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুলকে সব জানিয়েছিলেন ৷ তারপরও পুলিশকে কোনও ব্যবস্থা নিতে বলা হয়নি ৷ তাই আনারুলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন তিনি (Mamata Orders to Arrest TMC Leader Anarul in Bogtui Case) ৷ আত্মসমর্পণ না করলে গ্রেফতারি করা হবে বলে নির্দেশ দেন পুলিশকে ৷ ব্লক সভাপতির রামপুরহাটের বাড়ি পুলিশে ঘিরে ফেলে ৷ যদিও সেখানে তাঁর খোঁজ মেলেনি ৷ এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তারাপীঠের একটি হোটেল থেকে পাকড়াও করা হয় আনারুলকে (Anarul Hossain Arrest) ৷
তবে আনারুল হোসেনের অনুগামীরা এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি ৷ ঘটনার প্রতিবাদে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ৷ পাশাপাশি তাঁদের বক্তব্য ছিল, গ্রেফতারি নয়, দাদা আত্মসমর্পণ করেছেন ৷ সেই বক্তব্যই আজ শোনা গেল আনারুলের মুখে ৷ আজ ধৃতকে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক 14 দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন ৷ আদালতে ঢোকার মুখে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন রামপুরহাট 1 নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি ৷
আরও পড়ুন : বাতিল সিট, বগটুই গণহত্যায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
তবে পুলিশের দাবির সঙ্গে আনারুলের বক্তব্য না মেলায় বিতর্ক শুরু হয়েছে ৷ নিহত উপপ্রধান ভাদু শেখের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত আনারুলকে বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷