ETV Bharat / state

কবির প্রিয় শ্যামলী গৃহ থেকে ভিন্ন অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরেছিলেন সস্ত্রীক গান্ধি - shyamli griha

কবির আমন্ত্রণে শান্তিনিকেতনে আসেন সস্ত্রীক মহাত্মা গান্ধি । থাকেন রবীন্দ্রনাথের প্রিয় শ্যামলী গৃহে । আশ্চর্য নৈপুণ্য ও শিল্পকর্মে তৈরি এই বাড়ি থেকে ভিন্ন অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরেছিলেন জাতির জনক ।

রবীন্দ্রনাথ ও মহাত্মা গান্ধি
author img

By

Published : Sep 15, 2019, 3:55 PM IST

পুরু লাল মাটির দেওয়াল । আর তার গায়ে শিল্পী রামকিঙ্কর বেইজের নিজের হাতে সৃষ্ট ভাষ্কর্য । লালমাটির দেশের তীব্র গরম থেকে বাঁচতে এবাড়ির ছাদটাও মাটির । কবির আমন্ত্রণে এবাড়িতেই সস্ত্রীক এসেছিলেন গান্ধি । কাটিয়েছিলেন গুরুদেবের সঙ্গে বেশকিছুটা সময় । কবিগুরু ও মহাত্মার অনেক আলোচনা ও ইতিহাসের সাক্ষী শান্তিনিকেতনের শ্যামলী গৃহ ।

একে গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহ । অন্যদিকে জলের তীব্র সংকট । শান্তিনিকেতনে থাকাই দুঃসাধ্য হয়ে উঠছিল কবিগুরুর কাছে । আচমকাই মাথায় আসে নতুন এক চিন্তা । ডেকে পাঠান শিল্পী রামকিঙ্কর বেইজকে । খুলে বলেন গোটা পরিকল্পনার কথা । গুরুদেবের কথা মতো কাজ শুরু করে দেন প্রখ্যাত শিল্পী । মোটা মোটা মাটির দেওয়ালে ভর করে তৈরি হয় নতুন বাড়ি । এবাড়ির ছাদও মাটির । তাই বাইরের তীব্র দাবদাহেও ভীতরে বেশ ঠান্ডা । এখানেই শেষ নয়, কবি প্রিয় রামকিঙ্করের হাতে সেজে ওঠে বাড়ির দেওয়াল থেকে ছাদ সর্বত্র । শিল্পীর ভাষ্কর্যে এক নতুন মাত্রা পায় শ্যামলী গৃহ ।

Gandhi
শ্যামলী গৃহে এক ফ্রেমে রবীন্দ্রনাথ ও মহাত্মা গান্ধি

শ্যামলী গৃহ তৈরির পর থেকেই সেখানে মাঝেমধ্যেই থাকতেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । সালটা 1940 । মহাত্মা গান্ধিকে সস্ত্রীক শ্যামলী গৃহে আমন্ত্রণ জানালেন কবিগুরু । এসেওছিলেন তিনি । স্ত্রী কস্তুরবা গান্ধিকে সঙ্গে নিয়ে রাত কাটিয়েছিলেন এবাড়িতেই । ইতিহাস বলে, শুধু আমন্ত্রণই নয়, গান্ধিজির সঙ্গে বহু রাজনৈতিক বিষয় ও দেশের কৃষি সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করেন গুরুদেব ।

এবাড়ির স্মৃতির সঙ্গে অনেকেকিছুই সম্পৃক্ত । রামকিঙ্করের ঐতিহাসিক শিল্পকর্ম । কবিগুরুর সাহিত্যসৃষ্টি । তবু স্বয়ং কবিগুরুর সঙ্গে জাতির জনকের বহু ইতিবাচক আলোচনা আজও ভোলেনি শ্যামলী গৃহ । তার পরতে পরতে যে জড়িয়ে শুধুই ইতিহাস ।

পুরু লাল মাটির দেওয়াল । আর তার গায়ে শিল্পী রামকিঙ্কর বেইজের নিজের হাতে সৃষ্ট ভাষ্কর্য । লালমাটির দেশের তীব্র গরম থেকে বাঁচতে এবাড়ির ছাদটাও মাটির । কবির আমন্ত্রণে এবাড়িতেই সস্ত্রীক এসেছিলেন গান্ধি । কাটিয়েছিলেন গুরুদেবের সঙ্গে বেশকিছুটা সময় । কবিগুরু ও মহাত্মার অনেক আলোচনা ও ইতিহাসের সাক্ষী শান্তিনিকেতনের শ্যামলী গৃহ ।

একে গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহ । অন্যদিকে জলের তীব্র সংকট । শান্তিনিকেতনে থাকাই দুঃসাধ্য হয়ে উঠছিল কবিগুরুর কাছে । আচমকাই মাথায় আসে নতুন এক চিন্তা । ডেকে পাঠান শিল্পী রামকিঙ্কর বেইজকে । খুলে বলেন গোটা পরিকল্পনার কথা । গুরুদেবের কথা মতো কাজ শুরু করে দেন প্রখ্যাত শিল্পী । মোটা মোটা মাটির দেওয়ালে ভর করে তৈরি হয় নতুন বাড়ি । এবাড়ির ছাদও মাটির । তাই বাইরের তীব্র দাবদাহেও ভীতরে বেশ ঠান্ডা । এখানেই শেষ নয়, কবি প্রিয় রামকিঙ্করের হাতে সেজে ওঠে বাড়ির দেওয়াল থেকে ছাদ সর্বত্র । শিল্পীর ভাষ্কর্যে এক নতুন মাত্রা পায় শ্যামলী গৃহ ।

Gandhi
শ্যামলী গৃহে এক ফ্রেমে রবীন্দ্রনাথ ও মহাত্মা গান্ধি

শ্যামলী গৃহ তৈরির পর থেকেই সেখানে মাঝেমধ্যেই থাকতেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । সালটা 1940 । মহাত্মা গান্ধিকে সস্ত্রীক শ্যামলী গৃহে আমন্ত্রণ জানালেন কবিগুরু । এসেওছিলেন তিনি । স্ত্রী কস্তুরবা গান্ধিকে সঙ্গে নিয়ে রাত কাটিয়েছিলেন এবাড়িতেই । ইতিহাস বলে, শুধু আমন্ত্রণই নয়, গান্ধিজির সঙ্গে বহু রাজনৈতিক বিষয় ও দেশের কৃষি সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করেন গুরুদেব ।

এবাড়ির স্মৃতির সঙ্গে অনেকেকিছুই সম্পৃক্ত । রামকিঙ্করের ঐতিহাসিক শিল্পকর্ম । কবিগুরুর সাহিত্যসৃষ্টি । তবু স্বয়ং কবিগুরুর সঙ্গে জাতির জনকের বহু ইতিবাচক আলোচনা আজও ভোলেনি শ্যামলী গৃহ । তার পরতে পরতে যে জড়িয়ে শুধুই ইতিহাস ।

Intro:শান্তিনিকেতনঃ

গুরুদেবের অত্যন্ত প্রিয় শ্যামলী গৃহে সস্ত্রীক থেকে গিয়েছেন মহাত্মা গান্ধী। এই বাড়িতে বসেই গুরুদেবের সঙ্গে তৎকালীন স্বাধীনতা আন্দোলনের গতিবিধি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছিল মহাত্মা গান্ধীরBody:শান্তিনিকেতনঃ

গুরুদেবের অত্যন্ত প্রিয় শ্যামলী গৃহে সস্ত্রীক থেকে গিয়েছেন মহাত্মা গান্ধী। এই বাড়িতে বসেই গুরুদেবের সঙ্গে তৎকালীন স্বাধীনতা আন্দোলনের গতিবিধি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছিল মহাত্মা গান্ধীর

উনিশ দশকে বিশ্বভারতীর রবীন্দ্রভবনের ভিতরে সম্পূর্ণ মাটি দিয়ে হয়েছিল ‘শ্যামলী গৃহ’। বীরভূম লালমাটির দেশ। সেই সময় এখানে জলের খুব সংকট ছিল। তীব্র দাবদাবে বসবাস করা কষ্টকর হয়ে পড়ত। এই সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মাথায় একটি নতুন চিন্তা আসে। তিনি তৎকালীন কলাভবনের প্রখ্যাত শিল্পী রামকৃঙ্কর বেইজকে ডেকে বলেন সেই পরিকল্পনার কথা। কবিগুরুর কথা মত মোটা মাটির দেওয়াল দিয়ে শিল্পী তৈরি করেন এই ‘শ্যামলী গৃহ’। গৃহের গায়ে বহু অলঙ্করণ, শৈল্পিক ছোঁয়া রয়েছে। এই গৃহের ছাদটিও মাটির তৈরি। ফলে গ্রীষ্মের সময়েও খুব ঠান্ডা থাকত বাড়িটি। 
১৯৪০ সালে স্ত্রী কস্তুরবা গান্ধীকে নিয়ে শান্তিনিকেতন আসেন মহাত্মা গান্ধী। গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আপ্যায়নে তাঁর অত্যন্ত প্রিয় শ্যামলী গৃহে থাকতে দেওয়া হয় সস্ত্রীক গান্ধীজিকে। সম্পূর্ণ মাটির তৈরি বাড়িতে থেকে এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা হয়েছিল গান্ধীজির। সেকথা তিনি গুরুদেবের কাছে ব্যক্ত করেছেন। এই গৃহে বসেই গান্ধীজির সঙ্গে তৎকালীন স্বাধীনতা আন্দোলনের গতিবিধি সংক্রান্ত বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের।
সদ্য এই ঐতিহ্যবাহী বাড়িটি সংস্কার করে পুনঃরায় দ্বারোদঘাটন করেন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু।Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.