মন কেড়েছিল কবিগুরুর প্রাণের শান্তিনিকেতন । কবির আমন্ত্রণে পেয়ে আশ্রমে নিয়ে এসেছিলেন সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকার স্কুল পড়ুয়াদের । ভিনদেশি পড়ুয়াদের সঙ্গে সেদিন জাতির জনক ঝাঁটা হাতে সাফাই করেছিলেন গোটা আশ্রম । পড়ুয়াদের শিখিয়েছিলেন নিজের কাজ নিজে করার পাশাপাশি আশ্রম পরিষ্কার রাখতে হবে নিজেকেই ।
তখনও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে ওঠেনি । তবে সংস্কৃতিচর্চার প্রাণকেন্দ্র হিসেবে ক্রমেই সুনাম ছড়াচ্ছে গুরুদেবের আশ্রম । 1914 সাল, দক্ষিণ আফ্রিকার ফিনিক্স স্কুলের পড়ুয়ারা আসে শান্তিনিকেতনে । তার ঠিক এক বছর পর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আমন্ত্রণে ফিনিক্স স্কুলের পড়ুয়াদের নিয়ে আশ্রমে আসেন মহাত্মা গান্ধি । আশ্রমের পরিবেশ মুগ্ধ করেছিল তাঁকে । শান্তিনিকেতন ও ভিনদেশি পড়ুয়াদের সঙ্গে করে নেমে পড়েছিলেন আশ্রম সাফাইয়ের কাজে । আবাসিকদের শিখিয়েছিলেন, নিজের কাজ নিজেকেই করতে হবে ।
সেদিন আশ্রমের আম্রকুঞ্জে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন মহাত্মা গান্ধি । কবিগুরুর আতিথেয়তা মুগ্ধ করে তাঁকে । ফিরে গিয়ে সেদিনের অভিজ্ঞতা গুরুদেবকে চিঠিতে লিখে জানান । 1915 সালের 2 মে জাতির জনকের হাত ধরে গড়ে ওঠে সবরমতী আশ্রম । শান্তিনিকেতনের একাধিক নিয়ম, নিষ্ঠা ও রেওয়াজ সবরমতীতে চালু করেছিলেন গান্ধি ।
এই সংক্রান্ত খবর : কবির প্রিয় শ্যামলী গৃহ থেকে ভিন্ন অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরেছিলেন সস্ত্রীক গান্ধি
মহাত্মার আসার দিনটি আজও মনে রেখেছে শান্তিনিকেতন । দিনটি "গান্ধি পূর্ণাহ্য" হিসেবে পালিত হয় । ওই দিন বিশ্বভারতীর উপাচার্য, অধ্যাপক, পড়ুয়ারা আশ্রম চত্বর পরিষ্কারে নামেন । রোমন্থন করেন 104 বছর আগের সোনালি স্মৃতি ।