বোলপুর, 25 সেপ্টেম্বর: বিহারের মুজফফরপুর থেকে বেঙ্গালুরুগামী ডাউন যশবন্তপুর ট্রেনে আগুন আতঙ্ক। বীরভূমের কোপাই স্টেশনের কাছে ট্রেনের সাধারণ বগির নীচ থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখা যায়। কোনওরকমে নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করে আগুন নিভিয়ে ট্রেনটিকে সুরক্ষিত করা হয় বলে খবর মিলেছে। পরে শান্তিনিকেতনের প্রান্তিক স্টেশনে দমকলের ইঞ্জিন গিয়ে ট্রেনের সাধারণ বগির তলার অংশ ঠান্ডা করে।
বিহারের মুজফফরপুর থেকে বেঙ্গালুরুগামী যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের সাধারণ বগি থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। বীরভূমের কোপাই স্টেশন পার হওয়ার পরই ট্রেনটিকে দাঁড় করানো হয়। ধোঁয়ার পরিমাণ বেশি দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। তড়িঘড়ি রেল কর্মীরা এসে নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করে ধোয়ার উৎপত্তি স্থলের আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন। তার আগে সাধারণ বগি খালি করে দেওয়া হয়। পরে ট্রেনটি প্রান্তিক স্টেশনে এসে দাঁড়ায়। বোলপুর দমকল বিভাগ থেকে ইঞ্জিন গিয়ে জল দিয়ে সাধারণ বগির নিচের অংশ ঠান্ডা করে সুরক্ষিত করে। তবে এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত যাত্রীরা। দূরপাল্লার একটি ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া বেরনোর ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতা বোধ করেন যাত্রীরা। ঘটনায় সঠিক সময়ের প্রায় ৩ ঘন্টা দেরিতে চলে ট্রেন।
আরও পড়ুন: স্লিপার কোচে বিলাসপুর থেকে রায়পুর গেলেন রাহুল গান্ধি !
সাম্প্রতিক অতীতে বালাসোর রেল দুর্ঘটনার পর দূরপাল্লার ট্রেন থেকে ধোঁয়া বেরনোয় রেল কর্তপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এক রেলযাত্রী বলেন, "আমরা রীতিমতো আতঙ্কিত। হঠাৎ দেখি আমাদের কামড়ায় ধোঁয়া বেরচ্ছে। সবাই ট্রেন থেকে নেমে পড়ি ভয়ে ৷ মহিলা, বাচ্চারা সঙ্গে আছে। এভাবে আমরা নিরাপদ নই।" সম্প্রতি, গুজরাতে হামসফর এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে ৷ যদিও সেক্ষেত্রে প্রাণহানির কোনও ঘটনা ঘটেনি ৷ এদিন ট্রেনে আগুনের খবরে শঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা ৷ আতঙ্কিত যাত্রীরা বিষয়েটি নিয়ে রেলের গাফিলতিকেই অবশ্য দায়ী করেছেন ৷ একইসঙ্গে, যাত্রী সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে রেলকে আরও বেশি নজর দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন যাত্রীরা ৷