ETV Bharat / state

লাভজনক, তাই সূর্যমুখী চাষে ঝোঁক বাড়ছে বীরভূমের চাষিদের - বীরভূম

সূর্যমুখীর চাষে ঝোঁক বাড়ছে বীরভূমের চাষিদের মধ্যে ৷ কারণ এর বাণিজ্যিক চাহিদা ৷ সূর্যমুখীর বীজ থেকে তৈরি হওয়া ভোজ্যতেলের চাহিদার কারণে এই ফুল চাষের প্রতি গত তিনবছর ধরে আগ্রহ দেখাচ্ছেন তাঁরা ৷ যা লাভজনক হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন চাষিরা ৷

farmers are increasing interest on sunflower cultivation in birbhum
লাভজনক, তাই সূর্যমুখী চাষে ঝোঁক বাড়ছে বীরভূমের চাষীদের
author img

By

Published : Jun 6, 2021, 3:18 PM IST

বীরভূম, 6 জুন : সূর্যমুখীর বীজ থেকে বের করা ভোজ্যতেলের চাহিদা অনেক ৷ আর তাই সূর্যমুখীর চাষে লাভও বেশি । তাই গত তিনবছর ধরে বীরভূম জেলায় সূর্যমুখী চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের মধ্যে । সাধারণত এই জেলায় ধান, আলু, সর্ষে, তিল প্রভৃতি চাষ বেশি হয়ে থাকে । এছাড়াও পরিমাণ মতো সবজি চাষ হয় । তবে এবার তেলের জন্য সূর্যমুখীর চাষে ঝোঁক বাড়তে দেখা যাচ্ছে চাষিদের মধ্যে । কারণ ফলন ভাল হচ্ছে ইদানিং ।

চাষিরা জানাচ্ছেন, সূর্যমুখী দুই ধরনের হয় । কিরণী ও বারি সূর্যমুখী । বীরভূমে সাধারণত বারি সূর্যমুখীর চাষ বেশি হয় । যে কোনও মাটিতেই সূর্যমুখী চাষ হয়ে থাকে । তবে, দোআঁশ মাটিতে সবচেয়ে ভাল হয় সূর্যমুখী । চারা রোপণ থেকে পূর্ণাঙ্গ ফুল হওয়া পর্যন্ত সময় লাগে 90 থেকে 110 দিন । এক একটি সূর্যমুখীর ব্যাস 12 থেকে 15 সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে । প্রতি ফুলে 400 থেকে 600টি ছোট ছোট কালো বীজ হয় । এই রকম 1000টি বীজের ওজন আনুমানিক 65-70 গ্রাম । প্রত্যেকটি সূর্যমুখী বীজ থেকে শতকরা 40 থেকে 45 ভাগ তেল বেরোয় । পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ফলন ঠিক মতো হলে হেক্টর প্রতি দেড় থেকে দুই টন বীজ পাওয়া যায় সূর্যমুখী থেকে । তিন থেকে চারবার সেচের জল দিলেই ফলন ভাল হয় বলে জানাচ্ছেন চাষিরা । বর্তমানে সূর্যমুখী থেকে তৈরি হওয়া ভোজ্যতেলের চাহিদা বাড়ছে । পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের অন্যান্য রাজ্যেও সূর্যমুখী তেলের চাহিদা রয়েছে । এমনকি, বাংলাদেশেও সানফ্লাওয়ার তেলের চাহিদা ব্যাপক ।

লাভজনক, তাই সূর্যমুখী চাষে ঝোঁক বাড়ছে বীরভূমের চাষীদের

আরও পড়ুন : হুগলির পেয়ারাপুরে চলছে নিষিদ্ধ পোস্ত চাষ, কাঠগড়ায় শাসকদল

হৃদরোগীদের জন্য সূর্যমুখীর বীজ থেকে তৈরি হওয়া ভোজ্যতেল উপকারী । তাই স্বাভাবিকভাবেই চাহিদা বাড়ছে । বোলপুরের বিনুরিয়া গ্রামে প্রায় সাত বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছেন বাবলু কড়া নামে এক চাষি । এবার ফলনও ভাল হয়েছে তাঁর জমিতে ।

আরও পড়ুন : করোনার ধাক্কায় অনিশ্চয়তার মুখে সুন্দরবনের পান চাষ

তিনি বলেন, ‘‘তিন বছর আগে হঠাৎ করেই সূর্যমুখী চাষ শুরু করেছিলাম । দেখলাম ফলন ভাল হচ্ছে। লাভও হয়েছে । লাঙ্গল দিয়ে জমি চষে জল দিয়ে দিই । তারপর চারা রোপণ করি । পোকার হাত থেকে একটু বাঁচাতে হয় । তাহলেই ভাল ফলন হয় ৷’’ রাজ্য কৃষি বিভাগের অন্তর্গত জাতীয় কৃষি সম্প্রসারণ ও প্রযুক্তি মিশন সূর্যমুখী চাষের জন্য চাষিদের আরও উৎসাহিত করার কাজ করে চলেছে বীরভূম জেলায় ।

বীরভূম, 6 জুন : সূর্যমুখীর বীজ থেকে বের করা ভোজ্যতেলের চাহিদা অনেক ৷ আর তাই সূর্যমুখীর চাষে লাভও বেশি । তাই গত তিনবছর ধরে বীরভূম জেলায় সূর্যমুখী চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের মধ্যে । সাধারণত এই জেলায় ধান, আলু, সর্ষে, তিল প্রভৃতি চাষ বেশি হয়ে থাকে । এছাড়াও পরিমাণ মতো সবজি চাষ হয় । তবে এবার তেলের জন্য সূর্যমুখীর চাষে ঝোঁক বাড়তে দেখা যাচ্ছে চাষিদের মধ্যে । কারণ ফলন ভাল হচ্ছে ইদানিং ।

চাষিরা জানাচ্ছেন, সূর্যমুখী দুই ধরনের হয় । কিরণী ও বারি সূর্যমুখী । বীরভূমে সাধারণত বারি সূর্যমুখীর চাষ বেশি হয় । যে কোনও মাটিতেই সূর্যমুখী চাষ হয়ে থাকে । তবে, দোআঁশ মাটিতে সবচেয়ে ভাল হয় সূর্যমুখী । চারা রোপণ থেকে পূর্ণাঙ্গ ফুল হওয়া পর্যন্ত সময় লাগে 90 থেকে 110 দিন । এক একটি সূর্যমুখীর ব্যাস 12 থেকে 15 সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে । প্রতি ফুলে 400 থেকে 600টি ছোট ছোট কালো বীজ হয় । এই রকম 1000টি বীজের ওজন আনুমানিক 65-70 গ্রাম । প্রত্যেকটি সূর্যমুখী বীজ থেকে শতকরা 40 থেকে 45 ভাগ তেল বেরোয় । পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ফলন ঠিক মতো হলে হেক্টর প্রতি দেড় থেকে দুই টন বীজ পাওয়া যায় সূর্যমুখী থেকে । তিন থেকে চারবার সেচের জল দিলেই ফলন ভাল হয় বলে জানাচ্ছেন চাষিরা । বর্তমানে সূর্যমুখী থেকে তৈরি হওয়া ভোজ্যতেলের চাহিদা বাড়ছে । পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের অন্যান্য রাজ্যেও সূর্যমুখী তেলের চাহিদা রয়েছে । এমনকি, বাংলাদেশেও সানফ্লাওয়ার তেলের চাহিদা ব্যাপক ।

লাভজনক, তাই সূর্যমুখী চাষে ঝোঁক বাড়ছে বীরভূমের চাষীদের

আরও পড়ুন : হুগলির পেয়ারাপুরে চলছে নিষিদ্ধ পোস্ত চাষ, কাঠগড়ায় শাসকদল

হৃদরোগীদের জন্য সূর্যমুখীর বীজ থেকে তৈরি হওয়া ভোজ্যতেল উপকারী । তাই স্বাভাবিকভাবেই চাহিদা বাড়ছে । বোলপুরের বিনুরিয়া গ্রামে প্রায় সাত বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছেন বাবলু কড়া নামে এক চাষি । এবার ফলনও ভাল হয়েছে তাঁর জমিতে ।

আরও পড়ুন : করোনার ধাক্কায় অনিশ্চয়তার মুখে সুন্দরবনের পান চাষ

তিনি বলেন, ‘‘তিন বছর আগে হঠাৎ করেই সূর্যমুখী চাষ শুরু করেছিলাম । দেখলাম ফলন ভাল হচ্ছে। লাভও হয়েছে । লাঙ্গল দিয়ে জমি চষে জল দিয়ে দিই । তারপর চারা রোপণ করি । পোকার হাত থেকে একটু বাঁচাতে হয় । তাহলেই ভাল ফলন হয় ৷’’ রাজ্য কৃষি বিভাগের অন্তর্গত জাতীয় কৃষি সম্প্রসারণ ও প্রযুক্তি মিশন সূর্যমুখী চাষের জন্য চাষিদের আরও উৎসাহিত করার কাজ করে চলেছে বীরভূম জেলায় ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.