বোলপুর, 12 নভেম্বর: তিহারে বন্দি অনুব্রত মণ্ডল ৷ বরাবরই মা কালীর ভক্ত তৃণমূল বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সভাধিপতি কাজল শেখের সহযোগিতা নিয়ে তাঁর বৃহৎ কালীপুজো করছেন ভাই প্রিয়ব্রত মণ্ডল ৷ 45 ফুট উচ্চতার এই পুজো 'কেষ্ট কালী' নামে পরিচিত। নদিয়া থেকে মৃৎশিল্পী এসে নির্মাণ করেছেন এই প্রতিমা। রয়েছে চন্দননগরের আলোকসজ্জা। তৃণমূল বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে বাড়িপুকুর সম্মেলনীর কালীপুজো ৷ অন্যদিকে, বোলপুরে দলীয় কার্যালয়েও একটি কালীপুজোর সূচনা করেছিলেন কেষ্ট ৷ দলীয় কার্যালয়ের কালী প্রতিমাকে 3 কোটির গয়না পরাতেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই গয়না এবার ইডির নজিরে ৷
যত দিন গিয়েছে অনুব্রতর ওই দলীয় পুজোয় কালী প্রতিমার সোনার গয়না বেড়েছে। 2020 সালে 320 ভরি সোনার গয়না ছিল, 2021 সালে তা বেড়ে 570 ভরি হয়। তাই 2022 সালে দলীয় কার্যালয়ে প্রতিমার গায়ে মাত্র কয়েক ভরি সোনার গয়না দেখা গিয়েছিল ৷ এবার গয়নার পরিমাণ বেশ কিছুটা বেড়েছে ৷ 570 ভরি না-হলেও কয়েকশো ভরি সোনার গয়না পরানো হয়েছে তৃণমূল পার্টি অফিসের কালী প্রতিমাকে ৷ তবে অনুব্রত থাকাকালীন এই পুজোর জাঁকজমক যেমন তা কার্যত নেই ৷ জৌলুস হারিয়েছে এই পুজো।
এদিকে, অনুব্রত'র ভাই প্রিয়ব্রত মণ্ডল বলেন, "দাদাই 9 বছর বয়সে এই পুজোর সূচনা করেছিল। পরে বেশ কিছু বছর বন্ধ ছিল ৷ 11 বছর ধরে আমি পাড়া প্রতিবেশীদের নিয়ে এই পুজোর আয়োজন করে আসছি। এবার সভাধিপতি কাজল শেখ এই পুজোর জন্য সহযোগিতা করেছে ৷ সকাল থেকেই মণ্ডপের সামনে চলছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ৷ তবে দাদা নেই, বাড়ির ছেলে, তাই খারাপ লাগছে। রাজ্যের ক্ষুদ্র-মাঝারি ও কুটির শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ দলীয় পুজো নিয়ে বলেন, "একটা মানুষের জন্য কিছু তো আটকে থাকে না ৷ দলীয় কর্মীদের কথা ভেবে এই পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। কর্মীরাই চাঁদা দিয়েছেন ৷ জাঁকজমক করার চেষ্টা করব ৷ দেখা যাক।"
আরও পড়ুন: