বীরভূম, 11 মে : কয়েক দিনের দফায় দফায় বৃষ্টিতে বীরভূমে ধান চাষের যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে । বেশিরভাগ জমির ধান ঘরে তোলার আগেই বৃষ্টিতে এই ক্ষতি হয়েছে ৷ ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিতে ধান গাছ নুয়ে পড়েছে । বৃষ্টির জন্য কাটা ধানও ঘরে তুলতে পারছেন না চাষিরা । আরও বৃষ্টি হলে এবার ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা । এই মরশুমে ফলন ভাল হয়েছিল ৷ লাভের আশায় ছিলেন কৃষকরা ৷ তবে এই বৃষ্টির পর ক্ষতির আশঙ্কায় আছেন ৷
এই সময় বীরভূম জেলাজুড়ে বোরো ধান চাষ হচ্ছে । জেলায় 96 হাজার 698 হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে ৷ এই সময় পাকা ধান ঘরে তোলার পালা । কয়েকদিন ধরেই নিন্মচাপের জেরে দফায় দফায় বৃষ্টি হচ্ছে । এদিন দুপুর থেকে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে টানা বৃষ্টি শুরু হয়েছে । যেসব জমিতে এখনও ধান কাটা হয়নি সেসব জমিগুলিতে পাকা ধান সমেত বেশিরভাগ গাছই নুয়ে পড়েছে ৷ আর যেসব জমি ধান কাটা হয়ে গিয়েছিল সেখানে কেটে রাখা ধান জমিতেই রাখাছিল ৷ বৃষ্টিতে ওই কেটে রাখা ধান পড়ে মাটি থেকে তোলা দায় হবে । ঘরে তোলার আগেই জমির পর জমির ধান পড়ে নষ্ট হচ্ছে ।
চাষিরা বলছেন, এই মরশুমে আবহাওয়া ধান চাষের জন্য উপযুক্ত ছিল । তাই ফলন ভাল হয়েছে । কিন্তু অর্ধেকের বেশি ধান অকাল বৃষ্টিতে জমিতে পড়েই নষ্ট হচ্ছে । চাষিদের আশঙ্কা, আরও যদি বৃষ্টি হয় এবার ধান চাষ চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে । এক-দু'দিনের মধ্যে রোদ না উঠলে জেলায় বোরো চাষ 70 শতাংশ ক্ষতি হয়ে যাবে বলে মনে করছেন চাষিরা । শুধু ফসলেরই নয়, গোখাদ্য খড়ও নষ্ট হচ্ছে । বৃষ্টিতে ভিজে জমিতেই পচে যাচ্ছে কাটা খড় । বীরভূম জেলায় মোট কত পরিমাণ জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার তালিকা এখনও প্রস্তুত করে উঠতে পারেনি কৃষি দফতর । তবে ক্ষতির তালিকা প্রস্তুতির কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন কৃষি আধিকারিক ।
চাষিরা বলেন, "বোরো ধান চাষ করেছি । কিন্তু বৃষ্টির জন্য পাকা ধান ঘরে তুলতে পারছি না । চাষের ফলন ভাল হলেও ফসলের ক্ষতি হচ্ছে । এরপরও বৃষ্টি হলে সব শেষ হয়ে যাবে ।"
জেলা কৃষি দফতরের আধিকারিক অমর মণ্ডল অবশ্য বলেন, "কাটা ধানের ক্ষতি হচ্ছে বৃষ্টিতে । জমির ধানের ক্ষতি তেমন হয়নি । আমরা নজর রাখছি ।"
আরও পড়ুন: ঈদে 6 দিন বন্ধ কোচবিহারের চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর