শান্তিনিকেতন, 3 সেপ্টেম্বর : এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল এল শান্তিনিকেতনে। বিশ্বভারতীর প্রাচীর ভাঙার ঘটনায় অর্থ বরাদ্দ কারা করেছে, সেই অর্থের উৎস কোথায়? জানতে তদন্ত শুরু করেছে ED। আজ উপাচার্যের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক করেন তাঁরা। আগেই জেলা পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়ে ওই ঘটনায় খরচ করা অর্থের উৎস জানতে চেয়েছিল ED।
পৌষমেলার মাঠ প্রাচীর দিয়ে ঘিরে দেওয়ার উদ্যোগ নেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। 17 অগাস্ট বোলপুর-শান্তিনিকেতনের কয়েক হাজার মানুষ চড়াও হয়ে তাণ্ডব চালায় বিশ্বভারতী জুড়ে। ভেঙে দেওয়া হয় নির্মাণকাজ সহ বিশ্বভারতীর অস্থায়ী ক্যাম্প অফিস ও পৌষমেলার গেট। JCB মেশিন দিয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক, কাউন্সিলরদের ৷ বিশ্বভারতীর অভিযোগ ছিল, থানার সামনে ঘটনা ঘটলেও পুলিশকে দেখা যায়নি। ঘটনার পরপরই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের তরফে জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিংকে চিঠি দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, চিঠিতে জানতে চাওয়া হয় এই জমায়েত, JCB মেশিন ভাড়া, তাণ্ডব প্রভৃতির পেছনে যে অর্থ ব্যয় হয়েছে তার উৎস কী? বিশ্বভারতীর কত পরিমাণ সম্পদ নষ্ট হয়েছে? আরও কয়েকটি বিষয় জানতে চায় ED ৷
আজ দুপুরে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল শান্তিনিকেতনে আসে। বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক করেন ED আধিকারিকরা। বৈঠক শেষে বিশ্বভারতী রতনকুঠি গেস্ট হাউজ়ে রয়েছেন ED-র প্রতিনিধিদল।