তারাপীঠ, 7 সেপ্টেম্বর: কলকাতার বাগুইহাটির দুই মাধ্যমিক ছাত্র অপহরণ ও খুনের ঘটনার পর পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে মঙ্গলবার রাতে দেখা করতে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) । কিন্তু তাঁকে পীড়িত পরিবারের বাড়ি ঢুকতে বাধা দেয় প্রতিবেশীরা । তাঁদের দাবি, এই ঘটনা নিয়ে কোনও রাজনীতি করা হবে না । তারপরই বিজেপি সভাপতি না দেখা করেই ফিরে যান (Dilip Ghosh Slam Bengal Government) । এই প্রসঙ্গে আজ সকালে তারাপীঠে চা চক্রে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, "পুলিশ তো নিষ্ক্রিয় ৷ পুলিশ শুধু বিরোধীদের আটকাতে গিয়ে সক্রিয় ৷ নেতাদের বাঁচাতে গিয়ে সক্রিয় ৷ খুন হচ্ছে, মহিলারা রেপ হচ্ছে ৷ গতকাল তৃণমূলের গুন্ডারা বাগুইহাটিতে ঢুকতে বাধা দেয় আমাদের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে ৷"
আজ প্রাতঃভ্রমণে পর তারাপীঠে চা চক্রে অংশগ্রহণ করলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ । আজ সকাল ছটা নাগাদ তারাপীঠ এলাকায় দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে প্রাতঃভ্রমণ করেন তিনি । এরপর তারাপীঠ পূর্বসাগর মোড়ে একটি চায়ের দোকানে বসে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে তিনি চা খান ।
আরও পড়ুন: আসানসোলে মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়িতে সিবিআই হানা
এদিন চা চক্র শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপবাবু অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বলেন, "এত গাড়ি, রাইস মিল, পেট্রল পাম্প, স্কুল, কলেজ এগুলো কার! নিজের নামে সম্পত্তি নেই, মানেই সম্পত্তি নেই এমনটা নয় । উনি যা বলছেন কোর্টে প্রমান করতে হবে । আর গ্রেফতার হলেই সবাই বলে রাজনৈতিক চক্রান্ত ।"
অন্যদিকে, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় আগেই সিবিআই (Central Bureau of Investigation)-এর উপর আস্থা হারিয়ে মুখ খুলেছিলেন দিলীপ ঘোষ । আর তারপর থেকেই রাজ্য জুড়ে সিবিআই-এর বেশ কয়েকটি মুভমেন্ট দেখা গিয়েছে । গ্রেফতার করা হয়েছে অনেককে, ডাকাও হয়েছে কিছুজনকে ।
এই প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, "শুধু ডাকাডাকি করলে হবে না ৷ পিটিয়ে মারা হয়েছে, খুন হয়েছে ৷ সাজা দিতে হবে । না হলে মানুষ বিশ্বাস করবে কী করে । দুষ্কৃতীকারি খুন করে দেবে, দেশে কোনও আইন নেই, সাজা নেই । সেটা করে দেখাতে হবে ।" তাৎপর্যপূর্ণভাবে দিলীপ যেদিন সিবিআই সম্পর্কে কড়া মন্তব্য করছেন সেদিনই রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক আসানসোল এবং কলকাতার বাড়িতে হানা দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা ।