সিউড়ি, ৯ জুলাই : দেউচা-পাচামি খোলামুখ কয়লা খনির জট এখনও কাটল না। এদিন এখানকার জমি মালিকদের দাবি শুনতে আসেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ। সাড়ে 3 হাজার একর জমিতে এখানে কয়লা উত্তোলন হবে ৷ কিন্তু, ন্যায্য মূল্য ও পুনর্বাসনের দাবিতে জমি অধিগ্রহণের জট দীর্ঘদিনের। এই এলাকা মূলত আদিবাসী অধ্যুষিত।
এই দেউচা ও পাঁচামি অঞ্চলে প্রায় 210 কোটি 20 লাখ টন কয়লা মজুত রয়েছে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। কয়লা মজুতের পরিমাণের হিসাবে কয়লা খনিটি ভারতের ও এশিয়া মহাদেশের মধ্যে বৃহত্তম কয়লা খনি। এছাড়া, বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা খনি এটি। প্রায় সাড়ে 3 হাজার একর জমি জুড়ে এই খনি। কমপক্ষে 12 হাজার কোটি টাকার প্রকল্প এটি। যেখানে 1 লক্ষ কর্মসংস্থানও হবে। এই খনি থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হলে NTPC-কাটোয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা দেওয়া সম্ভব হবে।
মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ বলেন, "কোন বেসরকারি সংস্থা নয়। সরকারি ভাবেই দেউচা পাঁচামি কয়লা খনি প্রকল্প শুরু হবে ৷ পুনর্বাসন নিশ্চিত করেই এই জমি অধিগ্রহণ করা হবে। প্রকল্পটি ধাপে ধাপে হবে। এই কয়লা বাইরে কোথাও বিক্রি হবে না। শুধুমাত্র সরকারি কাজে ব্যবহৃত হবে।" মুখ্যসচিব আরও বলেন, "আমরা এখানকার মানুষকে বোঝাচ্ছি তাদের কতটা সুবিধা হবে সেই কথা। কয়লা উত্তোলন হলে বহু কর্মসংস্থান হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে প্রভৃতি।"যদিও, দীর্ঘ আলোচনাতেও কাটল না জট। জমিদাতারা জানিয়ে দেন নিজেরা সকলের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।