ETV Bharat / state

মুখ্যসচিবের বৈঠকের পরেও কাটল না দেউচা-পাচামি কয়লাখনির জমি জট

জমি মালিকদের সঙ্গে আলোচনাতেও কাটল না জট ৷ রাজ্যের মুখ্য় সচিব রাজীব সিংহ দেউচা-পাচামি খোলামুখ কয়লা খনির নিয়ে সেখানকার জমি মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন ৷ কিন্তু জমির ন্যায্য মূল্য ও পুনর্বাসনের দাবিতে দুপক্ষের সহমতে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি বলে জানা গিয়েছে ৷

deucha panchami land issue unsolved
কাটল না দেউচা-পাচামি কয়লাখনির জমি জট
author img

By

Published : Jul 9, 2020, 8:45 PM IST

সিউড়ি, ৯ জুলাই : দেউচা-পাচামি খোলামুখ কয়লা খনির জট এখনও কাটল না। এদিন এখানকার জমি মালিকদের দাবি শুনতে আসেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ। সাড়ে 3 হাজার একর জমিতে এখানে কয়লা উত্তোলন হবে ৷ কিন্তু, ন্যায্য মূল্য ও পুনর্বাসনের দাবিতে জমি অধিগ্রহণের জট দীর্ঘদিনের। এই এলাকা মূলত আদিবাসী অধ্যুষিত।

এই দেউচা ও পাঁচামি অঞ্চলে প্রায় 210 কোটি 20 লাখ টন কয়লা মজুত রয়েছে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। কয়লা মজুতের পরিমাণের হিসাবে কয়লা খনিটি ভারতের ও এশিয়া মহাদেশের মধ্যে বৃহত্তম কয়লা খনি। এছাড়া, বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা খনি এটি। প্রায় সাড়ে 3 হাজার একর জমি জুড়ে এই খনি। কমপক্ষে 12 হাজার কোটি টাকার প্রকল্প এটি। যেখানে 1 লক্ষ কর্মসংস্থানও হবে। এই খনি থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হলে NTPC-কাটোয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা দেওয়া সম্ভব হবে।

মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ
কিন্তু, এই কয়লা খনির জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রয়োজন। এই এলাকাটি মূলত আদিবাসী অধ্যুষিত। জমির ন্যায্য মূল্য ও পুনর্বাসনের দাবিতে অনড় এখানকার জমি মালিকেরা। একাধিকবার বৈঠকেও সমস্যার সমাধান হয়নি। প্রশাসনের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে একাধিকবার বিক্ষোভও দেখিয়েছে অনিচ্ছুক জমিদাতারা। এদিন, এই এলাকার মানুষজনের দাবি শুনতে ও তাদের নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ। এছাড়াও ছিলেন, রাজ্য ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের সচিব মনোজ পন্থ, বিদ্যুৎ দপ্তরের সচিব পি বি সেলিম, জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু, জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিং প্রমুখ। স্থানীয় বাসিন্দা, পাথর ব্যবসায়ী, চাষিদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যসচিব। বৈঠকস্থান থেকে দূরে কয়েকশো গ্রামবাসী তাদের দাবি জানাতে জমায়েত হয়। যদিও, আগেই পুলিশ তাদের দূরে সরিয়ে দেয়। জানা গিয়েছে, বৃহত্তর আন্দোলন এড়াতে কয়েক ধাপে জমি অধিগ্রহণ করা হবে।

মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ বলেন, "কোন বেসরকারি সংস্থা নয়। সরকারি ভাবেই দেউচা পাঁচামি কয়লা খনি প্রকল্প শুরু হবে ৷ পুনর্বাসন নিশ্চিত করেই এই জমি অধিগ্রহণ করা হবে। প্রকল্পটি ধাপে ধাপে হবে। এই কয়লা বাইরে কোথাও বিক্রি হবে না। শুধুমাত্র সরকারি কাজে ব্যবহৃত হবে।" মুখ্যসচিব আরও বলেন, "আমরা এখানকার মানুষকে বোঝাচ্ছি তাদের কতটা সুবিধা হবে সেই কথা। কয়লা উত্তোলন হলে বহু কর্মসংস্থান হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে প্রভৃতি।"যদিও, দীর্ঘ আলোচনাতেও কাটল না জট। জমিদাতারা জানিয়ে দেন নিজেরা সকলের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সিউড়ি, ৯ জুলাই : দেউচা-পাচামি খোলামুখ কয়লা খনির জট এখনও কাটল না। এদিন এখানকার জমি মালিকদের দাবি শুনতে আসেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ। সাড়ে 3 হাজার একর জমিতে এখানে কয়লা উত্তোলন হবে ৷ কিন্তু, ন্যায্য মূল্য ও পুনর্বাসনের দাবিতে জমি অধিগ্রহণের জট দীর্ঘদিনের। এই এলাকা মূলত আদিবাসী অধ্যুষিত।

এই দেউচা ও পাঁচামি অঞ্চলে প্রায় 210 কোটি 20 লাখ টন কয়লা মজুত রয়েছে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। কয়লা মজুতের পরিমাণের হিসাবে কয়লা খনিটি ভারতের ও এশিয়া মহাদেশের মধ্যে বৃহত্তম কয়লা খনি। এছাড়া, বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা খনি এটি। প্রায় সাড়ে 3 হাজার একর জমি জুড়ে এই খনি। কমপক্ষে 12 হাজার কোটি টাকার প্রকল্প এটি। যেখানে 1 লক্ষ কর্মসংস্থানও হবে। এই খনি থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হলে NTPC-কাটোয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা দেওয়া সম্ভব হবে।

মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ
কিন্তু, এই কয়লা খনির জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রয়োজন। এই এলাকাটি মূলত আদিবাসী অধ্যুষিত। জমির ন্যায্য মূল্য ও পুনর্বাসনের দাবিতে অনড় এখানকার জমি মালিকেরা। একাধিকবার বৈঠকেও সমস্যার সমাধান হয়নি। প্রশাসনের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে একাধিকবার বিক্ষোভও দেখিয়েছে অনিচ্ছুক জমিদাতারা। এদিন, এই এলাকার মানুষজনের দাবি শুনতে ও তাদের নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ। এছাড়াও ছিলেন, রাজ্য ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের সচিব মনোজ পন্থ, বিদ্যুৎ দপ্তরের সচিব পি বি সেলিম, জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু, জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিং প্রমুখ। স্থানীয় বাসিন্দা, পাথর ব্যবসায়ী, চাষিদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যসচিব। বৈঠকস্থান থেকে দূরে কয়েকশো গ্রামবাসী তাদের দাবি জানাতে জমায়েত হয়। যদিও, আগেই পুলিশ তাদের দূরে সরিয়ে দেয়। জানা গিয়েছে, বৃহত্তর আন্দোলন এড়াতে কয়েক ধাপে জমি অধিগ্রহণ করা হবে।

মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ বলেন, "কোন বেসরকারি সংস্থা নয়। সরকারি ভাবেই দেউচা পাঁচামি কয়লা খনি প্রকল্প শুরু হবে ৷ পুনর্বাসন নিশ্চিত করেই এই জমি অধিগ্রহণ করা হবে। প্রকল্পটি ধাপে ধাপে হবে। এই কয়লা বাইরে কোথাও বিক্রি হবে না। শুধুমাত্র সরকারি কাজে ব্যবহৃত হবে।" মুখ্যসচিব আরও বলেন, "আমরা এখানকার মানুষকে বোঝাচ্ছি তাদের কতটা সুবিধা হবে সেই কথা। কয়লা উত্তোলন হলে বহু কর্মসংস্থান হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে প্রভৃতি।"যদিও, দীর্ঘ আলোচনাতেও কাটল না জট। জমিদাতারা জানিয়ে দেন নিজেরা সকলের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.