শান্তিনিকেতন, 9 মার্চ : হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও অচলাবস্থা কাটল না বিশ্বভারতীতে (Did Not Settlement After Order Of The High court) ৷ নির্দেশের পরেও ছাত্রাবাস খুলল না কর্তৃপক্ষ বলে অভিযোগ আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের ৷
অন্যদিকে, অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সই সংগ্রহ শুরু করেছে পড়ুয়ারা ৷ সব মিলিয়ে 10 দিন ধরে ছাত্র আন্দোলন অব্যাহত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ ছাত্রাবাস খুলতে হবে, ক্যান্টিন খুলতে হবে, অনলাইনে পরীক্ষা নিতে হবে, পাঠভবন ও শিক্ষাক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময়সীমা বাড়াতে হবে ৷ এই সকল দাবিতে 28 ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শুরু হয় ছাত্র আন্দোলন ৷ আন্দোলনের জেরে এক প্রকার অচলাবস্থার সৃষ্টি হয় বিশ্বভারতীতে ৷
পরিস্থিতি কাটাতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ (Did Not Settlement After Order Of The High court)। হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেয় অবিলম্বে ছাত্রাবাস খুলতে হবে ৷ ছাত্রাবাস না-খুলে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না ৷ পুলিশ ও ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে কমিটি গঠন করে ছাত্রাবাস খুলতে হবে ৷ যাতের পরীক্ষা আছে, তাদের ছাত্রাবাস পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে হবে ৷ কিন্তু, আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের অভিযোগ, হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও ছাত্রাবাস খুলল না বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ৷ তাই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে পড়ুয়ারা ৷ তাদের দাবি, অবিলম্বে ছাত্রাবাস ও ক্যান্টিন খুলতে হবে ৷
অন্যদিকে, পাঠ্যক্রম শেষ না হওয়ায় এই সেমিস্টারে অনলাইনে পরীক্ষা নিতে হবে ৷ অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সই সংগ্রহ শুরু করেছে পড়ুয়ারা। এক কথায় 10 দিন ধরে ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল ও অচল বিশ্বভারতী। আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের মধ্যে সোমনাথ সৌ ও অর্চিতা পাল বলেন, "এখনও পর্যন্ত হস্টেল খোলেনি৷ সিলেবাস শেষ না করে শর্ট নোটিসে অফলাইনে পরীক্ষা ঘোষণা করেছে৷ আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করি। আজ অনলাইনে পরীক্ষার দাবিতে সই সংগ্রহ শুরু করেছি। পরবর্তীতে আরও বৃহত্তর আন্দোলন করব।"