ETV Bharat / state

বাংলাদেশে গোরু পাচার চলে রমরমিয়ে, পুলিশকে টাকা দিলেই কেল্লাফতে !

author img

By

Published : Mar 3, 2019, 6:40 AM IST

রমরমিয়ে চলছে গোরু পাচার। পুলিশকে টাকা দিলেই কেল্লাফতে।

ইলামবাজারের সুখবাজার গোরুর হাট

ইলামবাজার, ৩ মার্চ : ইলামবাজারের সুখবাজার গোরুর হাটে সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে মিনি ট্রাক, ম্যাটাডোর। তাতে তোলা হচ্ছে গোরু। কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে? প্রশ্নটা শুনেই সটান জবাব এল, কেন বাংলাদেশে ! পুলিশ আটকায় না? আটকায় তো। কী করে ছাড় মেলে? ওই তো, গাড়ি পিছু ২৫০-৩০০ টাকা দিতে হয়। কাকে? রাস্তায় যেতে যেতে যতগুলি থানা পড়ে, সব থানার পুলিশকেই !

বীরভূম জেলাজুড়ে রমরমিয়ে গোরু পাচারের কারবার চলে। আর তার মূল কেন্দ্র হল ইলামবাজারের সুখবাজার হাট। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই সেখান থেকে গোরু বাংলাদেশে পাচার করা হয়। সম্প্রতি রামপুরহাটের মনসুবা মোড় থেকে ২১টি গোরুসহ ১৩ জন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা সুখবাজার হাট থেকে গোরু পাচার করছিল। কারবার যে রীতিমতো খোলাখুলি হয় তার প্রমাণ মেলে ব্যবসায়ীদের কথায়। তাদের বক্তব্য, প্রতি শনিবার হাটে কয়েক কোটি টাকার লেনদেন হয়। ইলামবাজারের সুখবাজার থেকে ছোটো গাড়ি, ট্রাক, ম্যাটাডোরে করে বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ হয়ে গোরু বাংলাদেশে পাচার করা হয়। জঙ্গলের পথকেই রুট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া অজয় নদ দিয়েও গোরু পাচার করা হয়। সবকটি রুটেই একাধিক থানা পড়ে।

undefined

তাহলে কী করে এভাবে গোরু পাচার করা হয় ? উত্তরটা দেয় খোদ ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, গাড়িপিছু প্রতিটি থানাকে ২৫০-৩০০ টাকা দিলেই পুলিশের চোখে কিছু পড়বে না। গাড়ি বিশেষে তা অনেক সময়ে বেড়ে ৪০০-৬০০ টাকাতে দাঁড়ায়। কোন কোন থানার পুলিশকে দিতে হয় টাকা? ব্যবসায়ীদের জবাব, "দুর্গাপুর, বোলপুর, নানুর, ইলামবাজার, কাঁকসা, অরবিন্দ থানা। কোনও থানার পুলিশই বাদ নেই। জঙ্গলের পথ দিয়ে গেলে ইলামবাজার, বোলপুর, নানুর থানার পুলিশকে টাকা দিতে হয়। আর অজয় নদ পার হয়ে গেলে কাঁকসা থানার পুলিশকে টাকা দিলে গোরুবোঝাই গাড়ি নিয়ে যাওয়ার ছাড়পত্র মেলে।" কিন্তু, টাকা দেওয়া হয় কেন? এক গাড়িচালকের স্বীকারোক্তি, "গোরু পাচার বেআইনি, তাই টাকা নেয় পুলিশ।" আর যদি টাকা দেওয়া না হয়? এক ভ্যানচালকের বক্তব্য, "টাকা না দিলে গাড়ি আটকে রাখে। মারধর করে। গালিগালাজ করে। ভুয়ো কেস দেয়।"

এই হাট দিয়ে শুধুমাত্র গোরু পাচার হয় না। খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তে নেমে বিষয়টি NIA-র নজরে আসে। জানা যায়, খাগড়াগড়ের মূল অভিযুক্ত কওসরের সঙ্গে জামাত-উল-মুজাহিদিনের যোগসূত্রের মূল পথ হল ইলামবাজারের এই গোরুর হাট। সেজন্য একাধিকবার তল্লাশি চালায় NIA। তাই গোরুর হাটের শিকড় বহুদূরে বিস্তৃত বলেই দাবি স্থানীয়দের। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা এবিষয়ে কিছু বলতে চায়নি।

undefined

ইলামবাজার, ৩ মার্চ : ইলামবাজারের সুখবাজার গোরুর হাটে সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে মিনি ট্রাক, ম্যাটাডোর। তাতে তোলা হচ্ছে গোরু। কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে? প্রশ্নটা শুনেই সটান জবাব এল, কেন বাংলাদেশে ! পুলিশ আটকায় না? আটকায় তো। কী করে ছাড় মেলে? ওই তো, গাড়ি পিছু ২৫০-৩০০ টাকা দিতে হয়। কাকে? রাস্তায় যেতে যেতে যতগুলি থানা পড়ে, সব থানার পুলিশকেই !

বীরভূম জেলাজুড়ে রমরমিয়ে গোরু পাচারের কারবার চলে। আর তার মূল কেন্দ্র হল ইলামবাজারের সুখবাজার হাট। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই সেখান থেকে গোরু বাংলাদেশে পাচার করা হয়। সম্প্রতি রামপুরহাটের মনসুবা মোড় থেকে ২১টি গোরুসহ ১৩ জন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা সুখবাজার হাট থেকে গোরু পাচার করছিল। কারবার যে রীতিমতো খোলাখুলি হয় তার প্রমাণ মেলে ব্যবসায়ীদের কথায়। তাদের বক্তব্য, প্রতি শনিবার হাটে কয়েক কোটি টাকার লেনদেন হয়। ইলামবাজারের সুখবাজার থেকে ছোটো গাড়ি, ট্রাক, ম্যাটাডোরে করে বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ হয়ে গোরু বাংলাদেশে পাচার করা হয়। জঙ্গলের পথকেই রুট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া অজয় নদ দিয়েও গোরু পাচার করা হয়। সবকটি রুটেই একাধিক থানা পড়ে।

undefined

তাহলে কী করে এভাবে গোরু পাচার করা হয় ? উত্তরটা দেয় খোদ ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, গাড়িপিছু প্রতিটি থানাকে ২৫০-৩০০ টাকা দিলেই পুলিশের চোখে কিছু পড়বে না। গাড়ি বিশেষে তা অনেক সময়ে বেড়ে ৪০০-৬০০ টাকাতে দাঁড়ায়। কোন কোন থানার পুলিশকে দিতে হয় টাকা? ব্যবসায়ীদের জবাব, "দুর্গাপুর, বোলপুর, নানুর, ইলামবাজার, কাঁকসা, অরবিন্দ থানা। কোনও থানার পুলিশই বাদ নেই। জঙ্গলের পথ দিয়ে গেলে ইলামবাজার, বোলপুর, নানুর থানার পুলিশকে টাকা দিতে হয়। আর অজয় নদ পার হয়ে গেলে কাঁকসা থানার পুলিশকে টাকা দিলে গোরুবোঝাই গাড়ি নিয়ে যাওয়ার ছাড়পত্র মেলে।" কিন্তু, টাকা দেওয়া হয় কেন? এক গাড়িচালকের স্বীকারোক্তি, "গোরু পাচার বেআইনি, তাই টাকা নেয় পুলিশ।" আর যদি টাকা দেওয়া না হয়? এক ভ্যানচালকের বক্তব্য, "টাকা না দিলে গাড়ি আটকে রাখে। মারধর করে। গালিগালাজ করে। ভুয়ো কেস দেয়।"

এই হাট দিয়ে শুধুমাত্র গোরু পাচার হয় না। খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তে নেমে বিষয়টি NIA-র নজরে আসে। জানা যায়, খাগড়াগড়ের মূল অভিযুক্ত কওসরের সঙ্গে জামাত-উল-মুজাহিদিনের যোগসূত্রের মূল পথ হল ইলামবাজারের এই গোরুর হাট। সেজন্য একাধিকবার তল্লাশি চালায় NIA। তাই গোরুর হাটের শিকড় বহুদূরে বিস্তৃত বলেই দাবি স্থানীয়দের। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা এবিষয়ে কিছু বলতে চায়নি।

undefined
sample description
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.