ইলামবাজার, ১ জুন : দিনের আলোয় বীরভূমের ইলামবাজার থানা এলাকা দিয়ে বেআইনি ভাবে পাচার হচ্ছে কয়লা ৷ লকডাউনে মাঝে যেখানে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় গেলে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে ৷ এমনকি যেখানে সাংবাদিকরা ছবি তুললেও কর্তব্যরত সিভিক ভলিন্টিয়ারা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন ৷ আর সেখানেই অজয় নদ পেরিয়ে জয়দেব ফেরিঘাট হয়ে বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বর থেকে কয়লা আসছে বীরভূমে ৷ এরফলে একটা প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে , পুলিশের নজর এড়িয়ে কয়লা পাচারকারীরা বিনা বাধায় কিভাবে চালাছে পাচার কাজ ৷
কোরোনা ভাইরাসে সংক্রমণ রুখতে দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন ৷ এরই মাঝে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাতায়াত করলে মুখোমুখি হতে হচ্ছে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের ৷ উপযুক্ত কারণ দেখাতে না পারলে ফেরত পাঠানো হচ্ছে ৷ কিন্তু, বর্ধমান জেলার পাণ্ডবেশ্বর থেকে অবাধে বীরভূম জেলায় ঢুকছে কয়লা। সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে কুন্টাল কুন্টাল কয়লা সাইকেল, মোটর বাইকে করে ঢুকছে বীরভূমে ৷ অজয় নদ পার হয়ে জয়দেব ফেরিঘাট হয়ে চলছে বেআইনি কয়লার কারবার ৷ জয়দেব ফেরিঘাটে রয়েছে একটি পুলিশ ক্যাম্প ৷ এছাড়াও ফেরিঘাটের বীরভূম প্রান্তে রয়েছে ইলামবাজার থানার অন্তর্গত জয়দেব পুলিশ আউট পোস্ট ৷ পুলিশ ক্যাম্প ও আউট পোস্টের পাশ দিয়ে অবাধে কয়লা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ৷ জানা গিয়েছে, দিনে প্রায় ১০০০ টি বাইক ও কমপক্ষে ৫০০ টি সাইকেলে করে এই পথে কয়লা পাচার হয় ৷ প্রতিটি বাইকে ৪ থেকে ৫ কুন্টাই কয়লা বহন করা যায়। সাইকেলে ১ থেকে দেড় কুন্টাই কয়লা বহন করা হয় ৷ এই ছবি তুলতে গেলে পুলিশ ক্যাম্প থেকে সিভিক ভলিন্টিয়ারা বেরিয়ে এসে কয়লা পাচারকারীকে নয়, সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কয়লা পাচারের এমনই ছবি ধরা পড়ল ETV ভারতের ক্যামেরায়।
বিষয়টি নিয়ে জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেন, "বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে ।"