কলকাতা, 4 জানুয়ারি: কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (Central Bureau of Investigation) বা সিবিআই-কে (CBI) নোটিশ পাঠাল রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ বা সিআইডি (CID) ৷ সিবিআই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে অবস্থিত তাদের স্থানীয় কার্যালয়ে পৌঁছে যান এক সিআইডি আধিকারিক ৷ সিবিআই আদিকারিকদের হাতে সংশ্লিষ্ট নোটিশটি তুলে দেন তিনি ৷ তাতে বলা হয়েছে, লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনায় (Lalan Sheikh Death) অভিযুক্ত সাতজন সিবিআই আধিকারিকের মধ্যে দু'জনকে অবিলম্বে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিআইডি ৷
বগটুই গণহত্যার (Bogtui Massacre) ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিলেন এই লালন শেখ ৷ দীর্ঘ সময় গা-ঢাকা দিয়ে থাকার পর সিবিআই তাঁকে পাকড়াও করে ৷ আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে লালনকে নিজেদের হেফাজতে নেয় তারা ৷ সেখানেই দফায় দফায় জেরা করা হয় লালনকে ৷ কিন্তু, এসবের মধ্যে হঠাৎই মৃত্যু হয় লালন শেখের ৷ সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরের শৌচালয় থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয় ৷ সেই ঘটনায় প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন লালন শেখের স্ত্রী ৷ সেই অভিযোগপত্রে সাত সিবিআই আধিকারিকের নাম উল্লেখ করেন তিনি ৷ পরবর্তীতে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে লালন শেখের মৃত্যুর তদন্ত শুরু করে সিআইডি ৷ সেই তদন্তের কাজেই অভিযুক্ত সাতজন সিবিআই আধিকারিকের মধ্যে নির্দিষ্ট দু'জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান সিআইডি গোয়েন্দারা ৷
আরও পড়ুন: সিবিআই ও বীরভূমের ডিএম-এসপি-র থেকে লালনের মৃত্যুর রিপোর্ট তলব এনএইচআরসি-র
প্রসঙ্গত, লালন শেখের আকস্মিক মৃত্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই বিস্তর জলঘোলা হয়েছে ৷ এই মৃত্যুর জন্য সরাসরি সিবিআইকেই দায়ী করেছেন লালনের স্ত্রী ৷ এদিকে, বগটুই কাণ্ডের পর লালনের বাড়ি 'সিল' করে দেওয়া হয়েছিল ৷ লালন শেখের মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের সদস্যদের সেই বাড়িতে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেয় আদালত ৷ কিন্তু, তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকতেই তাজ্জব হয়ে যান পরিবারের সদস্যরা ৷ তাঁদের দাবি, তাঁদের ঘরের প্রচুর আসবাব খোয়া গিয়েছে ৷ এছাড়াও, বাড়ির আলমারিতে প্রচুর পরিমাণ নগদ টাকা ও মূল্যবাণ গয়না ছিল, সেসবেরও কোনও হদিশ নেই ৷ এ নিয়ে একাধিকবার সংবাদমাধ্যমে সরব হয়েছেন লালনের স্ত্রী ৷ তাঁর মতে, এইসব সম্পদ কোথায় গেল, তার জবাব দিতে পারবে সিবিআই ৷ এই প্রেক্ষাপটে দুই সিবিআই আদিকারিকের সঙ্গে কথা বলতে চেয়ে নোটিশ পাঠাল সিবিআই ৷