বোলপুর, 6 সেপ্টেম্বর: মুখ্যমন্ত্রীর হেলিপ্যাড ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এছাড়া, স্থানীয় ঠিকদারদের দখলে চলে গিয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হেলিপ্যাড। বীরভূম সফরে এলে গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহের পাশে থাকা হেলিপ্যাডে নামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টার। প্রশাসনের নজরদারির অভাবে সেই হেলিপ্যাড ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে ।
তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের মদতে কোপাই নদীর পাড় থেকে শুরু করে সরকারি জমি দখল করে ফ্ল্যাট, রেস্তোরাঁ, হোটেল, আবাসন, রেস্টুরেন্ট প্রভৃতি নির্মাণের অভিযোগ বোলপুর-শান্তিনিকেতন নতুন কিছু নয়। এবার দেখা গেল খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিপ্যাড স্থানীয় ঠিকাদারদের দখলে চলে যাচ্ছে ৷ আর নজরদারির অভাবে হেলিপ্যাডটি কার্যত ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। বোলপুরে গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহের ঠিক পিছনে কংক্রিটের হেলিপ্যাড নির্মাণ করা হয়েছিল। রাজ্যে পালা বদলের পর যখনই মুখ্যমন্ত্রী বীরভূম জেলা সফরে এসেছেন তাঁর হেলিকপ্টার এই হেলিপ্যাডে নেমেছে ৷
আরও পড়ুন: পয়লা বৈশাখ বাংলা দিবস, রাজ্যের সঙ্গীত 'বাংলার মাটি বাংলার জল'; সরকারের আনা প্রস্তাব পাশ বিধানসভায়
বোলপুর পৌরসভা, শ্রীনিকেতন-শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদের নজরদারির অভাবে সেই হেলিপ্যাডে আবর্জনা ফেলা হয় ৷ আবর্জনা স্তূপ হয়ে পড়ে আছে চতুর্দিক। এমনকী, হেলিপ্যাডের চারদিকে বড় বড় আবাসন তৈরি হয়ে গিয়েছে। এছাড়া, স্থানীয় ঠিকাদাররা হেলিপ্যাডের আশেপাশে নির্মাণ সামগ্রী বালি, পাথর ফেলে রেখেছে অর্থাৎ, নতুন করে কিছু নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে ৷ বোলপুরের বাসিন্দা সোমনাথ ঘোষ, কাঞ্জন ঘোষরা বলেন, "রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হেলিপ্যাড ভাগাড়। নজর নেই প্রশাসনের ৷ তাহলে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা ভাবুন!"
তাঁরা আরও বলেন, "বোলপুর-শান্তিনিকেতনের অন্যান্য জায়গা কংক্রিটের জঙ্গল, আবর্জনার স্তূপ করে শেষ করে দিয়েছে। শুধুই তোলাবাজি চলে এখানে ৷ তাই ঠিকাদাররা এত সাহস পায় ।" বোলপুর পৌরসভার চেয়ারপার্সন পর্ণা ঘোষ বলেন, "বোলপুর আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন শহর। এই শহর পরিচ্ছন্ন থাকবে এটাই কাম্য। আমার নজরে এসেছে হেলিপ্যাডটির অবস্থা ৷ আমি স্থানীয় কাউন্সিলের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ওই এলাকা পরিচ্ছন্ন করে দেব।"
আরও পড়ুন: মমতার মামার বাড়িতে হারল তৃণমূল, জয়ী বিজেপি