শান্তিনিকেতন, 16 জুন : দু'দেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে আমন্ত্রণ জানাল চিন সরকার । আমন্ত্রণ পেয়ে খুশি তিনি ।
এক সপ্তাহের জন্য বিদ্যুৎবাবু চিন যাচ্ছেন । তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে চিনের অ্যাকাডেমি অফ সোশাল সায়েন্স । চিনের ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়, সাংহাইয়ের ফুদান বিশ্ববিদ্যালয় ও বেজিং-এর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি বক্তব্য রাখবেন । বিদ্যুৎবাবু বলেন, "আমাকে নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে আমি যেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ডেভেলপমেন্টের ভাবনা চিন্তা এবং মোহনদাস গান্ধির ডেভেলপমেন্টের ভাবনা চিন্তা নিয়ে আলোচনা করি । আমরা বরাবরই পাশ্চাত্যের চিন্তা ভাবনাকে গুরুত্ব দিয়ে এসেছি । সেখানে আমরা যাতে আমাদের ভাবনা চিন্তাগুলি এগিয়ে নিয়ে আসতে পারি এটা তারই হয়তো একটা প্রচেষ্টা । মূল উদ্দেশ্য দুই দেশের সম্পর্ক আরও মসৃণ করে তোলা ।"
উল্লেখ্য, 1924 সালে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চিন ভ্রমণে গেছিলেন । পরবর্তী সময়ে ভারতবর্ষের চিনা ভাষার অন্যতম চর্চাকেন্দ্র 'চিনাভবন' বিশ্বভারতীতেই তৈরি হয়েছিল । বিশ্বভারতীর হাত ধরে ভারত-চিন সম্পর্ক এর আগেও দৃঢ় হয়েছে । ফের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের মাধ্যমে সেই সম্পর্কও আরও সুদৃঢ় করতে হাত বাড়াল চিন সরকার ।
বিশ্বভারতীর 'চিনাভবন' সংস্কার ও পঠন-পাঠনের পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্য চিন সরকার ইতিমধ্যেই 60 লাখ টাকা দিয়েছে । চিনের দূতাবাসের সঙ্গে একটি আলোচনায় স্থির হয়েছে, এবার থেকে সেদেশের সরকার বিশ্বভারতীর সামগ্রিক উন্নয়নে সহযোগিতা করবে ।