বোলপুর, 22 অগস্ট : গরু পাচার কাণ্ডের (Cattle Smuggling Case) তদন্তে সোমবার বোলপুরের একটি ব্যাংকের শাখায় হাজির হন সিবিআইয়ের (CBI) গোয়েন্দারা ৷ সেখানে তাঁরা মিলিয়ে দেখেন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য ৷ ওই শাখার ম্যানেজারের সঙ্গেও দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ব্যুরোর আধিকারিকরা ৷
প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় এদিন সকাল সকাল বোলপুরের ভুবনডাঙায় শিবশম্ভু রাইস মিলে হানা দেয় সিবিআই । এই রাইস মিলটি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দিদি শিবানী ঘোষ ও জামাইবাবু কমলকান্ত ঘোষের নামে রয়েছে । প্রায় 4 ঘণ্টা এই রাইস মিলে তল্লাশি চালায় ও ম্যানেজার-কর্মীদের জেরা করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারেরা ৷
সেখান থেকে বোলপুরে রবীন্দ্রবীথি বাইপাসে অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের ফ্ল্যাটে যায় সিবিআই । সঙ্গে ছিলেন ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের এক মহিলা আধিকারিক ৷ সায়গল হোসেনের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা । সিবিআই সূত্রে খবর, গোয়েন্দারা জানতে চান ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য ৷ এরপরেই বোলপুরে একটি ব্যাংকের শাখায় আসেন সিবিআইয়ের দুই সদস্যের প্রতিনিধি । বিকেল থেকে দীর্ঘক্ষণ এই ব্যাংকের ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলেন ৷ সায়গল হোসেন ও অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেন তদন্তকারী অফিসারেরা ৷
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, দিন কয়েক আগে গরু পাচার কাণ্ডে বীরভূম তৃণমূলের (Trinamool Congress) জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই ৷ তার পর থেকে সিবিআই হেফাজতেই রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের ওই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা ৷ তাঁকে কলকাতার নিজাম প্যালেসে রেখে জেরা করা হচ্ছে ৷
আর তার মাঝেই বীরভূমের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই ৷ সম্প্রতি অনুব্রতর নীচুপট্টীর বাড়ি সংলগ্ন একটি ব্যাংক তল্লাশি চালিয়েছিলেন তদন্তকারী ৷ ওই ব্যাংকে অনুব্রতর আত্মীয়দের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় 17 কোটি টাকার হদিস পেয়েছিল সিবিআই । সেই অর্থ ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৷ এবার বোলপুরের আরেকটি ব্যাংকে হানা দিল সিবিআই অফিসারেরা ৷ সেখানেও গরু পাচার কাণ্ডে যোগ থাকতে পারে এমন অর্থের সন্ধান সিবিআই পেয়েছে কি না, তা এখনও জানা যায়নি ৷
আরও পড়ুন : সিবিআইয়ের জেরায় মেজাজ হারাচ্ছেন অনুব্রত