কলকাতা ও শান্তিনিকেতন, 24 ডিসেম্বর: বিশ্বভারতীর শতবর্ষের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ ঘিরে তৈরি হল বিতর্ক। একদিকে বৃহস্পতিবার তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু দাবি করেন যে ওই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। এই কথা শোনার পর বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী প্রশ্ন করেন, "কে বলেছেন এমন?"
বৃহস্পতিবার ছিল বিশ্বভারতীর শতবর্ষের অনুষ্ঠান। ওই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি ভাষণ দেন বিশ্ববিদ্য়ালয়ের আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক। বিশ্বভারতীর আম্রকুঞ্জে আয়েজিত হয় অনুষ্ঠানটি। সেখানে হাজির ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তবে ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। যদিও মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বিশ্বভারতীর লেটারহেডে দেওয়া চিঠিও প্রকাশ্য়ে এসেছে। যাতে সই রয়েছে উপাচার্যের। তা নিয়ে ব্রাত্য বসুর প্রশ্ন, "সেই চিঠির কোনও প্রাপ্তি স্বীকার করা হয়েছিল কি? কেউ ওই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকারের নথি দেখাতে পারবেন?" মন্ত্রীর কটাক্ষ, উপাচার্য নিজেই সই করে নিজের কাছে ওই চিঠি রেখে দিয়েছিলেন নাকি! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তাঁকে এভাবে আমন্ত্রণ জানানো যায় কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন ব্রাত্য বসু। তবে মুখ্যমন্ত্রী এদিন সকালেই বিশ্বভারতীর শতবর্ষ নিয়ে টুইট করেন।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিবার সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী : ব্রাত্য
বিশ্বভারতীতে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হয় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে। সেই সময় তাঁর পাশেই ছিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তিনি সঙ্গে সঙ্গে জানতে চান যে কে এই ধরনের কথা বলেছেন। এর পরেই উপাচার্যকে থামিয়ে দিয়ে রাজ্যপাল বলেন, "আপনারা দয়া করে খতিয়ে দেখে প্রশ্ন করবেন।"