বোলপুর, 21 এপ্রিল: লকডাউন সফল করতে একাধিক কড়া পদক্ষেপ নিল বোলপুর পুলিশ। এবার থেকে এক সপ্তাহে বাজার করা বা ওষুধ আনার মতো জরুরি কাজে একটি বাইক বা গাড়ি 2 বারের বেশি শহরের রাস্তায় বেরোতে পারবে না বলে নিয়ম হল। নজরদারি চালাতে পথে বেরোনো বাইক বা গাড়িতে স্টিকার লাগানো শুরু করল পুলিশ৷ পাশাপাশি, কোন গাড়িতে স্টিকার লাগানো হচ্ছে তার নম্বরও নথিভুক্ত করা হচ্ছ পুলিশের খাতায়৷
কোরোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে চলছে লকডাউন। লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই বহু মানুষ সরকারি নির্দেশিকা মানছেন না৷ বাজার করা বা ওষুধ কেনার অজুহাতে প্রতিদিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ছেন অনেকে ৷ পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে বার বার সচেতন করা হলেও জেলাজুড়ে চিত্রটা এমনই৷ সেই কারণেই এবার কড়া পদক্ষেপ নিল বোলপুর পুলিশ৷ আজ থেকেই শহরের রাস্তায় বেরোনো গাড়িতে এক ধরনের স্টিকার লাগানো শুরু করল পুলিশ ৷ স্টিকারে লিখে দেওয়া হচ্ছে কোন সময়, কত তারিখে ওই ব্যক্তি রাস্তায় বেরিয়েছেন৷ অন্য দিকে, সেই বাইক বা গাড়ির নম্বর পুলিশ তার নিজের খাতায়ও নথিভুক্ত করছে৷ এক্ষেত্রে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এক সপ্তাহে সর্বোচ্চ 2 বার শহরের রাস্তায় বেরোতে পারবে একটি গাড়ি বা বাইক। তার বেশি বেরোলেই ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
কেউ যদি স্টিকার ছিঁড়ে ফেলে সেক্ষেত্রে ওই নম্বরের বাইক বা গাড়ির জন্য আগে স্টিকার ইশু করা হয়েছিল কিনা রেজিস্ট্রার মিলিয়ে তা দেখে নেবে পুলিশ৷ ধরা পড়লে ওই বাইক বা গাড়িকে আটক করা হবে৷
মঙ্গলবার অন্য পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বোলপুর শহরজুড়ে স্বয়ং অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (বোলপুর) শিবপ্রসাদ পাত্র, SDPO অভিষেক রায়, বোলপুর থানার IC সুমন্ত বিশ্বাস, শান্তিনিকেতন থানার OC কস্তুরী মুখোপাধ্যায় শহরের প্রধান রাস্তাগুলির নজরদারিতে বের হন ৷ আজই লকডাউন অমান্য করে রাস্তায় বেরোনো বেশ কয়েকটি বাইক আটকও করে পুলিশ।
এদিকে, লকডাউনে বোলপুর পুলিশের কড়া পদক্ষেপ প্রসঙ্গে SDPO অভিষেক রায় বলেন, "মানুষজন যাতে লকডাউন মেনে চলেন তাই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।"