ETV Bharat / state

Saumitra slams Mamata: পীর সাহেবদের দয়াতেই মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা, নওশাদ প্রসঙ্গে মন্তব্য সৌমিত্র খাঁ'র

পীর সাহেবরা পাশ থেকে সরে গেলে পায়ের নিচে জমি থাকবে না মুখ্যমন্ত্রীর ৷ বুধবার এমন মন্তব্য করেই মমতাকে এক হাত নিলেন বিজেপির বিধায়ক সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan) ৷

Saumitra Khan
সৌমিত্র খাঁ
author img

By

Published : Jan 25, 2023, 8:12 PM IST

মমতাকে এক হাত নিলেন বিজেপির বিধায়ক সৌমিত্র খাঁ

রামপুরহাট, 25 জানুয়ারি: "যেভাবে একজন বিধায়ককে গ্রেফতার করা হয়েছে সেটা ভারতবর্ষের সংবিধান বিরোধী ।" আজ রামপুরহাটের মহকুমা আদালতে হাজিরা দিতে এসে আইএসএফ নেতা তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর পাশে দাঁড়ালেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan) । তিনি বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া উচিত সমস্ত আইএসএফ লিডার ও সংখ্যালঘু সমাজদের । পীর সাহেবদের দয়াতেই তিনি আজ মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন । আজকে পীরসাহেবরা সরে গেলে কালকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও জমি পাবেন না । আর এটা একদিন হবেই হবে । কারণ উনি পীর সাহেবদের ঠকিয়ে নবান্নে বসে আছেন।"

পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, উত্তরপ্রদেশে, গুজরাতে ও দিল্লিতে কোথাও এইভাবে সংখ্যালঘুরার নিপীড়িত হয় না। 2020 সালের 30 অক্টোবর মল্লারপুর থানার ঘেরাও করে বিজেপি । এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-সহ 13 জনের নামে অভিযোগ হয় মল্লারপুর থানায় । সেই মামলায় হাজিরা দিতে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে এদিন আসেন বিজেপি সাংসদ। কোর্ট থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকীর হয়ে গলা চড়ালেন সৌমিত্র খাঁ ।

উল্লেখ্য, গত শনিবার দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে ভাঙড়ের হাতিশালায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল ও আইএসএফ কর্মীরা। সেই গণ্ডগোলের আঁচ এসে পড়ে শহর কলকাতাতেও । বিকেলে কলকাতার ধর্মতলায় পুলিশের সঙ্গে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয় আইএসএফ কর্মীদের । পুলিশ গ্রেফতার করে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী-সহ 17 জনকে । ধৃতদের 1 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল আদালত । প্রথম দিন রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার নিন্দা করলেও পরে অবশ্য 180 ডিগ্রি ঘুরে তিনি বলেন, "আইএসএফের আদর্শ আর আমাদের আদর্শে একদম 180 ডিগ্রি পার্থক্য ।"

সৌমিত্র খাঁ'র আইএসএফ বিধায়কের পক্ষে করা এমন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল । আজ হিন্দি ফিল্ম পাঠান মুক্তি পেয়েছে । সিনেমাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে একাধিক বিতর্ক ৷ এই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ বলেন, "যাঁরা দর্শক তাঁরা সিনেমা দেখবেন, কিন্তু দেশদ্রোহী কিছু থাকলে সেটা গায়ে লাগবে । ভারতবর্ষের সংস্কৃতিকে অনেক সিনেমায় নষ্ট করে দিচ্ছে । সেটা না করলেই ভালো হয় ।"

আরও পড়ুন: নওশাদের মুক্তির দাবিতে আত্মহত্যার চেষ্টা আইএসএফ কর্মীর

মমতাকে এক হাত নিলেন বিজেপির বিধায়ক সৌমিত্র খাঁ

রামপুরহাট, 25 জানুয়ারি: "যেভাবে একজন বিধায়ককে গ্রেফতার করা হয়েছে সেটা ভারতবর্ষের সংবিধান বিরোধী ।" আজ রামপুরহাটের মহকুমা আদালতে হাজিরা দিতে এসে আইএসএফ নেতা তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর পাশে দাঁড়ালেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan) । তিনি বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া উচিত সমস্ত আইএসএফ লিডার ও সংখ্যালঘু সমাজদের । পীর সাহেবদের দয়াতেই তিনি আজ মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন । আজকে পীরসাহেবরা সরে গেলে কালকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও জমি পাবেন না । আর এটা একদিন হবেই হবে । কারণ উনি পীর সাহেবদের ঠকিয়ে নবান্নে বসে আছেন।"

পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, উত্তরপ্রদেশে, গুজরাতে ও দিল্লিতে কোথাও এইভাবে সংখ্যালঘুরার নিপীড়িত হয় না। 2020 সালের 30 অক্টোবর মল্লারপুর থানার ঘেরাও করে বিজেপি । এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-সহ 13 জনের নামে অভিযোগ হয় মল্লারপুর থানায় । সেই মামলায় হাজিরা দিতে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে এদিন আসেন বিজেপি সাংসদ। কোর্ট থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকীর হয়ে গলা চড়ালেন সৌমিত্র খাঁ ।

উল্লেখ্য, গত শনিবার দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে ভাঙড়ের হাতিশালায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল ও আইএসএফ কর্মীরা। সেই গণ্ডগোলের আঁচ এসে পড়ে শহর কলকাতাতেও । বিকেলে কলকাতার ধর্মতলায় পুলিশের সঙ্গে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয় আইএসএফ কর্মীদের । পুলিশ গ্রেফতার করে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী-সহ 17 জনকে । ধৃতদের 1 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল আদালত । প্রথম দিন রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার নিন্দা করলেও পরে অবশ্য 180 ডিগ্রি ঘুরে তিনি বলেন, "আইএসএফের আদর্শ আর আমাদের আদর্শে একদম 180 ডিগ্রি পার্থক্য ।"

সৌমিত্র খাঁ'র আইএসএফ বিধায়কের পক্ষে করা এমন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল । আজ হিন্দি ফিল্ম পাঠান মুক্তি পেয়েছে । সিনেমাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে একাধিক বিতর্ক ৷ এই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ বলেন, "যাঁরা দর্শক তাঁরা সিনেমা দেখবেন, কিন্তু দেশদ্রোহী কিছু থাকলে সেটা গায়ে লাগবে । ভারতবর্ষের সংস্কৃতিকে অনেক সিনেমায় নষ্ট করে দিচ্ছে । সেটা না করলেই ভালো হয় ।"

আরও পড়ুন: নওশাদের মুক্তির দাবিতে আত্মহত্যার চেষ্টা আইএসএফ কর্মীর

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.