দুবরাজপুর, 20 জুন: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পদ্ম শিবিরের প্রার্থী হয়ে দাঁড়ান ৷ রাজ্যজুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট বাজার আগেই শাসক-বিরোধী তরজা তুঙ্গে ৷ বেশিরভাগ জেলার গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের আসনে শাসকদলের তরফে বিরোধীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের চাপ আসছে বলে অভিযোগ উঠছে প্রার্থীদের তরফে ৷ তবে 'কেষ্টগড়ে' বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় পদ্ম শিবিরের জয়ের বিষয়টি ছিল কল্পনাতীত ৷ কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তৃণমূল-কংগ্রেসে যোগদান করলেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী বিজেপি প্রার্থী। স্ক্রুটিনিতে বাদ পড়েছিল পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল প্রার্থীর নাম ৷ আর মঙ্গলবার সিপিএম প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন ৷ ফলে একটি মাত্র গেরুয়া রঙ ধরেছিল বীরভূমে ৷ কিন্তু তা চোখের পলকে 'সবুজ' রঙে রূপ নিয়ে নেয় ৷
দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির 17 নম্বর আসনে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন লক্ষ্মী মুর্মু। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছিলেন রোজমেরী কিস্কু ও সিপিএমের প্রার্থী ছিলেন লক্ষ্মী মাড্ডি। কিন্তু, সস্ক্রুটিনিতে তৃণমূল কংগ্রেসের রোজমেরী কিস্কুর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। ফলে লড়াইটা ছিল সিপিএম ও বিজেপির মধ্যে। কিন্তু, এদিন সিপিআইএম প্রার্থীও মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জয়ী হন বিজেপি প্রার্থী লক্ষ্মী মুর্মু। মনোনয়ন প্রত্যাহার শেষ হতে না-হতেই বিজেপি প্রার্থী হাতে তুলে নিয়েছেন তৃণমূলের পতাকা। তা নিয়ে এলাকাজুড়ে শোরগোল ৷
আরও পড়ুন: রাজভবনের 'শান্তি কক্ষে' পাঁচশোরও বেশি অভিযোগ, সবার উপরে দক্ষিণ 24 পরগনা
প্রার্থীর ছেলে কার্তিক মুর্মুর দাবি, তৃণমূল কংগ্রেসের উন্নয়ন দেখেই এই যোগদান। আমরা বহু বছর ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে রয়েছি। মা'কে ভুল বুঝিয়ে বিজেপি প্রার্থী করা হয়েছিল। তাই আমরা তা বুঝতে পেরে ফের তৃণমূলে যোগদান করি ৷ মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে দেখা গেল 167টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে নির্বাচনের আগেই এই জেলায় 45টি গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে ৷ এছাড়াও 4টি পঞ্চায়েত সমিতি ও 2টি জেলা পরিষদের আসনও ঘাসফুলের দখলে। তবে সিপিএমের প্রার্থী কি তাহলে শাসকের চাপে পড়েই মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন ? দুবরাজপুরের ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে ৷
প্রসঙ্গত, মনোনয়ন পত্র দাখিলের সময় থেকে শুরু করে প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত বিরোধীদের মারধর ও বাড়িতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চড়াও হয়ে হুমকি ৷ পাশাপাশি দলীয় কার্যালয় দখল, পুলিশের সামনেই প্রার্থীদের মনোনয়নে বাধা, 144 ধারা ভঙ্গ এমনই ভূরিভূরি অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে ৷