সিউড়ি, 27 জানুয়ারি: উদ্ধার বিপুল পরিমাণ গাঁজা ৷ পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার হল 615 কেজি গাঁজা ৷ উদ্ধার হওয়া গাঁজার বাজার মূল্য 80 লক্ষ টাকা ৷ ঘটনায় গাড়ির চালক-সহ 4 অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (birbhum police recover almost 615 kg ganja)৷ মণিপুর থেকে এই বিপুল পরিমাণ গাঁজা আনা হচ্ছিল বীরভূমে ।
গাঁজা উদ্ধারের পরই সাংবাদিক বৈঠক করেন বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী ৷ এদিনই তিনি জানান, সূত্র মারফৎ গাঁজা পাচারের একটা বড় চক্রের হদিশ মেলে ৷ সেই মত তিনটি দল গঠন করা হয় ৷ একটি দলের নেতৃত্ব দেয় সিউড়ি থানার এক এসআই, দ্বিতীয় দলের নেতৃত্বে ছিলেন সাঁইথিয়া থানার ওসি ও তৃতীয় দলের নেতৃত্ব দেন স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের ওসি ৷ এই তিনটি দলকে নেতৃত্ব দেন ডিএসপি (ডিএনটি)। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিশেষ অভিযান চালিয়ে 4 জন গাঁজা পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ ধৃতরা হলেন গাড়ির চালক চন্দনদীপ সিং ও গুরবিন্দর সিং। দু’জন পঞ্জাবের বাসিন্দা ৷ বাকি দু‘জনের মধ্যে আসিকুল ইসলাম অসমের বাসিন্দা, তাজিমুদ্দিন শেখ বীরভূমের বাসিন্দা ৷ ধৃতদের কাছ থেকে প্রায় 615 কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে । এই বিপুল পরিমাণ গাঁজার বাজার মূল্য কমপক্ষে 80 লক্ষ টাকা ৷ গাঁজা গুলি মণিপুরের ডিমাপুর থেকে আনা হচ্ছিল ৷ বীরভূম, মালদা, মুর্শিদাবাদ প্রভৃতি জেলা ছাড়াও বিহার ও পাঞ্চাবে গাঁজা বিক্রির বড় সক্রিয় চক্র হয়েছে ৷ সেখানেই যাচ্ছিল এই গাঁজা৷ ইতিমধ্যেই ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: সিমেন্টের বস্তাবোঝাই গাড়ি থেকে উদ্ধার 348 কেজি গাঁজা, ধৃত 1
বীরভূমকে করিডর হিসেবে ব্যবহার করে বেআইনি পাচারের ঘটনা নতুন নয় ৷ গাঁজা পাচারের ক্ষেত্রেও বীরভূমকে করিডর করেই চলছিল রমরমা কারবার ৷ বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী বলেন,"আমরা খবর পেয়ে তিনটি টিম তৈরি করে অপারেশন চালিয়েছি ৷ পুলিশ খুব ভালো কাজ করেছে ৷ 4 জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৷ মণিপুরের গাঁজার চাহিদা বেশি ৷ তাই সেখান থেকেই গাঁজা নিয়ে আসা হচ্ছিল।"