বোলপুর, 16 জানুয়ারি: কোপাই নদী দখল করে বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করে দিল বীরভূম জেলা প্রশাসন ৷ মঙ্গলবার নদী তীর পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা । জানা গিয়েছে, সরকারের অনুমতি ছাড়াই ঐতিহ্যবাহী কোপাই নদীবক্ষ দখল করে বৃহৎ নির্মাণ চলছিল ৷ খোয়াই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিল প্রশাসন ।
এই বিষয়ে বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, "আমরা ঘুরে দেখলাম ৷ নদীর গতিপথ বদল হয়েছে । তবে এখানে যে নির্মাণ হচ্ছে তার কোনও অনুমতি নেই ৷ তাই নির্মাণ বন্ধ করে দেওয়া হল ৷ পরবর্তীতে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে যারা এই কাজ করছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।"
সদ্য ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পেয়েছে শান্তিনিকেতন । সেই শান্তিনিকেতনের গোয়ালপাড়ায় ঐতিহ্যবাহী কোপাই নদীর পাড় থেকে শুরু করে নদীবক্ষ দখল করে চলছিল নির্মাণ কাজ ৷ কবিগুরুর একাধিক লেখনীতে স্থান পাওয়া 'আমাদের ছোট নদী' বেদখল নিয়ে সরব হয়েছিলেন সকলেই ৷ অভিযোগ, তৃণমূল নেতাদের মদতেই কোপাই নদীবক্ষে নির্মাণ চলছিল ৷
বিষয়টি জানার পরই কোপাই নদীর তীর পরিদর্শনে আসেন বীরভূম জেলাশাসক বিধান রায়, অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) অসীম পাল, বোলপুরের মহকুমাশাসক অয়ন নাথ, বোলপুর ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক সঞ্জয় দাস, সেচ বিভাগের আধিকারিক শিবনাথ গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ। এমনকী, নদীর তীর-সহ বেআইনি নির্মাণ স্থান মেপে দেখা হয় ৷ পরে এই কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন জেলাশাসক । পাশাপাশি, কোপাই নদীর পাড় যাতে বেদখল না-হয়, বেআইনি নির্মাণ না-হয় তা দেখার জন্য অন্যান্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেন জেলাশাসক ।
উল্লেখ, 2013 সালে শিল্পী যোগেন চৌধুরী খোয়াই বাঁচাতে একটি মামলা করেছিলেন ৷ সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট 11টি মৌজায় নির্মাণে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল ৷ তার মধ্যে মধুসূদনপুর মৌজা পড়ছে, সেই মৌজার অন্তর্গত জায়গাতেই কোপাই দখল করে বেআইনি নির্মাণ হচ্ছিল ৷ সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশকে হাতিয়ার করেই জেলাশাসক নির্মাণ বন্ধ করে দেন ।
আরও পড়ুন :
