বোলপুর (বীরভূম), 28 মার্চ: দেউচা-পাচামি সহ একাধিক দাবি নিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল বেশ কয়েকটি আদিবাসী সংগঠনের । তার আগে আদিবাসী সংগঠনের ছ’জন নেতাকে নজরবন্দি করল রাজ্য পুলিশ (Police detain six tribal leaders in their house)। নিজ নিজ বাড়িতেই মঙ্গলবার সকাল থেকে ছ’জন নেতাকেই নজরবন্দি করে রাখা হয় ৷ আদিবাসী সংগঠনের নেতা রাম সরেন বলেন, ‘‘যতক্ষণ রাষ্ট্রপতি শান্তিনিকেতনে থাকবেন, ততক্ষণ নজরবন্দি থাকতে হবে বলে জানানো হয়েছে৷’’
দেউচা-পাচামিতে খোলামুখ কয়লা খনির জন্য জমি অধিগ্রহণ করছে রাজ্য সরকার । খনির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে প্রথম থেকেই সরব হয়েছে এলাকার আদিবাসী মানুষজন । এছাড়া, বোলপুর-শান্তিনিকেতন এলাকায় বহু আদিবাসী মানুষজনের জমি দখল হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ ৷ সেখানে রিসর্ট, হোটেল, আবাসন, কটেজ, বহুতল প্রভৃতি গড়ে তোলা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠছে ।
এই সকল বিষয় ছাড়াও আদিবাসী-সাঁওতাল জনজাতির শিক্ষা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল আদিবাসী সংগঠনগুলির ৷ এই মর্মে বিশ্বভারতীর (Visva Bharati University) ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাতকে চিঠি দিয়ে অনুমতিও চেয়েছিলেন আদিবাসী সংগঠনের নেতারা ৷ যদিও, শেষ মুহূর্তে এসে সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে জানা গিয়েছে ৷
তা সত্ত্বেও এদিন সকাল ৬টা থেকে আদিবাসী নেতা রাম সরেন, সোনা মুর্মু, ড. বিনয় কুমার সরেন, মিনতি হেমব্রম, রথীন কিস্কু, শিবু সরেনকে নজরবন্দি করল রাজ্য পুলিশ ৷ তাঁদের বাড়িতে সকাল থেকেই পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে । শান্তিনিকেতন থানার পুলিশের তরফে তাদের বলা হয়েছে যে যতক্ষণ রাষ্ট্রপতি শান্তিনিকেতনে থাকবেন, ততক্ষণ বাড়ি থেকে তাঁরা বেরতে পারবেন না ৷
প্রসঙ্গত, এদিন বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে (Visva Bharati Convocation) যোগ দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু । পদাধিকার বলে তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিদর্শক পদেও রয়েছেন । তিনি যেহেতু আদিবাসী সম্প্রদায়ের ৷ সেই কারণেই তাঁর কাছে নিজেদের দাবি পেশ করতে চেয়েছিলেন আদিবাসী সংগঠনের নেতারা ৷ কিন্তু তাঁর সেই পরিকল্পনা আপাতত ভেস্তে গেল ৷ পরবর্তী ক্ষেত্রে তাঁরা এই নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করবেন কি না, তা জানা যায়নি ৷
আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীর মধ্যস্থতায় দেউচা-পাচামি সহ আদিবাসীদের সমস্যার কথা শুনতে পারেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু