দুবরাজপুর, 20 ডিসেম্বর: কড়া পুলিশে নিরাপত্তায় আদালতের নির্দেশে অনুব্রত মণ্ডলের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাল পুলিশ (Anubrata Mondal Health Check-Up in Car) ৷ দুবরাজপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে (Dubrajpur Health Centre) গাড়িতে বসিয়েই তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হয় ৷ অভিযোগকারী শিবঠাকুর মণ্ডল জানিয়েছেন, সোমবার রাতে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি ৷ তাঁর গলা টিপে ধরেছিলেন বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি ৷ তিনি অনুব্রত মণ্ডলের শাস্তি চান ৷
অভিযোগকারী শিবঠাকুর মণ্ডলের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, 2021 সালে বিধানসভা নির্বাচনের সময় তৃণমূল ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন বালিঝুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন এই তৃণমূল প্রধান ৷ সেই সময় দুবরাজপুরের তৃণমূল কার্যালয়ে তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে দল ছাড়ার কারণ জানতে চেয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল ৷ এই নিয়ে বচসা হয় দু’জনের মধ্যে ৷ অভিযোগ, বচসা চলাকালীন শিবঠাকুরের গলা টিপে ধরেছিলেন অনুব্রত ৷ তবে, এই অভিযোগ তিনি নিজের ইচ্ছায় করেছেন বলে দাবি শিবঠাকুরের ৷ তাঁকে কেউ জোর করেনি বা কারও নির্দেশে এই অভিযোগ দায়ের করেননি শিবঠাকুর ৷
শিবঠাকুর মণ্ডল বলেন, ‘‘একটা সুযোগ খুঁজছিলাম ৷ অনুব্রত মণ্ডল জেলে আছে, এই সুযোগে গতকাল দুবরাজপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করি ৷ আমাকে কেউ জোর করেনি ৷ নিজের ইচ্ছাতেই অভিযোগ করেছি ৷ অনুব্রত মণ্ডলের শাস্তি হোক আমি এটাই চাই ৷’’
আরও পড়ুন: কেষ্টর রক্ষাকবচ ! 'তৃণমূল' কর্মীকে মারধরে 7 দিনের পুলিশি হেফাজত
আজ সকালে খুনের চেষ্টার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে দুবরাজপুর থানার পুলিশ ৷ তাঁকে আদালতে তোলা হলে 7 দিন হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক ৷ যদিও, এদিন অনুব্রতর তরফে তাঁর আইনজীবী জামিনের আবেদন করেননি ৷ 27 ডিসেম্বর পর্যন্ত দুবরাজপুর থানাতেই ঠাঁই হয়েছে অনুব্রতর ৷ আদালতের নির্দেশে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় এদিন তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয় ৷ অনুব্রতর নিরাপত্তায় দুবরাজপুর থানা কার্যত দূর্গে পরিণত হয়েছে ৷ 5-6 জন অন্যান্য থানার ওসি এবং অন্যান্য আধিকারিকদের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে ৷